somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'নারী' বিনির্মানঃ ভাষ্যিক আধিপত্য এবং পরিবেশনের রাজনীতি

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নারী শব্দটি মূলত সংস্কৃত 'নৃ' তথা মানুষ (পুরুষ) শব্দের স্ত্রী-বাচক শব্দ হিসেবে বাংলা অভিধানে আবির্ভূত হয়েছে। উক্ত শব্দের মতই যুগে যুগে সারা বিশ্বে নারীর নির্মান হয়েছে পুরুষের বিপরীতে যেখানে নারীকে হতে হয়েছে প্রতি পদে পদে পুরুষের বাধ্য, অনুগত, নিয়ন্ত্রিত ও সংরক্ষিত। আর এই আনুগত্য, নিয়ন্ত্রন এবং সংরক্ষনের মাধ্যমে নারীকে চার দেয়ালে বন্দী করা সম্ভব হয়েছিল ব্যাক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের নানান আইন কানুন ও নীতিমালার মাধ্যমে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীর সেই বাধ্যগত অবস্থার প্যাটার্নের পরিবর্তন হতে থাকে। যদিও বিশ্বের কিছু দেশ এখন নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাধীনতা-সমধিকার এবং তৎ-সংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহ নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছে তথাপি তার প্রভাব বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের আর কোন দেশে সেভাবে পড়ে নাই। রাষ্ট্রগুলো নারীর প্রতি সহিংসতা, অবদমন এবং সমধিকার রক্ষায় নানান নীতিমালা তৈরি তো করে চলেছে কিন্তু সমাজ, ধর্ম এবং ব্যাক্তিক পর্যায়ে এসে তা সাথে সাথেই খারিজ হয়ে যাচ্ছে। নারীর এহেন অবদমন প্রসঙ্গে 'বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত' তার 'আমাদের অবনতি' প্রবন্ধে দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে ব্যাক্ত করেন, ' যখনই কোন ভগ্নী মস্তক উত্তোলনের চেষ্টা করিয়াছেন, অমনি ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচনরুপ অস্ত্রাঘাতে তাহার মস্তক চূর্ন হইয়াছে। আমরা প্রথমতঃ যাহা মানি নাই, তাহা পরে ধর্মের আদেশ ভাবিয়া শিরোধার্য্য করিয়াছি। আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্য পুরুষগণ ঐ ধর্মগ্রন্থগুলিকে ঈশ্বরের আদেশপত্র বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। এই ধর্মগ্রন্থগুলি পুরুষ রচিত বিধি-ব্যাবস্থা ভিন্ন আর কিছুই নহে।'- বাস্তবিক বিশ্বধর্মগুলোর প্রায় সবকটিতেই রয়েছে নারীকে নানাভাবে কোনঠাসা করে রাখবার বিধান। ধর্মগ্রন্থের বিধানগুলো যেন পুরুষতান্ত্রিকতার আদলে লেখা।প্রচলিত এই ধর্মগ্রন্থগুলো আতিপাতি করে খুজলে পুরুষতান্ত্রিকতার বাইরে গিয়ে লেখা হয়েছে এমন শব্দ পাওয়া দুস্কর। পুরুষের চোখ নারীকে যেভাবে দেখতে চায় সেভাবেই মিলে এখানে নারীর বিধান।
বেগম রোকেয়ার কথার সূত্র ধরে জার্মান দার্শনিক নিটশে'র কথা সামনে নিয়ে আসা যেতে পারে। নিটশের মতে, 'সমাজ রাষ্ট্রে চলতে গিয়ে আমরা কিছু দৃষ্টিভঙ্গী-মূল্যবোধ তৈরি করি। তৈরি করে আমরা তা ভূলে যাই, আর ভূলে যে যাই আমরা তাও ভূলে যাই, ফলে তৈরি করা ঐসব দৃষ্টিভঙ্গি-মূল্যবোধকেই আমরা বৈধ আর স্বাভাবিক মনে করি।' হতে পারে, কোন মানুষ যখন পুরুষতান্ত্রিক পরিবেশে বেড়ে ওঠে তখন সে পুরুষের চোখেই নারীকে দেখে, বিচার-বিবেচনা করে এবং তার আলোকেই সমাজে নারীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি-মূল্যবোধ তৈরি হয়, তৈরি হয় আইন-কানুন, রীতি-নীতি। সময়ের আবর্তনে তা স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকতর হতে থাকে। আর নারীরাও তা বেদবাক্য জেনে দিনের পর দিন মাথা পেতে নিতে থাকে। আন্তানিও গ্রামসির হেজেমনি ধারনাটা এখানে বেশ জুতসই হলে হতেও পারে। যেখানে একদল মানুষ আরেকদল মানুষের মানসিকতার উপর এমন প্রভাব তৈরি করে যে তারা ধরেই নেয় তারা এমনই, তাদের এমনই হওয়া উচিত। কাউন্টার কিছু যে তৈরি হয় না বিষয়টা তেমন নয়। কিছু মানুষ এই হেজেমোনাইজড অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে নারীর অধিকার আদায় তথা শোষন নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যান।

