somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাওয়া গাড়ি

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গঞ্জের হাটে সে বেচে তাগা, তাবিজ-কবচ, মালিশের তেল। হাঁটে সে করে কবিরাজি। তাকে লোকে ফকির ডাকে। কবিরাজ ডাকে। বাউলা ডাকে। কেউ আবার ডাকে হাওয়া গাড়ির কারিগর।

তাগা, তাবিজ-কবচ, মালিশের তেল বেচলেও, কবিরাজি করলেও সে আসলে অন্তরে গাতক। ভালো গাতক। প্রায় সন্ধ্যায় গ্রামের শেষ মাথায় রেললাইনের পিছনে তার ঘরের কোণায় বসে আশর। তার কোনো দল-বল নাই। একলাই সে গায়। মনের সুখে; মনের দু:খে; মনের সন্ধানে। যারা এসে সন্ধ্যায় যোগ দেয় আশরে তাদের কেউ মাতাল, কেউ আধ-পাগল, কেউ গাঞ্জুটি, কেউ আবার একলা—পরিবার-পরিজন বলতে কিছু নাই। তাদের কেউ ভাবে, লোকটা বাউলা। গঞ্জের হাটে বা শহরে গাইলে টাকা পাইতো মেলা। কিন্তু হাওয়া গাড়ির কারিগর গঞ্জে গায় না। শহরে তো না-ই।

তার নিজের বান্ধা একটা প্রিয় গান সে মাঝে মাঝেই গায়। গানটা তার আশরের লোকেদেরো পছন্দ।

ইচ্ছামতী, ইচ্ছামতী
ইচ্ছা গোপন রাখো।।

রাখো ইচ্ছা বুকের তলে
রাখো ইচ্ছা চোখের জলে
রাখো গো গোপনে।।

ইচ্ছামতি, ইচ্ছামতি
ইচ্ছা গোপন রাখো।।

গানটা বেশ লম্বা। আরো কী কী কথা যেনো আছে। খুব সুন্দর। গানের সুরটা বাসিরনের খুবই পছন্দ। এই গানটা গাওয়ার সময় গাতকের গলার স্বরটা যেনো দূর থেকে আসে। কততততো দূর... যেনো সুদূর হতে আসা। কিন্তু সেই দূরত্বের ঠিকানা জানে না, বাসিরন।

আশর ভাঙলে গাতক তার হাওয়ার গাড়িটিকে আদরে-যত্নে মুছে ঘরে তুলে রাখে। বাসিরনকে নিয়ে রাতের খাবার খায়। রাত ঘন হয়। পাড়া নিগুম হয়। আসমানের তারারা পূব থেকে পশ্চিমের দিকে যায়। ডেকে ডেকে নিশ্চুপ হয়ে আসে রাতের পোকারা। এইসব কোনো কোনো রাতে বাসিরনের থুৎনির মধ্যে ধরে গাতক বলে, ‘তুই আমার শ্যামাঙ্গিনী! যাত্রায় রাজপুত্র যেমন পাইছিল, ঠিক তেমন শ্যামাঙ্গিনী!’ এইটুকু বলেই যাত্রার রাজপুত্রের ডায়লগ নকল করে একটু নিচু স্বরে সে বলে, ‘তোমার জন্য আমি ছাড়িব এই রাজ্যপাট। ছাড়িব সমস্ত সংসার! তুমি! তুমি আমার শ্যামাঙ্গিনী।’

গাতকের এই কথা শুনে বাসিরনের মুখ শরমে নত করে। গাল লাল হয়। কান গরম হয়। কিন্তু বুকের মধ্যে কেমন যেনো একটা নহর বইতে থাকে। এমন সময়ে বাসিরন মনে ভাবে, ‘লোকটা যে এক কথা কতবার কয়! কিমুন কইরা যে কয়! কথা শুইন্যা বুকের ভিতরে খালি মোচড়ায়।’

বাসিরন নত মুখে, মৃদুস্বরে বলে, ‘ধুর! আপনি যে কী কন!’

