somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাফর ইকবাল স্যারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা-----

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনাটা বছর পাচেক আগের, তখন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে চাকুরি করি। ছোট কলেজ, শিক্ষক সংখ্যা সব বিভাগ মিলে ২৫ জনও না। হঠাৎ অনেক শিক্ষকের চোখেই ধরা পড়লো কলেজে নারীঘটিতকিছু নোংরা ব্যাপার ঘটছে।কিন্তু কোন শিক্ষকই একা প্রতিরোধ করার সাহস করছে না, প্রথমত এর কয়েকদিন আগে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের হারুণ স্যার বখাটেদের হাতে নিহত হয়েছে এ জাতীয় একটা ব্যাপারে আর দ্বিতীয়ত যে ছাত্রনেতা কলেজের ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে সে এই বিষয়ের সাথে জড়িত। বিষয়টা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেটা নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে মিটিং বসলো, সিদ্ধান্ত হল একটার পর সব শিক্ষকরা এক সাথে সারা ক্যাম্পাস ভিজিলেন্স করবো, যাতে বিচ্ছিন্নভাবে কোন শিক্ষক যেন সমস্যায় না পরে।

প্রথম যেদিন আমরা বের হলাম সেদিন দুশো গজও যাই নি, সে ছাত্রনেতা পনের বিশ জন সহ আমাদের সামনে এসে দাড়াল, আমাদের ভিজিল্যান্স করতে দিবে না। তাদের আচরণ যখন লান্চ্ঞনার পর্যায়ে গেলো তখন আমরা বাধ্য হলাম প্রিন্সিপ্যাল স্যারের রুমে চলে আসতে। প্রিন্সিপ্যাল স্যার শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে বিষয়টা জানালো। আমরা গুমোট পরিবেশে পরবর্তি করণীয় নিয়ে মিটিং করছি। এই সময় সেই ছাত্রনেতা ও তার সহযোগি প্রিন্সিপ্যাল স্যারের রুমে ঢুকে দুইহাত জড়ো করে সিলেটি ভাষায় বলছে স্যার আমাদের মাপ করে দেইন যে। এ যেন চড় মেরে গড়।

এটা ছোট কলেজের ছোট একটা ঘটনা। আমরা যারা সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করি বা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তাদের প্রতিনিয়তই বিভিন্ন লান্চ্ঞনার ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যাটা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক ক্ষেত্রেই আদর্শিক।

পত্রিকায় সংবাদ পড়লাম এবং ছবি দেখলাম জাফর ইকবাল স্যার তার সহধর্মিণী এবং সমমনা শিক্ষকদের লান্চ্ঞনায় এতটা অপমানিত, এতটা ক্ষুদ্ধ যে নির্বাক হয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন এবং বলেছেন এরা যদি তার ছাত্র হয় তাহলে তার গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। আমরা এর আগে শিক্ষক লান্চ্ঞনা নিয়ে জাফর ইকবাল স্যারের তেমন কোন প্রতিক্রিয়া পায় নি, যদিও ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। এবার আশা করবো এ জাতীয় ঘটনার বিরুদ্ধে উনি শক্ত অবস্থান নিবেন।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×