somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কি এবার মামুনকে মৃত্যু দুয়ার হতে ছিনিয়ে আনতে পারবনা!!!

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি আমার মামুন কে তোমাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি, আমি জানি আমার মামুন ফিরে আসবে। তোমাদের সাথে কাঁধে হাত রেখে হাসতে হাসতে।- কথা গুলো বলছিলেন একজন জনমদায়ী পরম মমতাময়ী মা যার নারী ছেঁড়া ধন আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পিজি হাসপাতালের বিছানায়। আমরাও কথা দিয়ে এসেছি তার নাড়ি ছেঁড়া ধনকে আমরা তার বুকে ফিরিয়ে দেব, হোক না যত অসম সেই যুদ্ধ।

শিক্ষা গ্রহন বিষয়টাকে অবশ্যই হতে হবে আনন্দময় এমন একটা বিশ্বাসকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে জয়েন কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগকে করেছিল সগৌরবে প্রত্যাখান। আর তাই ফরিদপুর থেকে এসে ঢাকা রেসিডেন্সিয়ালের গন্ডি পেড়িয়েই সে সোজা চলে আসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়তে।
আমি কথা বলছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৩৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল-মামুনের কথা। চমৎকার রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার কারনে ক্যাম্পাসে যে কিনা পরিচিত হত ‘রবীন্দ্র মামুন’ নামে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মোটামুটি সকল কিছুতেই আনন্দ খুজে ফেরা এই ‘রবীন্দ্র মামুন’ নম্বর তোলার চেয়ে অধিক মনযোগী হত, একটা আনন্দময় শিক্ষা ব্যবস্থার খোঁজে। আর সেই সূত্র ধরে সে একজন ব্যাক বেঞ্চার ও!

এই ব্যাক বেঞ্চার আজ পিজি হাসপাতালের হেমেটলজি বিভাগে (ব্লক-ডি, ১৫ তলা) লড়ছে মরনঘাতি ব্লাড ক্যান্সারের সাথে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে মামুন মুখে তার অমলীন হাসি নিয়ে আজ শরীরে প্লাটিলেট নামক রক্ত কনিকা নিয়ে চলেছে। এখানেও যেন সে খুঁজে ফিরে চলেছে আনন্দ নামক অনুষঙ্গটি। মরনঘাতি ক্যান্সারে ঠিক কতদিন মামুনের এই আনন্দ টিকে থাকবে, আমরা জানিনা!!



মামুনের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিতে হবে। আর এই অল্প সংখ্যক টাকাই আজ আমাদের জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দরিদ্র পিতার পক্ষে এই টাকা জোগাড় অসম্ভব। তবে এটা আমাদের জন্য সম্ভব। কত্ত মামুনকে না আমরা মৃত্যুর মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা এবারো নিশ্চিত ছিনিয়ে আনবো আমাদের মামুনকে। নিয়ে আমাদের আসতেই হবে কারন আমরা যে কথা দিয়েছি, মামুনের মা কে। আমাদের মা কে।
আসুন না, আমরা সকলে মিলে আবারো মামুনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। করুন না সহায়তা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী। এবারের ঈদে না হয় একটা অংশ আমাদের এই মৃত্যু পথযাত্রী বন্ধুর জন্য বরাদ্দ করুন। প্লিজ এড়িয়ে যাবেন না। আমাদের এই লড়াইয়ে আমাদের হাতে হাত রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিন। আমাদের ক্ষুদ্র একটা প্রয়াসই পারে মৃত্যু পথযাত্রী মামুনকে ফিরিয়ে আনতে।
টাকা যেভাবে পাঠাবেনঃ

Savings accounts,
A/C name: Al Mamun.
NO. 1261510072166
Dutch-Bangla Bank Ltd.
Elephant Road Branch
Dhaka

Bkash no. 01717769877. Mustafizur Rahman ( মামুনের মামা)

যারা বাইরে থেকে অর্থ প্রেরণ করতে চান
Swift- DBBLBDDH Al Mamun
A/C no. 1261510072166
Dutch Bangla Bank Ltd.
Elephant Road Branch
Dhaka

(লেখাটি প্রস্তুত করনে তথ্য সরবরাহ করেছেন মামুন-উর-রশিদ। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা!)

আপডেটঃ আল মামুন জেট এয়ারওয়েজের ১২৫০ ঘণ্টার ফ্লাইটে আজ মুম্বাই পৌছে সেখানে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে ভর্তি হয়েছে।

মামুনের চিকিৎসা বাবদ আমাদের প্রাপ্ত অর্থের মোট হিসাব
আয়
বিকাশে জমা হয়েছে: ৩৪০০০/=
ডাচ বাংলায় মোট জমা হয়েছে: ১৬০০০/=
ক্যাম্পাস হতে উঠেছে: ৫৯২৮০/=
হেলেন কিলার ইন. হতে: ১৩০০০/=
৪০ ব্যাচের এক জন: ১১০০০/=
২৪ ব্যাচের একজন: ১০০০০/=
৩৮ কম ব্যাচ নৃবিজ্ঞান- ৩৪০০০/=
মোট : ১৭৭২৮০/=
খরচ: ১০০৫০০/= বিমান ভাড়া বাবদ।

কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি মামুনকে নিয়ে যাবার সময় ওর সাথে যে পরিমান অর্থ নিয়েছে খুব বেশি নয়। আমাদের কাছে খুব বেশি টাকা অবশিষ্ঠ নাই যে আমরা টাকা পাঠাবো। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমরা সত্যিই এখন নিরুপায়। সবার কাছে আকুল আবেদন আমাদের এই বন্ধুকে বাঁচাতে প্লিজ আপনারা আপনাদের সামর্থের সর্বোচ্চ টুকু দিবেন। আপনার দেওয়া অর্থ হয়তবা আপনার কাছে অনেক কম কিন্তু আপনাদের কাছে এমন সবার দান একত্রে অনেক বড়।
তাই প্লিজ আপনারা আমাদের এই বন্ধুর জন্য আপনাদের সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসুন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:১২
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×