somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে : নেপথ্যে গোলাম আযম পুত্র ॥

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জেএমবির ভারপ্রাপ্ত প্রধানসহ সাত জঙ্গী গ্রেফতার হওয়ার পর জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। ২০১১ সালের সেনাঅভ্যুত্থান চেষ্টায় ব্যর্থতার পর পলাতক আসামি মেজর (অব) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক জেএমবিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে জেনেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পলাতক এই সেনা কর্মকর্তা জঙ্গীদের সংগঠন পুনর্গঠন, পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা দিচ্ছেন। এক কালের শিবির নেতা জসিম উদ্দিন রহমানিয়ার নেতৃত্বে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বর্তমানে আল কায়েদার পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। নাশকতা এবং সহিংস জঙ্গী কার্যকলাপ পরিচালনা করার জন্য আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েক সদস্য আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও জেনেছেন গোয়েন্দারা। পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া আড়ালে থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মূল নেতা হিসেবে কাজ করছেন এমন সন্দেহ গোয়েন্দাদের। জানা গেছে, জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক নির্দেশনা পাকিস্তান থেকে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আইএসআইয়ের সম্পৃক্ততা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, অবসরপ্রাপ্ত এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং তার সহযোগী (ওই সময় ছুটিতে থাকা) মেজর (অব) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক প্রকাশ মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে উগ্র ধর্মীয় প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার আহ্বান করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সেনাবাহিনীর এই দুই কর্মকর্তা দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। সেই ঘটনার পর থেকে মেজর জিয়া পলাতক। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মেজর জিয়া ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। গোয়েন্দা সূত্রমতে, জেএমবি মনে করে মেজর জিয়াকে তাদের সংগঠনে যুক্ত করলে বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা কর্মীরা অনুপ্রাণিত ও সক্রিয় হবে। কয়েকটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মেজর জিয়া চট্টগ্রাম ও বান্দরবান এলাকার কোথাও আত্মগোপন করে আছেন বলে সন্দেহ করা হয় আবার কোন কোন প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তিনি এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
মেজর (অব) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক ২০১১ সালের ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের পুত্র ব্রিগেডিয়ার (বরখাস্ত) আজমীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অপরাধে সেনা প্রশাসন থেকে তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর পর থেকে তিনি কাগজে-কলমে পলাতক। শুক্রবার আশুলিয়া থেকে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান আব্দুল্লাহ আল তাসনিমসহ সাত সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে দেশে জঙ্গী তৎপরতার ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মেজর জিয়া পলাতক। তিনি প্রশ্ন করেন, পুলিশ যদি তার খোঁজ পায়, তারা তাঁকে গ্রেফতার করছে না কেন? তাঁর সঙ্গে জেএমবির সম্পৃক্ততার কোন বিষয় আমাদের জানা নেই।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রকাশ, কঠোর নিরাপত্তায় থাকা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তিন মাস আগে জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ কয়েকটি বৈঠক করে। বৈঠকে দুই সংগঠন সরকারকে উৎখাত করতে এবং বাংলাদেশে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়। গত ১২ আগস্ট বরগুনার দক্ষিণ খাজুরতলা এলাকায় গোপন বৈঠকের সময় মুফতি জসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে জসীমের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বেশকিছু বই এবং অর্ধ শতাধিক সিডি উদ্ধার করা হয়।
সাত জঙ্গীর জিজ্ঞাসাবাদে টিমের অন্যতম সদস্য গোয়েন্দা পুলিশ শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপপরিচালক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘কাশিমপুর কারাগারে তিন মাস আগে থেকে একই সেলে থাকত সাইদুর রহমান এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানিয়া।’ জানা যায়, সেই সময়ে এই জঙ্গী নেতাদের নিয়মিত বৈঠক হতো। বৈঠকে তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে ষড়যন্ত্র করে। সূত্রে প্রকাশ, জঙ্গী কর্মকা-ের নতুন করে লোকজনকে সম্পৃক্ত করতে আধ্যাত্মিক নেতার মুখোশে রহমানিয়াকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। তারা চেষ্টা করেছে মেজর জিয়ার নাম গোপন রেখে তাকে দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন।
জেএমবি তাদের কর্মকাণ্ড আল কায়েদার অনুসারী আন্তর্র্জাতিক জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর নির্দেশনা মতে পরিচালিত করছে। একইভাবে আনসারুল্লাহ টিমের সমর্থকরা সম্প্রতি আল কায়েদার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আনসারুল্লাহ টিমের ওয়েবসাইটে আল কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তার বাংলা সংস্করণ আপলোড করেছে। জাওয়াহিরি তাঁর ভাষণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় তাঁদের জঙ্গী কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করার ঘোষণা দেন।
জেমবিপ্রধান সাইদুর রহমানের মেয়ে নাসরিন আখতার এবং তাঁর স্বামী জাভেদ আখতার পাকিস্তানের করাচীতে বসবাস করছেন। তাঁরা দুজন জেএমবি সদস্যদের ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে তিন বছর আগে ২০১০ সালের ২৫ মে সাইদুর রহমান গ্রেফতার হন। এর পর তাঁর কন্যা নাসরিন করাচী থেকে ঢাকায় আসেন পিতার অবর্তমানে তাঁর দায়িত্ব সমন্বয় করতে। সূত্রমতে, আল কায়েদা সংগঠক পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইজাজ আহমদের সমর্থনে আনসারুল্লাহর কর্মকাণ্ড শুরু হয় আর সংগঠনটির পরিকল্পনা এবং পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন মেজর জিয়া।
