গনতন্ত্রের মরণ রোগটা দেখা দেয় ভোট এলে
বেঁচে ওঠে সেই মুমূর্ষু রোগীটা মফিজের ভোট পেলে।
নেতারা বলেন, ‘মফিজ তোমার ভোটের দাম কি জানো?’
যাকে তাকে দিয়ে নষ্ট করলে পাপ হবে সেটা মানো?
নেতাদের কেউ বিড়ি দিয়েছিল,বলেছিল বাড়ি গিয়ে
‘আমরা জিতলে কুঁড়েটা তোমার ছেয়ে দেব টিন দিয়ে।’
কেউ বলেছিল, ‘নগদের চেয়ে বড় পীর কেহ নাই’
তোমার একশো, বিবির একশো, দু’শো টাকা দিয়ে যাই!’
গোল টুপিয়ালা মুমিন ভাইয়েরা বলেছিল, ‘মিয়া দেখ
স্বর্গের পথ দাড়ি আর দাঁড়ি ভালো করে মনে রেখ।’
মনে রাখা মোটে সোজা কাজ নয় সকলের এত বানী
মফিজের মনে টাকা আর টিন দিয়ে যায় হাতছানি।
খড়ের চালায় পানি পড়ে ঘরে,বর্ষায় থাকা দায়
টিনের লোভটা সামলে কি আর চুপচাপ থাকা যায়?
ক্ষুধার জ্বালায় ছেলে মেয়ে কাঁদে, ঘরে যে খাবার নাই
বেহেশতি মেওয়া না পেলেও হবে, দু’মুঠো চাল দে ভাই।
বউয়ের পরনে জাকাতের শাড়ি,দু’বছর আগে পাওয়া
এখানে ছিঁড়েছে, ওখানে পুড়েছে, ইজ্জত যাওয়া যাওয়া।
কিছু বুঝে কিছু না বুঝে মফিজ একে ওকে কথা দিয়ে
‘টাকা’ ও ‘টিন’কে ভোট দিয়ে এলো বউকে সঙ্গে নিয়ে।
পরদিন ভোরে ‘টিনের’ লোকেরা মফিজের বাড়ি এসে
‘বেইমান’ বলে গালি দিল ওকে, কানে চড় দিল ঠেসে।
‘টাকার’ লোকেরা বলে গেল ওকে ‘মীরজাফরের ছানা’
টানাটানি করে ছিঁড়ে দিয়ে গেল মফিজের জামাখানা।
মুমিন ভাইয়েরা বয়ান দিলেন ইজমা কিয়াস খুঁজে
‘সৎ লোকেদের শাসন কি আর উম্মি লোকেরা বুঝে?’
***********************************
(পূর্বে প্রকাশিত)