একথা অনস্বীকার্য যে, জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী-মনোভাব পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে নারী-পুরুষ বৈষম্য পুরোপুরি না ঘুচলেও নারীরা এখন আর পূর্বের মত অবহেলিত, অন্তপুরবাসিনী কিংবা একান্ত পুরুষ নির্ভর সেকথা বলা যাবেনা। অর্থনীতির গোলকধাঁধায় বিশ্বের যে কটি দেশ আজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের প্রত্যেকেই নারীর ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করেছে। সেইসব দেশের নারীরা আজ শুধু পতিসেবী, সন্তান জন্মদাত্রী কিংবা হেঁসেল সামলানো রমনী নন বরং তারা আজ দেশ পরিচালনা করছেন, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, পাহাড় চূড়া জয় করছেন, অসীম আকাশে নভোচারী হয়ে উড়ছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করছেন, সাংবাদিকতা করছেন, সারা বিশ্বকে দিয়ে চলেছেন নতুন এক অবয়ব। আর যেসব রাষ্ট্র এই ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করতে ব্যার্থ হয়েছে সেইসব দেশে এখনো অটুট রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক বৈশিষ্ঠ্য মন্ডিত রক্ষনশীল সমাজ, সেখানে ঘরে বাইরে প্রতি নিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলেছে নারী, অসহনীয় ইভটিজিং এর শিকার হয়ে বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ।

আমাদের সমাজে সাধারনত নারীকে উপস্থাপনের জন্য নানান সময় নানান বিশেষন এবং পরিভাষা ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। কখনো সে অবলা, কখনো পতিব্রতা, গৃহিনী, অন্তঃপুরবাসিনী, নাগিনী, সাপিনী আরো কত্ত কি! একটা ভাষা শুধু মানুষের মনোভাব প্রকাশ কিংবা যোগাযোগেরই যে মাধ্যম বিষয়টা তা নয়, একই সাথে এটি পুরো আর্থ-সামাজিক অবস্থাকেও ফুটিয়ে তোলে। ফার্ডিন্যান্ড সস্যুঘের মতে, মানুষের মনোজগতের যেকোন বস্তু বা ভাবনাই অর্থযুক্ত। ভাষার বাইরে কোন বাস্তবতা নাই। তিনি বলেন, ''ভাষা হল একটা চিহ্ন ব্যাবস্থা" (Language is a system of signs)। উচ্চারিত শব্দ, ইমেজ, লিখিত শব্দ, চিত্রকলা, আলোকচিত্র ইত্যাদি ভাষার ভিতরে চিহ্ন হিসেবে কেবলমাত্র তখনই কাজ করে যখন সেগুলো চিন্তা প্রকাশ করে কিংবা যোগাযোগ স্থাপন করে। যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সেগুলো হতে হবে প্রথা নির্ভর ব্যাবস্থার অংশ; কোন বস্তুও চিহ্ন হতে পারে, অর্থ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থ্যাত 'নারী' শব্দটা যখন আমরা শুনি তখন এটি শুধু একটা শব্দ হিসেবে থাকেনা তৎক্ষণাৎ সেই প্রথানির্ভর ব্যবস্থায় আমরা নারীর একটা অবয়ব পেয়ে যাই। আর এই অবয়বটা অনেক সময় হয়ে ওঠে দূর্বল, পরনির্ভরশীল, অবলা, গৃহিনি, জায়া, জননী, রাঁধুনি, ঘরের বাইরে যাওয়া যাবেনা, পর্দায় থাকতে হবে, কম শিক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদি।