জেএমবির উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সালাহউদ্দিন সালেহিন এবং জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে অবস্থান করছে বলে জানা যাচ্ছে। দেশে জেএমবির কর্মকা-ের বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকা ডিবির অপর এক কর্মকর্তা জানান, কারিগরি দিক থেকে নিজেদের শক্তিশালী করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে তাদের খোঁজ না পায় সেজন্য তারা বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সদস্য সংগ্রহের কাজ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদস্য সংগ্রহের জন্য নির্বাচন করা হয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের মাধ্যমে ব্লগার আহমেদ রাজীবকে হত্যা করা হয়। ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী। ঢাকার হাকিমের কাছে দেয়া জবানবন্দীতে ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ তকমা দিয়ে তাদের হত্যায় উস্কানি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন আদালতে। মোহাম্মপুরের বসিলার দারুল উলুম মাদ্রাসায় বিভিন্ন ধর্মীয় সভায় তিনি যে বয়ান দিতেন, তাতে ব্লগারদের বিরুদ্ধে মুসল্লিদের উস্কে দিতেন।
ওই সভায় বিভিন্ন বেসরকারী ও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা থাকত বলে জানিয়েছেন মুফতি জসিম। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সবাই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
আটকের ২৮ মাস পর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব) এহসান ইউসুফ ও মেজর (অব) একেএম জাকির হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে সেনা প্রশাসন। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে সামরিক আদালত তাদের সাজা দিয়ে গত ২৩ এপ্রিল তাদের কারা প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের আটক করা হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর গোলাম আযমের পুত্র ব্রি.জে. আজমী (বরখাস্ত) তাঁর গোপন মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন সেনা কর্মকর্তার মোবাইলে একটি এসএমএস পাঠান। এসএমএসে লিখা ছিল ‘এবঃ ৎবধফু ভড়ৎ এৎধহফ ঋবধংঃ !!! জবমরংঃৎধঃরড়হ ভৎড়স ১৬-২২ উবপ ২০১১.’ তার কয়েকদিন আগে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম এক সংবাদ সম্মেলনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় গোলাম আযমের অনুসারী সেনা বিদ্রোহীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যায় সেনা প্রশাসন।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত দুই সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৪ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এহসান ইউসুফ কাশিমপুর-২ এবং জাকির হোসেন কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন। কারা সূত্রটি জানায়, দুই কর্মকর্তার সঙ্গে পৃথক দুটি সোপর্দ পরোয়ানাও কারাগারে পাঠানো হয়। লগ এরিয়ার সহকারী এ্যাডজুট্যান্ট এ্যান্ড কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (এএএ্যান্ডকিউএমজি) লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ পরোয়ানায় সই করেন। দুটি পরোয়ানায় একই ধরনের বক্তব্য রয়েছে। এহসান ইউসুফের পরোয়ানায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৯ জুন গঠিত ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল এক সেনা কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার বেসামরিক অপরাধে এহসানকে চার বছরের সশ্রম কারাদ- দেন। এই আদালত ২০১৩ সালের ১০ জুলাই রায় দেয়। ওই দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে এবং রায় সেনাপ্রধান দ্বারা যথাযথ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়। পরোয়ানায় আরও বলা হয়, সেনা প্রবিধানের ২৮৪ ও ২৮৫ ধারা অনুসারে এই কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে প্রথম শ্রেণীর (ডিভিশন) বন্দীর মর্যাদা পাবেন। জাকির হোসেনের পরোয়ানায় বলা হয়, তাঁর বিচারের জন্য ২০১৩ সালের ১৯ জুন ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয়। এই আদালত এক সেনা কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার বেসামরিক অপরাধে ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই তাঁকে দুই বছরের সাজা দেয়। ওই দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে বলে পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়। সেনাবাহিনী আইনের ১৩৫ ও ১৩৬ ধারায় বলা হয়েছে, সাজার মেয়াদ তিন মাসের বেশি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেসামরিক কারাগারে পাঠাতে হবে। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর এ পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েক কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত। এদের সংখ্যা ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এদের মধ্যে তিনজনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। এ তথ্যের ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাকরিরত এক কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনা তদন্তে ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। এরপর ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, ওই সংবাদ সম্মেলনের আগে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে সেনানিবাসের পাশে মাটিকাটা এলাকার বাসা থেকে এহসান ইউসুফকে এবং ৩১ ডিসেম্বর ইন্দিরা রোডে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দুই কর্মকর্তা বেসামরিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে চাইলে তাদের ঢাকা মহানগর আদালতে নেয়া হয়।
Click This Link
১১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×