সরকার পাঠ্যপুস্তক এর ব্রাইটনেস ৮৫% থেকে ৮০% শতাংশ করে যার ফলে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে খরচ কমে ১০৯ কোটি টাকা ,
তো সেই কারণে বিশ্ব ব্যাংক অবিশ্বাস্য এই দরে সন্দেহ প্রকাশ করে , কিন্তু খরচ কম হওয়া টা যুক্তিযুক্ত । এমনকি ভারতীয়
মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান গুলোও একই দর হাকছে ।
তো বিশ্ব ব্যাংকের তো এই সব সহ্য হয় না । সরকারের এতো টাকা সাশ্রয় হবে তা ভেবে তাদের পুটুতে আগুন ধরে যায় অথবা এতো বড় মাপের টেন্ডার বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী রা পাবে তাও তাদের সহ্য হয়না তাই তারা কঠিন শর্ত আরোপ করে দিয়েছে মুদ্রণ শিল্পের ওপর ।
বই স্কুলে স্কুলে পৌছানোর অনেক দিন পর বিল পাবেন মুদ্রণ ব্যাবসায়ী রা !
এইটা কোনো কথা ? ? ?
বিশ্বব্যাংকের কাছে অনুমতি নিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে এনসিটিবি। বাজারদরের চেয়েও কম দামে বই ছাপার দর দেওয়ায় বিশ্বব্যাংক কাগজের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তারা বইয়ের কাগজ, ছাপা ও বাঁধাইয়ের মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার চায়। সে অনুযায়ী টেন্ডারের বাইরেও নতুন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে এনওএ ছাড় দেয় বিশ্বব্যাংক। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব টিম বই ছাপা-পূর্ব, ছাপাকালীন এবং ছাপা-পরবর্তী পরিদর্শন, তদারকি, দেখভাল করবে। ছাপার আগে কাগজের নমুনা, ছাপার নমুনা এবং বই বাঁধাইয়ের পর বইয়ের নমুনা তাদের কাছে পাঠাতে হবে। ছাপার সময় তাদের টিম আকস্মিক যেকোনো প্রেস পরিদর্শন করতে পারবে। বই ছাপা শেষে উপজেলায় পৌঁছানোর পর তা আবার নিরীক্ষা হবে। ছাপা কাজের গুণগত মান নিশ্চিত হলেই কেবল ছাপার বিল দেওয়া হবে। এ ছাড়া মুদ্রণকারীদের জামানত বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার শর্ত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হলেও বিল দেওয়া হবে ৩০ মার্চের মধ্যে।
বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে মাত্র ১৯ কোটি টাকা নেওয়া হয় বলে অনেকেই বলছে তা না নিলেই হয়। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ এই বই ছাপার বিষয়টি প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৩) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই প্রকল্পের ২২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। তাই প্রাথমিকের বই ছাপানোর টাকা না নিতে চাইলে পিইডিপি-৩ প্রকল্পই সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সেটা করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চলতি বছরে তো তা সম্ভবই নয়। আর ১৯ কোটি টাকা না নিলে বিশ্বব্যাংক পুরো ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েই নতুন চিন্তা করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাংককে সঙ্গে রেখেই কাজ করতে হবে।
সর্বনিম্ন দরদাতাদের একজন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওয়ার্ল্ড ব্যাংক শুরু থেকেই আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। যেভাবেই কাজ করি না কেন, তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এখন ছাপার আগে কাগজের এক ধরনের ব্রাইটনেস থাকে, ছাপার পর তা ভিন্ন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সব স্পেসিফেকশেন কিছু কমবেশি হতেই পারে। সেটা যদি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ধরে তাহলে তো আমরা বিলই পাব না। আর দরপত্রে পার্ট বাই পার্ট টাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শর্তে বলছে, কাজ শেষে। তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে?
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর শেষ মেশ ক্ষমা চাওয়া উচিত । তারা এক প্রকার স্বীকার করেছে পদ্মা সেতু তে কোনো দুর্নীতি ছিলনা । ক্যানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্ট ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে তথ্য চাচ্ছে বাট তারা গোপোনীয়তার অজুহাতে দিচ্ছেনা ।
বাংলাদেশ হতে পারতো দুর্নীতি তে ১৬ এর আরও অনেক নিচে ।
আবুল হোসেনের অপমান জনক প্রস্থান , (যদিও দরকার ছিল , এই লোক পথ ঘাটের অবস্থা কেরোসিন করে রেখেছিল)
আওয়ামী সরকার এর চরম বেকায়দায় পড়া ।
বাংলাদেশের আরও ৩ বছর পিছিয়ে পড়া ।
বাংলাদেশের নাম খারাপ হওয়া বিশ্ব দরবারে ।
বিশ্ব ব্যাংক আসলে চায় কী ?
-নাসিমুল আহসান
তথ্যসূত্র কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৮