কত কিছু ঘটছে-- বাংলার আকাশে
আলো নিভে যাচ্ছে, তারারা জাগছে,
গোয়ালে ধোঁয়া দিয়ে কুপি হাতে জরিনার মা
উঠোন পাড় হয়ে আসছে বড়ঘরের দিকে;
আর শীতের প্রাক্কালে ভর সন্ধ্যায় প্রলম্বিত লয়ে
কুউউউউউউউউউউ বলে ডেকে উঠছে
ঋতু ও সময় ভোলা একটা কোকিল;
কোকিলের ডাক শুনে আমি মনে ভাবি:
পাখিদের সমাজেও গুম প্রথা চালু আছে নাকি?
নইলে কী এমন শোকে সে ভুলেছে সময়-জ্ঞান!
বাংলার আকাশের নীচে আরো কত কিছু ঘটে!
পল্টনে জনসভা হবে শুনে ত্রস্ত নাগরিকেরা
বিড়বিড়িয়ে করে প্রার্থনা: প্রভু!
বাচ্চাটা অসুস্থ্য। তাড়াতাড়ি আজ
বাড়ি যাওয়া দরকার। প্লিজ,
একটা বাস মিলিয়ে দিও।
আমি নিজেকে নিয়ে মাঝে মাঝে সিনেমাতে যাই,
আর রিকশায় কখনোবা যাই ভ্রমনে;
সেইসব একলা বিহারে রিকশার টায়ার
মাঝে মাঝে প্রেমিকের মতন বলে:
‘ওইখানে যেও নাকো তুমি’!
এই কথা শুনে আমি করি জিজ্ঞেস:
কেন! কী আছে ওইখানে!
ওখান যেতে তুমি কেন করো বারণ!
আমার ও টায়ারের আলাপন জাদুর মতন
সংগোপনে শুনে ফেলে রিকশার ড্রাইভার;
উত্তরে সে জানায় শুধু:
ওইখানে যাবে না যাওয়া,
ওইখানে আঁকা আছে সুবোধের দেশ।
১২.১১.১৭
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৪