বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রে ধর্মকে কটাক্ষ করে কেউ আজ পর্যন্ত রেহাই পায়নি।মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী যে কথা বললেন তা অনেক মুসলমান সহ্য করতে পারছেনা। সারা দেশে তীব্র নিন্দা সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর ঘোষণা করেছে। সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চেয়ে আছেন এবং তিনি দেশে এসে অবশ্যই তার শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। হজ্জ মুসলিমদের ধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর সাথে জড়িত স্বয়ং আল্লাহ সোবহানাতাআলা ও তার প্রেরিত অসংখ্য নবী ও রাসূল। অতীতে যারা এ কাবাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছে তারা অনেক কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হয়েছে। অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ কুলাঙ্গারকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কার করে দ্রুত শাস্তি দেওয়ার জন্য দেশবাসী আশা করে। তিনি যা যা বলছেন, টকশোয় যারা অংশ নেন তাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘আমি জামায়াতে ইসলামীর বিরোধী, এর চেয়ে বেশি হজ ও তাবলিগ বিরোধী।’ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী রবিবার টাঙ্গাইলের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- টকশোর আলোচকদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা টকশোয় যায়, তারা টকম্যান, টকমারানি। এদের সঙ্গে চুতমারানিদের কোনো পার্থক্য নেই। নিজেদের কোনো কাজ না থাকায় তারা সারা দিন ক্যামেরার সামনে গিয়ে বিড়বিড় করে।’হজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাত- দুটোরই ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’ তিনি বলেন, ‘এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাজ নেই। এদের কোনো প্রোডাকশন নেই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। অ্যাভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ লোক হজে যায় আর প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে খরচ করে আসে তাহলে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’ হজ কীভাবে এসেছে তারও একটি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আবদুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এই জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করল যে, তার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’ঢাকার তুরাগ পাড়ে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা প্রসঙ্গ তুলে নিয়ে আসেন মন্ত্রী। বলেন, ‘তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনো কাজ নেই। আবার সারা দেশের গাড়িঘোড়াও তারা বন্ধ করে দেয়।’লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র, তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বলেন, ‘কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন? জয় ভাই কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ারও কেউ নন।’জয়কে নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড় : প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক সফররত মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। মন্ত্রী প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সবসময় কামলাই দেবেন।’ প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকাগুলোকে লতিফ সিদ্দিকী ‘টয়লেট পেপার’ বলে আখ্যায়িত করেন। টিভির টকশোয় যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের ‘টকমারানি’ বলে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, “এদের সঙ্গে ‘চুতমারানিদের’ কোনো পার্থক্য নেই।” মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যাদের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে ১ লাখ পেয়েছি তাদের কোনো তদবির এখন রক্ষা করি না।’একই সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ধর্ম নিয়েও অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর এসব অস্বাভাবিক কথাবার্তায় সভাস্থলের ভিতরে ও বাইরে প্রচণ্ড ক্ষোভের সঞ্চার হলে এক পর্যায়ে তাকে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে হয়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়কে নিয়ে খোদ ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রীর এমন কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এটি এখন নিউইয়র্কসহ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়েছে।২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারের দাবি হেফাজতের : লতিফ সিদ্দিকীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। তা না হলে তাকে দেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে তারা। একই সঙ্গে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
ধর্ম প্রিয় মুসলমানরা ক্ষুব্ধ : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কঠিন শাস্তি কাম্য।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ
গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন