ঈদের দিনে গরিব-ধনী সকল লোকই সমান,
চাইলে যে কেউ অমনি দেব হাদিস থেকে প্রমাণ।
নেই কোনও ভেদ,নেই কোনও খেদ—এক কাতারে সবাই,
বছর ঘুরে এদিনটাতে পশুত্ব হয় জবাই।
নিয়মমতোই সব ছিল ঠিক ঈদগাহ যখন গেলাম
কোত্থেকে এক চাষার ছেলে করল এসে সেলাম;
ময়লা দেহে ময়লা পোশাক— ছোপ লেগেছে কাদায়
ওসব পরেই পড়ল পায়ে কত্ত বড় গাধাই!
ময়লা-মাটি লাগল পায়ে, খিঁচড়ে গেল মেজাজ
থাবড়া দিয়ে ভাগিয়ে দিয়ে দেখিয়ে দিলাম তেজ আজ!
ভ্যাবলা ধাঁচের গ্রামের মানুষ এমনি কি সব গোঁয়ার?
ক্যান যে এরা বাইরে থাকে!—রাষ্ট্রে কি নেই খোঁয়াড়?
খানিক বাদেই,নামাজ যখন,কোত্থেকে যে আবার
ময়লা জামার ছ্যামড়া এল—কম্ম দেখি কাবার!
আসবি তো আয়, অমনি এসে দাঁড়িয়ে গেল পাশেই!
সকাল-সকাল ঈদগাহ এসে ক্যান যে পেলাম বাঁশ এই!
খুতবা শেষে পড়ল যে ডাক— ছোট্ মিয়া দ্যাও ভাষণ
নাদান এরা—তারপরও দেয় সম্মানের এই আসন!
কী আর করা,মাইকটা ধরে সামনে গিয়ে সবার
মন জুড়ানো বক্তৃতা দিই, আজকে মানুষ হবার—
"আজকে হলো সাম্যবাদের কাম্য ঈদের দিবস,
ও ভাই, এদিন পাপের হাতে থাকতে আছে কি বশ?
আসুন সবাই এক হয়ে যাই—আসুন সবাই আসুন
মনটা খুলে সবাইকে ভাই, আজকে ভালোবাসুন।"
—নেতার ঈদ
স্নিগ্ধ মুগ্ধতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