somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কক্সবাজারে শোনা গল্প

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রফিক আবার বিয়ে করবে। কি নেই রফিকের, কক্সবাজারের বিভিন্ন রুটে চলা বেশ কয়েকটি বাস আছে তার, দুই দুইটা পাচ তলা বাড়ি আছে কক্সবাজার শহরে, প্রেস আছে আরো কত কি। আগের বউতে তার চলবে না। বউটা কক্সবাজার ঘুড়তে আসা মেয়েদের মত উচ্ছল, প্রাণবন্ত না। বউটা সি-বিচে বেড়াতে আসা মেয়েদের মত সুন্দরী না, হালফ্যাশনের জামা পরে না, সমুদ্রের পানিতে জলকেলি করে না।

রফিকের বিয়েটাও একটা ঘটনাবহুল বিয়ে। রফিকের মা অসুস্থ্য তাকে চিটগাং মেডিকেল কলেজে নিতে হবে, হাসপাতালে দেখাশুনার জন্য একজন মেয়ে দরকার। রফিকের শ্বশুড় এক শর্তে মেয়ে পাঠাতে রাজি, যদি রফিক তার মেয়েকে বিয়ে করে হাসপাতালে যাওয়ার আগে। পরিবারের চাপে রফিক বিয়ে করে। রফিকের মা হাসপাতালে মারা যায়। মায়ের শেষকৃত্য শেষে রফিক নিরুদ্দেশ হয়, আট মাস রফিক বেচে আছে না মরে গেছে কেউ জানতে পারে না। আট মাস পর রফিকের বাবা রফিকের খবর পেয়ে তাকে নোয়াখালি থেকে নিয়ে আসে। শুরু হয় রফিকের সংসার জীবন।

রফিকের বউ কক্সবাজারের রক্ষণশীল পরিবারের অল্পবয়সী মেয়ে, স্বামী যার সবকিছু। আটমাস পর সংসার শুরু করা তাদের পরিবারে দুইদুইটা সন্তান হয়। রফিক তার বউকে এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে কখনই ভালোবাসতে পারে না। ক্রমাগত অবহেলায় রফিকের বউ এক সময় মানসিক ভারসাম্য হারায়। রফিককে আমি জিজ্ঞাস করছিলাম বউ হিসেবে না, প্রেমিকা হিসেবে না, আপনার দুই সন্তানের মা হিসেবে কি কিছুটা ভালোবাসা আনা যায় না। রফিক সম্ভব না জানায়।

এক উচ্চপদস্ত লোক হোটেলে মদ খেতে খেতে রফিকের গল্প শুনে এবং রফিকের আবার বিয়ের আগ্রহ শুনে তাকে একটা মেয়ের ফোন নাম্বার দেয়। রফিক খুব জোশে আছে, এবার একটা কিছু হবে। আমি রফিককে জিজ্ঞাস করলাম ভাবীকে কি তালাক দিবেন? রফিকের সোজাসাপ্টা জবাব না, নতুন বউকে এপার্টমেন্ট কিনে ঢাকায় রাখবো।

তারপর আমি কক্সবাজার থেকে কর্মস্থলে আসলাম। এর মাস খানেক পর রফিকের সাথে কথা হলে, রফিক জানায় ভাই অল্পের জন্য বেচে গেছি এরকম বিশ্রি চেহারার মেয়ে আমাকে জোর করে বিয়ে করাতে চেেয় ছিল।

রফিক হয়তো এক সময় তার পছন্দের মেয়েকে খুজে পাবে কিন্তু যে মেয়েটা গভীর ভালোবাসা নিয়ে, অভিমানে, অবহেলায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে তার ভালোবাসাটা পাবে না।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×