নারী তথা এর নির্মানকে বুঝতে হলে অবশ্যই একই সাথে পরিবেশন বোঝা জরুরী। আর এই পরিবেশনকে বুঝতে গিয়ে মিশেল ফুকো ভাষার থেকে অধিক মনযোগী হয়েছিলেন 'ডিসকোর্সে'র প্রতি। ডিসকোর্স হল একসারি বক্তব্য যা একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক মুহুর্তে কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে বলতে ভাষার যোগান দেয়। এবং এই নির্দিষ্টতা সম্বন্ধীয় জ্ঞান পরিবেশনের একটা পথ দেখায়। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা যখন নারীকে অবলা, গৃহিনী, স্ত্রী, জায়া, জননী, রাঁধুনি, দূর্বল, অসহায় ও অন্যান্য বিশেষনগুলো দিয়ে বিশেষায়িত করছে তখন শুধু এগুলো নিছক কোন বিশেষন নয় বরং এগুলো একভাবে রেপ্রিজেন্টেশন। এগুলোর মাধ্যমেই নারীর প্রকৃত অবস্থান ফুটে উঠছে। আর এই রেপ্রিজেন্টেশনের উপাদানগুলো তথা ভাষার ভাব, শব্দ, ধ্বনি, অর্থ গুলো গড়ে উঠছে সমাজ, রাষ্ট্র ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থা দ্বারা। আবার অন্যদিকে 'সাফির-হুরফ হাইপোথিসিস' প্রস্তাব করে যে, একটি ভাষার শব্দ ভান্ডার সেই সংস্কৃতির বোধগত বা কগনিটিভ বর্নসমূহকে সংকেতাবদ্ধ করে। আবার ভাষার ব্যাকরণগত কাঠামো বোধগত বা কগনিটিভ বর্গ ও যৌগিক সম্পর্ক আত্মীকরন করে যা মানুষের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার উপলব্ধিকে সংগঠিত করে। তবে এই ভাবনা ও বাস্তবতা সমাজভেদে ভিন্ন হয়- এ কারনে এটি আপেক্ষিক। অর্থ্যাত সাপির-হুরফ হাইপথিসিস ও একই ভাবে বলছে, কোন নির্দিষ্ট ভাষা কাঠামো সেই ভাষাভাষীদের ভাবনাকে প্রভাবিত করে।

উপরোক্ত ভাবনাগুলো থেকে এটা পরিস্কার যে, একটা পুরুষতান্ত্রিক অথবা অন্য কোন সমাজ ব্যাবস্থায় নারীকে যেভাবে ভাবা হয় তার আদলেই তার জন্য আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি নির্মিত হয় এবং নারীর একটা অবয়বকে ভাষার মাধ্যমে ব্যাক্ত করা হয় যেখানে ভাষাগুলো একেকটা সাইন বা চিহ্ন। ভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে এই চিহ্নগুলো ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ধারন করে যার অর্থগুলো সমাজ, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যাবস্থা দ্বারা ভীষণভাবে আরোপিত। একই সাথে এমন একটা সিস্টেম তৈরি করে রাখা হয়েছে যেখানে নারী এসব বিষয়কে স্বাভাবিক জেনে এবং মেনে তার বিপরীতে আশানুরুপ আচরন করে। যার বাইরে যাবার স্পর্ধা সে কখনোই করে না, সু-একজন যদি যাবার চেষ্টাও করে তবে তাকে কঠোর ভাবে দমনের দাওয়াই ও রয়েছে এই সিস্টেমের মধ্যে।

