চারতলার বাড়িতে আমরা উঠার আগেই দুই প্রজাতির পিপড়া বাস করা শুরু করলো। বাসায় প্রথম রাত শেষ হতে সকালে দেখি মরে যাওয়া পোকা টেনে নিয়ে যাচ্ছে পিপড়া। আমি অন্তত দুই প্রজাতির পিপড়া আমার বাসায় বাস করে দেখছি।
রং মিস্ত্রি মুকুল বললো ভাই রং করা শেষ হলে একটা পিপড়াও থাকবে না। যত ফাটাফুটা আছে সব পুডিং দিয়ে বন্ধ কইরা দিমু, পিপড়া থাকার কোন জায়গাই পাইবো না। রং করা শেষেও দেখি পিপড়ারা বহাল তবিয়তে আছে।
আজ দুপুরে কিচেনে আবিষ্কার করলাম মাইজালি/ মাইজাল/ বিষ পিপড়া নামক পিপড়ার এক ঝাক। যেটার সায়েন্টিফিক নেম Tetraponera rufonigra(Jerdon, 1851) কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম এরা বাস করে থাই এলুমিনিয়াম জানালার এলুমিনিয়াম পাতের ভেতরে । যদিও এদের বাসায় থাকার কথা না, এরা থাকে গাছে। আমার ধারণা আমার বাসা ঘেষে যে মেহগিনি গাছটা আছে সেটায় এদের বাস, সেখান থেকে ছাদ দিয়ে এখানে এসে ঘাটি বানাইছে।
বেশ কয়েক প্রজাতির পিপড়া সারা পৃথিবী জুড়েই আরবান অন্চলে বাড়িতে বাস করে।
এর অন্যতম কারণ ফ্ল্যাট বাসীদের মত ফ্ল্যাটে বাস করা পিপড়াদের জীবনটাও আরামদায়ক হয়। তাদের ঝড় বৃষ্টিতে থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় না। খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। যে কারণে বসবাসের জন্য কিছু পিপড়া বাড়ি বেছে নেয়।
পিপড়া নিয়ন্ত্রণ করাটা একটু কঠিন কাজ, বাসার কোথাও পিপড়া দেখে ইনসেকটিসাইড দিয়ে মেরে কোন লাভ নেই। কারণ পিপড়ার কলোনিটা ধ্বংস করা না গেলে পিপড়া বাসায় থেকেই যাবে। আবার এক জাতীয় ইনসেক্টিসাইড দিয়ে সব পিপড়া ধ্বংস করা যাবে না, মানে পিপড়া অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটা পেষ্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান আছে, যারা যে কোন ধরণের ইনসেক্ট নিয়ন্ত্রণ করে, পিপড়ার সমস্যা বেশি হলে এদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।