somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়া'র কয়টি জন্মদিন রয়েছে - চলুন দেখি বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ডকিউমেন্টস অনুসারে!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী শেখ মুজিবর রহমানকে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করেছিলো ১৫'ই অগাস্ট। আর বাঙ্গালী জাতির সেই কলঙ্কিত দিনটিতে আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী উনি উনার বিতর্কিত জন্মদিনটিকে খুব উৎসব আমাজের সাথে পালন করে থাকেন। সবচেয়ে অভাক লাগে যখন এদেশের কিছু যুব সমাজ শ্লোগান দেয় শুভ শুভ শুভ দিন, আজকে ম্যাডাম খালেদার জন্মদিন!! আর কত রক্তাত করবেন এই মহান নেতাকে? শহীদ জিয়া বেঁচে থাকলে তিনি নিজেও এতো বড় সাহস দেখাতেন কিনা সন্দেহ ছিল।

আপনি নিজেও ভুলে গেলেন এই মহান নেতার মহানুভবতা যার হাত ধরে ফিরে পেয়েছিলেন আপনার ভেঙ্গে যাওয়া সংসারটা! কারো পারিবারিক কথা এভাবে পাবলিক প্লেসে যদিও বলা উচিত না কিন্তু যেখানে আপনি নিজেই নিজের মনুষ্যত্ত হারিয়ে ফেলেছেন, ভুলে গেছেন আপনার বেদনা বিধুর অতীতের কথা তাই আপনাকে মনে করিয়ে দেয়াটা আমাদের দায়িত্তের মধ্যে পড়ে। ৩০লক্ষ শহীদের পরিবার যদি বঙ্গবন্ধুর কথা ভুলেও যায় আপনারতো এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের অবদানের কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ক্ষমতার মোহে সব কিছু ভুলে গেলেন যেদিন উপর থেকে ছিটকে পরবেন, ক্ষমতার মোহ কেটে যাবে সেদিন সেদিন বিলাপ করলেও কাজ হবে না।

এটা কোন রাজনৈতিক লেখা বা কোন ব্যাক্তি বিশেষকে তাক করে লেখা নয়। সভ্য মানুষ, মানুষের নীতি এবং নৈতিকতা বোধ বিষয়ক লেখার প্রচেষ্টা মাত্র। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি'র নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন বিষয়ক তারিখ গুলো। নানা সময়ে নানা ভাবে ভিন্ন ভিন্ন তারিখকে সঠিক জন্মদিনের তারিখ বলে বলা হয়েছে। অবাক হবার কিছু নেই। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে সবই সম্ভব!

আমাদের কারো অজানা নয় খালেদা জিয়া'র কয়েকটি জন্মদিন রয়েছে - চলুন আরেকবার দেখি বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ডকিউমেন্টস অনুসারে!!

■ ১৯৯১ সালের ২০শে মার্চ তারিখে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সরকারী সংবাদ সংস্থা বাসস থেকে পাঠানো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনী ছাপা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় যে ওনার জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯শে আগষ্ট।



■ ম্যাট্রিক পরীক্ষার মার্কশীট অনুসারে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর


■ বিয়ের কাবিননামা অনুসারে ওনার জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৯ই আগষ্ট।


২০০০ সালের ভোটারের তথ্য বিবরনী ফরমে খালেদা জিয়া উল্লেখ করেন যে তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ১৫ই আগষ্ট! এছাড়া তিনি নিজেকে এইচএসসি পাস দাবি করেন যদিও শিক্ষাবোর্ডের ডকিউমেন্ট (মার্কশীট) অনুসারে তিনি ম্যাট্রিকে ফেল করেছিলেন।


১৫ই আগষ্ট, ২০১০ তারিখের দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্ট: সাবেক হুইপ জামালের পরামর্শে শুরু ১৫ আগষ্ট জন্মদিন পালন শুরু করেন।


একবার ভেবে দেখুন আমাদের সেরা সেরা প্রথম সারির নেতাদের আপোষহীনতা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে! এরপরেও তর্কের খাতিরে যদি মেনে নেওয়াও হয় অথবা যদি সত্যিই ১৫ই আগষ্ট দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন হয়েও থাকে তবুও জাতির জনকের নির্মম হত্যার এই শোকাহত দিনে রাজকীয় বার্নাঢ্য জন্মদিনের উৎসব এভাবে পালন না করলেই তিনি অনেক গৌরবের অধিকারী হতেন।

সমমর্মিতা মানুষের সহজাত ধর্ম। পাশের বাড়ীতে কোন শোক সংবাদে প্রতিবেশী তার আনন্দ উৎসব গুলি সে ভাবে প্রকাশ করেনা বরং সমমর্মী হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। এটাই আমাদের সামাজিক রীতি। আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছেও এটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের নেতা নেত্রীদের কাছে সেই শুভক্ষনের প্রত্যাশায় রইলাম।


একটা কবিতা দিয়ে শেষ করছি...

বেগম খালেদা জিয়ার আরোপিত জন্মদিন।।


শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন
শুভ জন্মদিন এলো আজ
এসো শোক ভুলি, এসো কোক খুলি
ফুল ভলিয়ামে এসো সুর তুলি
গানে মুর্ছনায়, দেহ ভঙ্গিমায়
দেহে ঢেউ তুলে, করি ইতরামী
পড়ে স্বল্প বেস, প্রিয় বাংলাদেশ
মজিব বাদ দিয়ে খালেদা বুলবুলি।
হাসিবু কাদবে আজ
কাদুক সমস্ত রাজ,
আজ ফালতু দিন, ভুয়া জন্মদিন
ভুয়া জন্মদিন, নাও সাজ
ঠোটে রং মাখ, সাথে লাং রাখ
ফ্রী স্টাইলে, দেহে ডেউ তোল।
তারিখ জমকালো, মুজিব চমকালো
পুতুল জন্মেছিল, বুঝি আজ।
ভুয়া জন্মদিন, নাচি ধিন তা ধিন
নাচে বাংলাদেশ, আজ সব রংগিন।।

১৫ আগষ্ট বেগম খালেদা জিয়ার আরোপিত জন্মদিন। আমি বলি না আম্বারা বলে। যে দিন চলে গেছে সে দিন তো আর ফিরে ফিরে আসে না। এই জন্মদিন পালন মানে আনন্দ উৎসব করার উছিলা। মানুষ যেহেতু সময় এর শুরু আর শেষটা জানে না তাই গনিতের নিয়মে সেকেন্ড, মিনিট ঘন্টা দিন রাত্রির আশা ও যাওয়াকে ভাগ করে নিয়েছে। তাইতো বছর ঘুড়তেই সেই নিদৃষ্ট দিনটি আবার ঘুড়ে আসে।বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের সোয়া দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তো আর মিথ্যা মিথ্যা জন্মদিন পালন করতে পারেন না। তার স্বশরীর উপস্থিতিই প্রমান করে তিনি কোন না কোন একদিন জন্মেছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার চাইতে ভাগ্যবান মহিলা বাংলাদেশে আর জন্মায়নি।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×