এইসব বিহ্বলতার কথা পিছে ফেলে একদিন
কুয়োর জলের গভীরে রইবো চেয়ে,
দুপুরের সূর্য সেখানে করবে লুকোচুরি
পাশ থেকে গলায় ঝাঁঝ নিয়ে দাদী বলবে:
‘তরে না কইছি ইন্দিরার পাড়ে যাইস না;
এম্নে আয়, বেয়াদ্দব কোহানকার’।
আমার বয়স মধ্য তিরিশ নয়
আমের বোলের ঘ্রাণে আমি হবো না সকাতর
থেকে-থেকে খালি আমার ইচ্ছে হবে না মরে যেতে;
বিহ্বলতার কথা কেবল উপন্যাসে পড়বো আমি
কিন্তু বিহ্বল হবো না কোনোদিন— এইসব ভাববো—
নিদারুণ বিহ্বল দিনে।
কিন্ত কোথাও বেজে উঠবে একটা মায়াবী শঙ্খ
বুকের ভেতর সকলি উঠবে আকুলি-বিকুলি
তখন দাদীর ঝাঁঝ মেশানো গলার স্বর আমি পড়ে ফেলবো
দেখে ফেলবো ঝাঁঝের আড়ালে লুকানো মায়ার নহর;
তবু আমি কুয়ার ভেতর একধ্যানে থাকবো চেয়ে:
দেখবো সংসার অবশ করে দেয়ার সুরে একটা মোহন ঘুঘু
পানির ভেতর গাছের ডালে বসে ডাকছে অবিশ্রাম;
‘হুশ হুশ’ বলে তাকে তাড়াবো না আমি
কিন্তু আর তারে দেবো না সুযোগ;
বেশুমার ডেকে সে যেনো আর
বিবশ করে দিতে না পারে সংসার,
তাই তীরের মতন ছুটে গিয়ে আমি তাকে ধরে ফেলবো
জলের মধ্যে, কুয়োর ভেতর।
২৫.০৩.১৮
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