‘কী কই! তুই আমার বউ। আমার শ্যামাঙ্গিনী। আমার রাজত্ব নাই। কিন্তু তুই আমার রানী। তোরে আমি পথ থেইক্যা এইটুকু তুইল্যা আইন্যা বড় করছি। বয়স হইলে বিয়া করছি। আমারো কেউ নাই। তোর-ও কেউ নাই। তুই আমার মা। তুই-ই আমার বাপ। তুই আমার বাল-বাচ্ছা। তুই-ই আমার শ্যামাঙ্গিনী!’

এমন কথা যতবার শোনে ততবারই বাসিরনের বুকের ভেতর ঢিবঢিব ঢিবঢিব করে।

চল্লিশের উপরে বয়স ছমিরউদ্দীর। কিন্তু কেউ তাকে এই নাম ধরে ডাকে না। কেউ তাকে ডাকে কবিরাজ। কেউ ডাকে গাতক। কেউ ডাকে হাওয়া গাড়ির কারিগর। হাওয়া গাড়ির কারিগর ডাকার পেছনেও ইতিহাস আছে। ইতিহাস হলো, ছমিরউদ্দী তার সাইকেলটাকে ডাকে ‘হাওয়া গাড়ি’। সে বলে, ‘আমিও একটা হাওয়া গাড়ি। আমার সাইকেলও একটা হাওয়া গাড়ি। আমার হাওয়া গাড়ির আমিই খোদা। তার ভিতরে আমিই ভরি বাতাস। তারে আদরে-যত্নে রাখি। দেই আয়ু। আর আমার খোদা গোপন আছেন। হাওয়ায়। তারে টের পাই। হাওয়ায়। শুধু তারে চোক্ষে দেহি না। ফলে, আমি আর আমার হাওয়ার গাড়ি আসলে একই। আমরা হাওয়ার আত্মীয়। আমরা ভাই-ভাই। আমরা এই আছি, এই নাই।’

হাওয়া গাড়ির এই ব্যাখ্যা লোকে ছমিরউদ্দির কাছে এত বছর ধরে শুনতে-শুনতে তাকে কে জানি কবে ডাকা শুরু করছে, হাওয়া গাড়ির কারিগর। নামটা অবশ্য ছমিরউদ্দিরো খুব পছন্দ। হাওয়া গাড়ির কারিগর! বেশ ওজনদার একটা নাম মনে হয় ছমিরউদ্দীর কাছে।

গঞ্জে যাবার সময় হাওয়া গাড়ির পিছনে ছমিরউদ্দী একটা বাক্স বসায়। সেই বাক্সের ভেতরে থাকে মালিশের তেল, তাবিজ-কবজ, তাগা আর আরো যতো মাল-জিনিষ। বাক্সটা বসিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ছমিরউদ্দী হাওয়ার গাড়িতে উড়াল দেয়। উড়াল দেয়া ময়নার মতন দূরে চলে যাওয়া ছমিরউদ্দীর দিকে তাকিয়ে থাকে বাসিরন। বয়সের ব্যাবধান তাদের মধ্যে না হলেও ২০ বছর। সেই কবে কোন কালে রেল লাইনের পাড়ে ৪/৫ বছরের বাচ্চা অবস্থায় বাসিরনকে পেয়েছিল ছমিরউদ্দী! তারপর কত কাল গেলো! না হলেও তো ১৫/১৬ বছর। কিন্তু বাসিরন মনে ভাবে, ‘মানুষটা যেনো এহনো একটা বাচ্চা।’

আজ অবশ্য বাসিরনের তাড়াহুড়া আছে। আজ গাতক চলে আসবে আগেই। গঞ্জের হাট থেকে বাড়ি আসতে সাইকেলে লাগে প্রায় এক ঘন্টা। আজ সে বিকেলের মধ্যেই ফিরবে। গোসল-টোসল করে খেয়ে দেয়ে তারা আবার যাবে গঞ্জের হাট ফেলে আরো অন্তত দুই মাইল। যাবে মাঝের চক এলাকায়। তিন বছর পর এই শীতে মাঝের চকে নোয়াখালি থেকে এসেছে যাত্রার দল ‘দি প্রিন্স অপেরা’। সেই দলেরই একটা যাত্রা ছিল শ্যামাঙ্গীনি। শ্যামাঙ্গীনি যাত্রাপালায় এবার শ্যামাঙ্গিনী চরিত্রে অভিনয় করবে প্রিন্সেস ডলি। তিন বছর আগে ডলি নামে যে মেয়েটা উঠতি নায়িকা ছিল সেই এখন দি প্রিন্স অপেরা’র মূল আকর্ষণ। প্রিন্সেস ডলির নামেই এখন বিক্রি হয় টিকিট।

