somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মওদুদের যে লেখা নিয়ে তোলপাড়

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের সদ্য প্রকাশিত বই 'বাংলাদেশ: ইমারজেন্সি অ্যান্ড দ্য আফটারম্যাথ :২০০৭-২০০৮'-এর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তার নিজ দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে খালেদা জিয়ার সম্পর্কে মিথ্যা মূল্যায়ন করে বইটি লিখেছেন মওদুদ আহমদ। লেখকের দাবি_ মিথ্যা নয় বরং ইতিহাসের সত্য ঘটনাকে তুলে ধরতেই বইটি লেখা হয়েছে। এক-এগারোতে কারাগারে থাকার সময় বইটি লেখেন।

মওদুদ আহমদ তার বইয়ে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সেনা সমর্থিত সরকারের বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা, রাজনীতিবিদদের দমনের চেষ্টা, মাইনাস টু ফর্মুলা, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে মুক্ত করতে খালেদা জিয়ার প্রচেষ্টা, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেনা সরকারের সমঝোতা, বিএনপির জামায়াত-নির্ভরতা, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ তুলে ধরেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এই নেতা লেখেন, হাওয়া ভবন ও দুর্নীতি ছিল বিএনপির নির্বাচনে পরাজয়ের বিশেষ কারণ।

এক-এগারোতে দুই নেত্রীর মধ্যে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন মওদুদ। তার বইয়ে দেয়া তথ্যানুযায়ী, খালেদা জিয়া সেনা-শাসকদের সঙ্গে দুই ছেলের মুক্তি ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে আপস করেননি। শেখ হাসিনা সেনা-শাসকদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। এক-এগারোর মূল মইন ইউ আহমেদ বিএনপির প্রতি আনুগত্যের কারণে সেনাপ্রধান হতে পেরেছিলেন।

ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-ইউপিএল থেকে প্রকাশিত বইয়ে মওদুদ আহমদ এক-এগারো প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ইংরেজিতে লেখা এ বইয়ে সে সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে সেনা কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি দমন কমিশনের অবস্থা, বিচার বিভাগ, অর্থনীতি, রাজনৈতিক সমঝোতা, তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের ভূমিকা ও ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে নানা বিষয় বইয়ে তুলে ধরেছেন তিনি।

বইটিতে মওদুদ মন্তব্য করেন, 'খালেদা জিয়ার কাছে ওই সময় তার নিজের দুই সন্তান তারেক ও কোকোর ভাগ্যই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়া কোনো আলোচনায় যেতে রাজি ছিলেন না খালেদা জিয়া।' তার এই তথ্যে ক্ষুব্ধ বিএনপি।

মওদুদ আহমদ তার বইয়ে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর মুক্তি নিশ্চিত করতে খালেদা জিয়ার প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে লেখেন, 'নানা রকম চাপেও অনড় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সে সময় দেশের মানুষের নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন কিংবা একজন রাজনীতিবিদের চেয়েও একজন মা হিসেবে দুই সন্তানের মুক্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।'

মুক্তি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার সেনা-শাসকদের সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে মওদুদ লেখেন, 'প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি তার মাথা উঁচু করে রেখেছিলেন। তিনি দেশ ছাড়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেশেই চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলেন। কোনো ধরনের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি নিতে চাননি। আলোচনা চলার সময়ও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার রেখেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ছাড়া পান তারেক। এর আগে ছোট ছেলে কোকোকে বিদেশে পাঠানো হয়। তারেককে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে খালেদা ও মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনা অব্যাহত ছিল। শেষ পর্যন্ত তারেককেও সরকার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু তাদের মধ্যে কী কী শর্তে সমঝোতা হয়েছিল, সেটা বলা কঠিন। কারণ হাসিনার মতো খালেদা কখনোই এসব আলোচনার বিষয় প্রকাশ করেননি। তবে ধারণা করা হয়, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্তটি হয়তো মেনে নিয়েছিলেন।'

