somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুল বিক্রেতা সুমন, আর একটা খুজে ফেরা স্মৃতির গল্প..................

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফুল বিক্রেতাঃ বাইয়া আসসালামুয়ালাইকুম।
আমিঃ ওয়ালাইকুম সালাম। লাগবে না, যাওগা।
ফুল বিক্রেতাঃ বাইয়া কেমন আছেন?
আমিঃ ভাল। বললাম না লাগবে না। ঐ মিয়া, কানা নাকি? দুইডা পাডা সাইজের পোলারে দেইখ্যা কি তোমার মনে হইতাসে, আমরা এইহানে প্রেম করতাছি? ঐ যে জুটি গুলান দেখতাছ, ঐ হানে গিয়া ফালাও কামে দিব।
ফুল বিক্রেতাঃ কি যে কন বাইয়া (পান খেয়ে লাল হয়ে যাওয়া দাত বের করে হাসতে হাসতে)। অনেক দিন পর এইখানে আসলেন। ৩/৪ বছর তো হইবই। ঠিক কইছি না বাইয়া?
আমিঃ ঐ বেডা!!! কাহিনী কি? গেলি। কইলাম না ফুল নিমু না।
ফুল বিক্রেতাঃ ফুল নেওনের কতা কই নাই বাইয়া। ম্যালা দিন পর আপনেরে দেখলাম তো তাই জিগাইলাম আর কি।
আমিঃ তুমি আমাকে চেন?
ফুল বিক্রেতাঃ জ্বি বাইয়া। আপনে আগে আফারে লইয়া এইহানে প্রায় প্রত্যেক দিন ই আইতেন। ঠিক এই জায়গাটাতে বসতেন। এইহানে বইস্যা গল্প করতেন আফার লগে আবার মাঝে মাঝে ভাত খাইতেন। আর আমি আইস্যা আপনেগোরে ডিস্টাব দিতাম। আফা আপনেরে কখনো একটা ফুল ও কিনতে দেয় নাই। আমার মনে আছে। আপনে পকেট থেইক্কা ট্যাকা বাইর করার পর ও হেয় আপনেরে ফুল কিনতে দিত না।
আমিঃ এ…ই!!! নাম কি তোমার?
ফুল বিক্রেতাঃ জ্বি বাইয়া, আমার নাম সুমন।
আমিঃ এত্ত কিছু কেমনে মনে রাখছ তুমি?
সুমনঃ বাইয়া এই লেক ই আমার পেট চালায়। আমি সব্বাইরে চিনি। কাউরে ভুলি না। আমি মাঝে মাঝে মনে মনে আপনেগোরে খুজতাম, পরে ভাবছি আপনেরা মনে হয় বিয়া কইর্যাে ফালাইছেন। বাইয়া আফায় কেমন আছে? আফারে লইয়া আইলেন না?
আমিঃ আফা তো নাই।
সুমনঃ মানে কি বাইয়া? ছাড়াছাড়ি? এইডা হয় বাইয়া। এই লেকে কত্ত ছাড়াছাড়ি, কত্ত প্রেম হওয়া দেখলাম। আপনে মনে কুন কষ্ট লইয়েন না। বিয়া করেন বাইয়া। আল্লাহ্‌র হুকুমে সব ঠিক হইয়া যাইব। আপনে বালা মানুষ। বালা মানুষের আল্লাহ্‌ কখনো খারাপ করে না।
আমিঃ হুমম। আমাকে একটা ফুল দাও সুমন।
সুমনঃ ফুল নিবেন বাইয়া!!!!
(বড় এবং লাল টকটকে একটা গোলাপ আমার দিকে বাড়িয়ে দেয়, আমি তাকে একটা ১০০ টাকার নোট দেই)
সুমনঃ বাইয়া আইজক্যা আমি ফুলের দাম নিমু না। এইডা আমার পক্ষ থেকে একটা গিফট।
আমিও আর জোড় করি না। সুমনের দেয়া ফুলটা হাতে নিয়ে নিঃশব্দে হাটা দেই। একদিন আমার পকেটে ফুল কেনার টাকা থাকত না কিন্তু তুমি ছিলে। আর আজ যখন আমার পকেটে টাকা আছে তখন ফুল কিনতে আর টাকা লাগে না, তুমিও নেই…………………………..
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×