সেই পালায় আজ বাসিরনকে নিয়ে যাবে ছমিরউদ্দী। মাঝের চক এলকায় যেখানে যাত্রার প্যান্ডেল তার পাশেই আছে ছমিরউদ্দির এক খুব পেয়ারের দোস্ত। সেই দোস্তের বাড়ির পিছনের পুষ্কুনির পাড় থেকে আর সব মেয়ে-বউদের সাথে সে শুনবে যাত্রা। পুরুষদের মধ্যে মহিলাদের নিয়ে যাবার সুযোগ নাই। কিন্তু পুষ্কুনির পাড় থেকে প্যান্ডেলটা খুবই কাছে। খালি গলার আওয়াজও রাতে স্পষ্ট শোনা যায়। তাই, সুযোগ বুঝে প্যান্ডেলটা ঘুরিয়ে দেখিয়ে তারপর সেই বন্ধুর বাড়িতে রাখবে বাসিরনকে। বাসিরন শুনবে। আর তার হয়ে দেখবে ছমিরউদ্দী। তারপরে বাসিরনের শোনা শব্দের সাথে দৃশ্য যোগ করে-করে তারা এই যাত্রা নিয়ে গল্প করে কাটাবে আগামী কয়েক দিন।

বাসিরন তাড়াতাড়ি হাতের কাজ শেষ করে। ছমিরউদ্দী ফিরলে এক সাথে খায়। তারপর সন্ধ্যার পর তারা বের হয়। বের হওয়ার সময় গাতক বলে, ‘বউ! আইজ এই হাওয়া গাড়িতে কইরা তরে স্বর্গ দেহাইয়া আনবাম।’

বাসিরন বলে, ‘হাওয়া গাড়িটা আইজকা থইয়া গেলে অয় না! লইন দুইজন ভটভটিতে উইঠ্যা যাইগা!’

ছমিরউদ্দী বলে, ‘আরে! ফিরনের সময় মাইঝ রাইতে তুই ভটভটি পাইবি কই! হাইট্যা অত দূর ফিরবি কেমনে! ল, হাওয়া গাড়িতেই ল। চান্নি রাইতে হাওয়ার গাড়িতে কইরা ল, দুইজন অভিসারে যাই।’

তারা অভিসারেই যায়। সাইকেলের পিছনের সিটে বসে বাসিরন কবিরাজের পেট বরাবর জড়িয়ে ধরে থাকে। তার বুক, ডান গাল লেপ্টে থাকে হাওয়া গাড়ির কারিগরের পিঠের সাথে। সেই পিঠ থেকে ওম পায় বাসিরন। সেই বুক ও গাল থেকে ওম পায় গাতক। গাতকের পেটে ডান হাত দিয়ে প্যাচিয়ে ধরে রাখে বাসিরন। একজনের ওমে আরেকজন মাঘ মাসের কুয়াশার মধ্যে চাঁদনী রাতে অভিসারে যায়।
যেতে-যেতে ছমিরউদ্দী বলে, ‘ভয় পাইস না। আরো মেয়ে মানুষ থাকবো আমার দোস্তের বাড়িতে। শ্যামাঙ্গীনি দেখনের লাইগ্যা আশপাশের শওকখাল মহিলারা আইবো, আমার দোস্তে কইছে।’