এক-এগারো, সেনা-সমর্থিত সরকার গঠন ও তাদের শাসন প্রসঙ্গে মওদুদ লেখেন, 'জেনারেল ড. মইন উ আহমেদের মধ্যে জিয়ার মতো ক্যারিশমা ছিল না, ছিল না এরশাদের মতো কৌশল ও গুণাবলি। খালেদা জিয়ার প্রতি আনুগত্যের কারণে কয়েকজন জেনারেলকে ডিঙিয়ে তাকে সেনাপ্রধান করা হয়। আওয়ামী লীগ যখন ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, তখন খালেদা জিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করা সহজ ছিল না। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাকে সে সুযোগ করে দেয়।'

২০০৬ সালের শেষদিকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকে ইঙ্গিত করে মওদুদ আহমদ লেখেন, 'ওই সময় ক্ষমতা দখল করে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এর যৌক্তিকতা প্রমাণ করা জেনারেল মইনের জন্য কঠিন ছিল না। কিন্তু মইন সেটা করতে পারেননি চারটি কারণে_ এক. সামরিক আইন জারি করার বিষয়ে সমর্থন ছিল কম; দুই. তার নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল সীমিত এবং এ ধরনের কাজের জন্য প্রস্তুতি ছিল কম; তিন. অন্য জেনারেলরা এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন এবং চার. নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য তার সময়ের প্রয়োজন ছিল।

মইন ইউ বিষয়ে মওদুদ আহমদের মূল্যায়ন ইতিবাচক নয়। তিনি লেখেন, '১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর সেনাপ্রধান ঘোষণা করলেন, বেসামরিক প্রশাসনকে সেনাসদস্যরা সহায়তা করছেন। কিন্তু জেনারেল মইন কার্যকরভাবে সর্বোচ্চ নেতা হতে পারলেন না। তার দ্বিধাগ্রস্ত ব্যক্তিগত চরিত্র এবং অন্য জেনারেলদের সঙ্গে সংযুক্ততার অভাবই এর কারণ। শাসনব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তিনি ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত। এ কারণে তাকে নির্ভর করতে হয়েছে সেনাছাউনির বাইরে কূটনীতিক, সুশীল সমাজ ও সংবাদমাধ্যমের ওপর। তার সিদ্ধান্তহীনতা, একেক সময় একেক ধরনের পরিকল্পনার কারণে যথাসময়ে নির্বাচন করার বিষয়টি আড়ালে চলে যায়।

মওদুদ আহমদ দাবি করেন, এক-এগারোর সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষে জনগণের মধ্যে নীরব বিপ্লব হয়েছিল বলেও স্বীকার করেন প্রবীণ এ নেতা। তিনি মনে করেন, দুই নেত্রীর সঙ্গে সমঝোতা সেনা-শাসকদের জন্য জরুরি ছিল। তার মতে, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা, সংস্কারের নামে প্রধান দুটি দলকে ভেঙে দুর্বল করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পৃষ্ঠপোষকদের কাছে জেনারেল মইন ইউ আহমেদের প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নের মুখে পড়ে। তবে সেনা-শাসন জারি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সহজ ছিল না। তাই সমঝোতার পথ বেছে নেন সরকারের পৃষ্ঠপোষকরা। সেনা কর্তৃপক্ষ নানা কারণে বিএনপির পরিবর্তে আওয়ামী লীগকে বেছে নেয়। এ জন্য বিএনপির ক্ষমতা থাকাকালীন ভুলগুলো প্রভাবিত করেছে বলে মনে করেন মওদুদ।

