somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ব ব্যাংক কী দেশের বিরুদ্ধে আদা জল খেয়ে লেগেছে

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকার পাঠ্যপুস্তক এর ব্রাইটনেস ৮৫% থেকে ৮০% শতাংশ করে যার ফলে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে খরচ কমে ১০৯ কোটি টাকা ,
তো সেই কারণে বিশ্ব ব্যাংক অবিশ্বাস্য এই দরে সন্দেহ প্রকাশ করে , কিন্তু খরচ কম হওয়া টা যুক্তিযুক্ত । এমনকি ভারতীয়
মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান গুলোও একই দর হাকছে ।

তো বিশ্ব ব্যাংকের তো এই সব সহ্য হয় না । সরকারের এতো টাকা সাশ্রয় হবে তা ভেবে তাদের পুটুতে আগুন ধরে যায় অথবা এতো বড় মাপের টেন্ডার বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী রা পাবে তাও তাদের সহ্য হয়না তাই তারা কঠিন শর্ত আরোপ করে দিয়েছে মুদ্রণ শিল্পের ওপর ।

বই স্কুলে স্কুলে পৌছানোর অনেক দিন পর বিল পাবেন মুদ্রণ ব্যাবসায়ী রা !
এইটা কোনো কথা ? ? ?
বিশ্বব্যাংকের কাছে অনুমতি নিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে এনসিটিবি। বাজারদরের চেয়েও কম দামে বই ছাপার দর দেওয়ায় বিশ্বব্যাংক কাগজের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তারা বইয়ের কাগজ, ছাপা ও বাঁধাইয়ের মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার চায়। সে অনুযায়ী টেন্ডারের বাইরেও নতুন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে এনওএ ছাড় দেয় বিশ্বব্যাংক। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব টিম বই ছাপা-পূর্ব, ছাপাকালীন এবং ছাপা-পরবর্তী পরিদর্শন, তদারকি, দেখভাল করবে। ছাপার আগে কাগজের নমুনা, ছাপার নমুনা এবং বই বাঁধাইয়ের পর বইয়ের নমুনা তাদের কাছে পাঠাতে হবে। ছাপার সময় তাদের টিম আকস্মিক যেকোনো প্রেস পরিদর্শন করতে পারবে। বই ছাপা শেষে উপজেলায় পৌঁছানোর পর তা আবার নিরীক্ষা হবে। ছাপা কাজের গুণগত মান নিশ্চিত হলেই কেবল ছাপার বিল দেওয়া হবে। এ ছাড়া মুদ্রণকারীদের জামানত বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার শর্ত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হলেও বিল দেওয়া হবে ৩০ মার্চের মধ্যে।

বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে মাত্র ১৯ কোটি টাকা নেওয়া হয় বলে অনেকেই বলছে তা না নিলেই হয়। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ এই বই ছাপার বিষয়টি প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৩) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই প্রকল্পের ২২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। তাই প্রাথমিকের বই ছাপানোর টাকা না নিতে চাইলে পিইডিপি-৩ প্রকল্পই সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সেটা করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চলতি বছরে তো তা সম্ভবই নয়। আর ১৯ কোটি টাকা না নিলে বিশ্বব্যাংক পুরো ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েই নতুন চিন্তা করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাংককে সঙ্গে রেখেই কাজ করতে হবে।
সর্বনিম্ন দরদাতাদের একজন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওয়ার্ল্ড ব্যাংক শুরু থেকেই আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। যেভাবেই কাজ করি না কেন, তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এখন ছাপার আগে কাগজের এক ধরনের ব্রাইটনেস থাকে, ছাপার পর তা ভিন্ন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সব স্পেসিফেকশেন কিছু কমবেশি হতেই পারে। সেটা যদি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ধরে তাহলে তো আমরা বিলই পাব না। আর দরপত্রে পার্ট বাই পার্ট টাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শর্তে বলছে, কাজ শেষে। তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে?

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর শেষ মেশ ক্ষমা চাওয়া উচিত । তারা এক প্রকার স্বীকার করেছে পদ্মা সেতু তে কোনো দুর্নীতি ছিলনা । ক্যানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্ট ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে তথ্য চাচ্ছে বাট তারা গোপোনীয়তার অজুহাতে দিচ্ছেনা ।
বাংলাদেশ হতে পারতো দুর্নীতি তে ১৬ এর আরও অনেক নিচে ।
আবুল হোসেনের অপমান জনক প্রস্থান , (যদিও দরকার ছিল , এই লোক পথ ঘাটের অবস্থা কেরোসিন করে রেখেছিল)
আওয়ামী সরকার এর চরম বেকায়দায় পড়া ।
বাংলাদেশের আরও ৩ বছর পিছিয়ে পড়া ।
বাংলাদেশের নাম খারাপ হওয়া বিশ্ব দরবারে ।

বিশ্ব ব্যাংক আসলে চায় কী ?

-নাসিমুল আহসান
তথ্যসূত্র কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×