ছমিরউদ্দী যেতে-পথে বলে, ‘শুনছি, শ্যামাঙ্গিনী যাত্রায় রাজনটী চরিত্রে প্রিন্সেস ডলির অভিনয়, বিশেষ করে তারে রাজপুত্রের বাবা, স্বয়ং রাজা, ষড়যন্ত্র কইরা মাইরা ফালানির সময় প্রিন্সেস ডলির অভিনয় দেইখ্যা দুই নয়ন জলে ভিজায় নাই এমন আদমি খোদার আসমানের তলে নাই।’

বাসিরন বলে! ‘থাউক! আর কইয়েন না! এইসব শুনলে আমার বুক মোচড়ায়! শ্যামাঙ্গীনিরে ছাইড়া পরে রাজপুত্রের না জানি কী কষ্ট অইছে!’

এইটুকু বলতে-বলতে, সাইকেলের পিছনের সিটে বসে ছমিরউদ্দীকে জড়িয়ে ধরে রাখে বাসিরন। ছমিরউদ্দী আস্তে-ধীরে প্যাডেল মারে। প্যাডেল মারতে-মারতে রাজপুত্রের ভঙ্গিমা নকল করে অকস্মাৎ বলে, ‘শ্যামাঙ্গিনী! শ্যামাঙ্গিনী! তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। তুমি ছাড়া মোর জীবন বৃথা। তোমার জন্য আমি ছাড়িব এই রাজ্যপাট। ছাড়িব সমস্ত সংসার!’

বলা শেষ হলে তারা দুইজনই এক সঙ্গে খিল খিল করে হেসে ওঠে। রাস্তাও প্রায় শেষ। বিশ্বরোডে উঠে গেছে গাতকের হাওয়া গাড়ি। এক মাইলের মতন বড় রাস্তায় গিয়ে পরে কাঁচা রাস্তায় যেতে হবে আর আধা মাইল। তারপরেই, প্রিন্সেস ডলি। তারপরেই শ্যামাঙ্গিনী।
বড় রাস্তা থেকে দুই ধারে খোলা আসমান। আসমানের উপর বিরাট চাঁদ। অগুন্তি তারা। সব কেমন কুয়াশায় আছন্ন। রাস্তায় তারা দুইজন হাওয়ার গাড়িতে চলে। আর হঠাৎ দু’য়েকটা ভটভটি বা রিকশা বা সাইকেল বা বিশ্বরোড ধরে রাত-বিরেতে চলাচল করা ইন্টারসিটি বাস। হাওয়ার গাড়িতে প্যাডেল মারতে-মারতে গাতক গুনগুনিয়ে সুর ধরে:

ইচ্ছামতী, ইচ্ছামতী
ইচ্ছা গোপন রাখো।।

রাখো ইচ্ছা বুকের তলে
রাখো ইচ্ছা চোখের জলে
রাখো গো গোপনে...

সুরটা গুণগুণ করতে-করতে সে এগুতে থাকে। এমন সময় অকস্মাত পিছন থেকে ধাক্কা দেয় একটা বাস। সাইকেল নিয়ে ছমিরউদ্দী ছিটকে পড়ে পাশের ক্ষেতে। ক্ষেতে পরে যেতে-যেতে ঘাড় ঘুড়িয়ে সে দেখে, বাসিরনের কোমরের নিচ থেকে পা দুইটা ক্ষেতের দিকে আর পেট থেকে মাথাটা বাসের নিচে। কিন্তু ছমিরউদ্দী তার নিয়ন্ত্রনে নাই। তাকে নিয়ে গড়িয়ে পড়ছে হাওয়া গাড়ি।

হাওয়া গাড়ি নিয়ে পাশের ক্ষেতে পড়ে আবার মুহূর্তে উঠার চেষ্টা করতে-করতে ছমিরউদ্দী দেখে, বাসিরনের পা দুইটা এক কি দুইবার খিঁচুনি দেয়। তারপর স্থির, অবশ। আর কোনো সাড়া নাই। ছমিরউদ্দী ক্ষেতের মধ্যেই বসে থাকে। ক্ষেত থেকে রাস্তাটা তার মনে হয়, বহু দূর। এতো দূর যে, সে আর ওঠার শক্তি পায় না।

২৩.১.১৭
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×