এ প্রসঙ্গে মওদুদ লিখেছেন, সবশেষ সরকারে বিএনপি থাকার কারণে সব অন্যায় ও ভুলের দায় তাদের ওপর ছিল। নিজেদের শাসনামলের যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তারা গড়েছে, সেটার কারণে তাদের নৈতিক অবস্থাও জোরালো ছিল না। খালেদা জিয়াসহ দলের শত শত জ্যেষ্ঠ নেতা কারাগারে থাকার কারণে দলও হয়ে পড়েছিল অকার্যকর। মইন ইউ আহমেদও চাননি বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। কারণ খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করার কারণে বিএনপি তার ওপর প্রতিশোধ নিতে পারে। মওদুদ বইয়ের একাংশে লেখেন, 'বিএনপির ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় ২০০৮ সালের মে মাসে সেনা-শাসকরা হাসিনার সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। শেরেবাংলানগরের সাব-জেলে এক মধ্যরাতের সমঝোতায় রাজি হন শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন তাকে মইনের নিরাপদ প্রস্থানসহ অন্য শর্তগুলো মেনে নিতে সহায়তা করে। এ সমঝোতার প্যারোলে মুক্তি পান হাসিনা।'

মওদুদ আহমদের পর্যবেক্ষণে, এ অবস্থায় জেনারেল মইন ও তার মিত্ররা আওয়ামী লীগের মধ্যেই প্রকৃত মিত্রকে খুঁজে পান। কারণ তারা কখনোই বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাইবেন না। দুই নেত্রীর মধ্যকার ঘৃণার রাজনীতির কারণে হাসিনা চাইবেন প্রয়োজনে সামরিক আইন দিয়ে হলেও মইন শাসন চালিয়ে যান। বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কারণে ১৯৮২ সালেও আওয়ামী লীগ এরশাদকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছিল। জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিজেদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সব কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেবেন।

দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে মাইনাস প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ লেখেন, বিদেশ যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা সেনা-সমর্থিত সরকারের সব কার্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তিনি বুঝতেই পারেননি_ জেনারেল মইন তাকে দেশে ফিরতে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিয়ে গ্রেফতারের পর বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

বিএনপির পরাজয় প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ লেখেন, 'ওই সময়ে সব বিপজ্জনক পরিস্থিতি ও সমস্যার কারণে নির্বাচনে না যাওয়াই খালেদা জিয়ার জন্য যৌক্তিক ছিল। কিন্তু কিছু যৌক্তিক কারণেই তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে।'

তিনটি মূল কারণ চিহ্নিত করেন মওদুদ আহমদ। তিনি লেখেন, '১. বিএনপির নির্বাচন বর্জন আবারো বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দেশকে ২০০৭-এর আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারে। ফলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সেনা-শাসকরা আবার প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেন, যার জন্য ভবিষ্যতে তাকেই (খালেদা জিয়া) দায়ী করা হতে পারে। ২. এ অবস্থা তৈরি হলে তার দলের নেতাকর্মীরা আবার নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। ৩. জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেয়ার অব্যাহত চাপ দিচ্ছিল। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অনুপস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিকল্প শক্তি দাঁড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে চারদলীয় জোট শুধু অকার্যকরই হবে না, বিএনপি ইসলামপন্থি রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না-ও জেতে, অন্তত ১০০ আসন পেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে।'

পরাজয়ের জন্য আট কারণকে দায়ী করেন মওদুদ। তিনি কারণ হিসেবে লেখেন, ১. বিএনপি সরকারের অপশাসন; ২. বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ; ৩. যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের সঙ্গে মিত্রতা; ৪. বিএনপি সরকারের কিছু মন্ত্রীর সম্পৃক্ততায় জঙ্গিবাদের উত্থান; ৫. প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নামে হাওয়া ভবনের ক্ষমতা, ভাব ও দুর্নীতি; ৬. ২০০৬ সালে তত্ত্বাধায়ক সরকার গঠনের বিতর্কটি সমাধানে ব্যর্থতার কারণে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে দায়িত্ব দেয়া।

আওয়ামী লীগের জয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বড় ভূমিকা পালন করেছে মনে করেন মওদুদ। তার মূল্যায়ন, ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে শেখ হাসিনার অবস্থান, জঙ্গিবাদের বিপক্ষে অবস্থান, ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে পরিবর্তনের আহ্বান দেড় কোটি তরুণ ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পাশাপাশি ৪০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার, প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতিও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে। এসব ইতিবাচক ভোটের পাশাপাশি বিএনপির নেতিবাচক ভোটও আওয়ামী লীগকে এগিয়ে দেয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×