জৈন্তাপুরের ওসি সাহেব বিষম প্যারায় আছেন।
নিজেই তিনি দ্বিধায় আছেন—মরেন নাকি বাঁচেন!
চতুর্দিকে হঠাত্ করেই ধুম পড়েছে চুরির—
হচ্ছে চুরি বুড়োর জিনিস, হচ্ছে ছোটো ছুঁড়ির!
ওসি সাহেব যখন দেখেন চুকছে নাতো ল্যাঠা!
কনস্টেবল মুকুলকে কন—চোর ধরে আন, ব্যাটা!
আজকে রাতে চোর যদি তুই আনতে না পাস ধরে
লকাপ খুলে ঘাড়টা ধরে তোরেই দেব ভরে!
মুকুল মিয়া এহেন কথায় গেলেন পড়ে ঠেকায়,
চোর ধরে তাই আনতে তিনি বেরিয়ে গেলেন একাই!
সারাটা রাত খুঁজে-খুঁজে যখন প্রায় ভোরই!
চোরকে তিনি আনেন ধরে গলায় বেঁধে দড়ি!
ব্যাপার শুনে ওসি সাহেব এসে দেখেন নিচে
চার-ঠেঙে এক চোর এনেছে —লেজ আছে তার পিছে!
লেজ তো আছে, লোমও আছে সারাটা গা ভরে!
ওসি সাহেব বলেন—ব্যাটা! আনলি কেমন চোর এ?
মুকুল বলেন—রাতভরই তো করে গেলাম ধাওয়া
ছিঁচকে বলেন পুঁচকে বলেন—সব চোরেরাই হাওয়া!
সিঁধকাটা-চোর, ট্যাঁককাটা-চোর—চোর যে কতো আরও
গাইগরু-চোর, ভ্যানগাড়ি-চোর পেলাম না খোঁজ কারও!
কত রকম চোর ধরিতে কত্তখানেই গেলাম!
কোনও চোরই পেলাম না, এই “খচ্চর”টাই পেলাম!
—চোর ধরার ফ্যাসাদ
স্নিগ্ধ মুগ্ধতা।
১২ নভেম্বর, ২০১৭।
[অনিবার্য কারণবশত ছড়াটি ব্লগার "মিথী_মারজান"কে উৎসর্গ করা হলো!]