সময়টা ২০০১অথবা ২০০২ সাল হবে, বন্ধু সাব্বির এর সাথে নীলক্ষেতের এক সাইবার ক্যাফেতে বসে প্রথম ই-মেইল একাউন্ট খুললাম। নতুন এক নেশা পেয়ে বসলো, সুযোগ পেলেই সাইবার ক্যাফেতে যাই, ইয়াহু মেসেন্জারে চ্যাট করি আর নতুন গড়ে ওঠা বন্ধুদের সাথে মেইল চালাচালি করি।
কিন্তু টাকা খরচ করে সাইবার ক্যাফেতে বসাটা আমার জন্য বিলাসিতাই ছিল, তাও আবার একবার বসলে সময়ের হিসাব থাকতো না। খোজ পেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারে বিনা পয়সায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। আমার হল থেকে কাছে হওয়ায়, সেটা আমার জন্য একটা ভালো সুযোগ ছিলো।সমস্যা ছিলো কম্পিউটার ফাকা পাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে বেশ সময় অপেক্ষা করতে হত।
২০০৬ সালে ব্যাংকে যখন চাকরি করি তখন আমার ডেস্কের কম্পিউটারেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন ছিলো, কাজের ফাকে ফাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতাম।
রাতে ব্যাংক থেকে বাসায় ফিরে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বাসার টি এন্ড টি ফোন থেকে বাসায় ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়লো। টাকা পয়সা জমা দিয়ে ২০০৬ এর ডিসেম্বরে যখন বাসায় ইন্টারনেট কানেকশন পেলাম, তখন সত্যিই অনেক খুশি হয়েছিলাম। ব্যবহার শুরু করার পর স্পিড দেখে হতাশ হলাম।
ব্যাংকের চাকুরি ছেড়ে ২০০৮ এর শেষে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে যোগ দিলাম। শ্রীমঙ্গলের বাসায় ইন্টারনেট নেয়া প্রয়োজন বোধ করলাম আমি আর আমার সাথে যোগ দেয়া আমার কলিগ ও ভায়রা শফিক।যোগাযোগ করলাম শ্রীমঙ্গলের একমাত্র ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সেলিম ভাইয়ের সাথে। কানেকশন নেয়া হলো শফিকের কম্পিউটারে।
২০১১ সালে শ্রীমঙ্গল ছেড়ে চলে আসার পর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি মোবাইলে। সময়ের সাথে সাথে মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিডও অনেক বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৫% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে। এখন কত সহজ এবং সুলভ হয়ে আসছে ইন্টারনেট ব্যবহার। জানি না ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের আরো কত বিবর্তন দেখবো।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