মেগানের বিয়েটা নিয়ে আমার একটা আকর্ষণ ছিল।
রক্ষণশীল ব্রিটিশ রাজপরিবারে বধূ হয়ে এসেছেন হ্যারীর চেয়ে বয়সে বড়, তালাকপ্রাপ্তা এবং কৃষ্ণাঙ্গ বংশোদ্ভুত এক নারী।
স্বাধীন নারী।
কন্যাকে গীর্জার ভেতরে আইলের মাঝখান দিয়ে সাধারণত পিতাই হাত ধরে পাদ্রীর সামনে নিয়ে যাবার রীতি। কিন্তু মেগান সেই রীতি অস্বীকার করেছেন।
তার মতে, যে পিতার সাথে তার ছয় বছর বয়সে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, যে পিতার সাথে তার মানসিক কোনো বন্ধনই নেই তিনি কেন তাকে হাত ধরে হাঁটাবেন!
খ্রীষ্টিয় ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষদেরকে বিয়ের সময় পরস্পরকে ভালোবাসার ও আমৃত্যু সাথে থাকবার প্রতীজ্ঞা করতে হয়।
কিন্তু সেই প্রতীজ্ঞায় পুরুষ ও নারীর জন্য আছে কিছুটা ভিন্নতা।
পুরুষেরা সাধারণত প্রতীজ্ঞার সময় বলেন যে তিনি তার স্ত্রীকে ভালোবাসবেন; আদর ও সম্মানে রাখবেন।
আর নারীরাও তার স্বামীকে ভালোবাসা ও সম্মানে রাখার প্রতীজ্ঞা করেন। কিন্তু তার পাশাপাশি তাকে এটাও বলতে হয় যে, তিনি স্বামীর (obey) বাধ্য থাকবেন এবং তার সেবা (serve) করবেন।
কিন্তু মেগান প্রতীজ্ঞার সময় হ্যারীর বাধ্যগত থাকবেন আর দাসীর মতন তার পূজা বা সেবা করবেন এমন কোনো শব্দ বলেননি।
ক্ষয়িষ্ণু ব্রিটিশ রাজপরিবার। জাঁক-জমক, ঠাঁট-বাট কিচ্ছু আর আগের মতন নেই। তবে, হ্যাঁ, রক্ষণশীলতা ছিল।
কিন্তু মেগানকে রাজবধূ হিসেবে পরিবারে স্বাড়ম্বরে বরণ করে নেয়ার মধ্য দিয়ে রক্ষণশীল রাজপরিবারে শুরু হলো প্রকৃত আধুনিকায়ন।
আর হ্যাঁ! ধন্যি যুবরাজ হ্যারি!
এমন রাজপুত্তুর-ও এ জামানায় হয়!
তিনি তো সত্যিই সত্যিই রূপকথার যুবরাজের মতনই বিপ্লব ঘটিয়ে দিলেন!
রাজপরিবারের সদস্যদের এই বিয়েতে রাজি করাতে হ্যারিকে নিশ্চয়ই কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি!
আমাদের ঘরে-ঘরে হ্যারির মত পুত্র পাবার বর দেওয়ার চল চালু হোক!
মেগান ও হ্যারী সুখে থাকুন। ভালোবেসে ঠিক যেমন রূপকথায় সুখী থাকে যুগলেরা।
ভালোবাসার জয় হোক।
#মেগানমার্কলে #হ্যারি #MeghanMarkle #Harry #RoyalWedding
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৬