উপমহাদেশে নারীর অবদমন, লাঞ্ছনা, পরাধীনতা, বৈষম্য, নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়গুলো ইত্যকার কোন ঘটনা নয়। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে এর শেকড় সুদূর থেকে সুদূরে গ্রোথিত। পাল শাসনামলে, কোন পুত্র সন্তান জন্মদান করাতে ব্যার্থ হবার কারনে পাল রাজা ধর্মপালের স্ত্রীকে বনবাসে পাঠানো হয়েছিল। আবার বারো শতকের দিকে সেন রাজাদের সময় কম বয়সী কনের সাথে তার তিনগুন বেশি বরের বিবাহের রেওয়াজ চালু ছিল। এ সময় উচ্চশ্রেনীর কিছু নারী অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হলেও তাদের স্বেচ্ছায় চলাফেরার ক্ষমতা ছিল সীমিত। পরিবারে তাদের অবস্থান থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ছাড়া তাদের আর কোন আইনগত অথবা সামাজিক মর্যাদা ছিলনা। তারা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারতেন না। কিছু কিছু বিধবার স্বামীর কোন পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকলে সেই বিধবাদের মৃত স্বামীদের সম্পত্তি ভোগ করবার অনুমতি দেয়া হত সেসময়। বিধবাদের অমঙ্গল সূচক ভাবা হত এবং কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাদের জন্য ছিল কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। মুসলিম শাসনের শুরুর দিকে, নারীর শুদ্ধতা বজায় রাখা বিষয়টি বেশ জোরেশোরে সামনে চলে আসে যার প্রধান ভিত্তি ছিল বিবাহ, বিবাহ এবং সন্তানের পিতৃত্ব বিষয়টি ছিল বেশ সতর্কতার। মুঘল শাসনামলে, যদিও কিছু সংখ্যক হিন্দু মেয়ে পাঠশালায় যেত এবং কিছু সংখ্যক নারী তাদের পান্ডিত্যের জন্য সুপরিচিত ছিল তথাপি নারীদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা খুব সহজ কিছু ছিলনা। মেয়েরা শিক্ষা গ্রহন করলে সেটা তাদের অকাল বৈধব্য ডেকে আনবে এটা ছিল মোটামুটি সর্বজনবিদিত। বাল্যবিবাহের প্রতি ঝোক এবং নারী সতীত্বের ব্যাপারে উদ্বেগের ফলাফল হিসেবে তারা নারীদের শিক্ষা লাভের জন্য ঘর হতে বাহিরে যেতে দিত না। দু একজন যারা পড়তে শিখেছিল, তারা শিখেছিল বাড়ির ভেতরে। অন্দরমহলে।

ব্রিটিশ শাসন জনগনের আর্থ-সামাজিক জীবনে একটি সুদূর প্রসারী পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ সময় উপমহাদেশে ব্রিটিশদের দ্বারা হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায় দুটি প্রভাবিত হয়েছিল দুই ভাবে। এ সময় মুসলমানেরা এবং কিছু সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায় ব্রিটিশ সরকারের তথাকথিত 'সভ্যতা' টার্ম থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখলেও বাকী হিন্দুরা নিজেদের সমাজ, সভ্যতা এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত ভাবনায় পুনঃ মনোসংযোগ স্থাপন করে এবং সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, বৈধব্য, বহুবিবাহ এবং শিক্ষার মত বিষয়ে বাঁধা নিষেধের মত বিষয়গুলো সামনে চলে আসা শুরু করে। কঠোর নারী অবস্থার কিঞ্চিত পরিবর্তন সাধন হলেও যুগ যুগ ধরে উপমহাদেশে চলে আসা 'নারী' টার্মটাকে বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে, এই নারীকে পারিবারিক কাঠামোতে নিয়ে পুরুষতান্ত্রিকতা দিনের পর দিন তার পায়ে বেঁড়ি পড়িয়ে রেখেছে কখনো ধর্মের নামে, কখনো সমাজের নামে, কখনো স্বর্গ বা বেহেশতের লোব দেখিয়ে কিংবা সামাজিক সুনামের প্রলোভনে। আর সাথে দমন-নির্যাতনের ঘটনাগুলো তো থাকছেই।

আবহমান বাংলার নারীর জীবন কাহিনী হল অবদমন, অধঃস্তনতা আর নির্যাতনমুখর কাহিনী। যুগ যুগ ধরে পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে একটা আজন্ম নিরব সংগ্রামের কাহিনী। যেখানে দিন বদলের সাথে সাথে পুরুষাধিপত্য, অবদমন, অধস্তনতা আর নির্যাতনের রকমের ও বদল হতে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×