somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র -- একাদশ পর্ব

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উল্ল্যেখযোগ্য কিছু ঘটনা
১৯৩৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘোষণা করে তারা ইউরোপের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে নিরপেক্ষ থাকবে।
১৯৪০ সালের ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
১৯৪০ সালের ১৩ জুন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরকে আধুনিকায়নের জন্য ১.৩ বিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করেন।
১৯৪০ সালের ২০ জুন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট রিপাবলিকান দলের ফ্রাঙ্ক নক্সকে নৌবাহিনী মন্ত্রী এবং একই দলের হেনরি স্টিমসনকে যুদ্ধ-মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেন।
১৯৪০ সালের ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডিলান রুজভেল্ট তৃতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট অক্ষশক্তির (জার্মান, ইতালি এবং জাপান) বিরুদ্ধে ব্রিটেনকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন।
১৯৪১ সালের ১১ জানুয়ারী মার্কিন কংগ্রেস লেন্ড-লিজ আইন পাস করে। এই আইনে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দেয়া হয়, তিনি ইচ্ছা করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো রাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র, খাদ্য বা যেকোনো প্রয়জনীয় সামগ্রী বিক্রি, ধার বা ভাড়া দিতে পারবেন।
১৯৪১ সালের ৩০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র অক্ষশক্তির পঁয়ষট্টিটা জাহাজ দখল করে নেয়।
১৯৪১ সালের ১০ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যখন একটা জার্মান ইউ-বোট যুক্তরাষ্টের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢুকে আমেরিকার একটা ডেস্ট্রয়ারকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়।
১৯৪১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট জাপানের সম্রাটের কাছে শেষবারের মতো শান্তির আবেদন জানান।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান আমেরিকা পার্ল হার্বার বিমান আক্রমন চালায়। এতে প্রায় তিন হাজারের মতো আমেরিকান নিহত হয়। জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন জাপানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪১ সালের ১১ ডিসেম্বর জার্মানি এবং ইতালি জাপানকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪১ সালের ২২ ডিসেম্বর জাপানিজ বাহিনী ফিলিপাইনের লুজানে অবতন করে।
১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাপানিজ বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীকে পরাজিত করে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা দখল করে নেয়।
১৯৪১ সালের জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জার্মান বাহিনীর আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২১৬টা জাহাজ ডুবে যায়।
১৯৪২ সালের ৯ এপ্রিল আমেরিকান বাহিনী জাপানীস বাহিনীর কাছে বাটান পেনিনসুলা, ফিলিপাইনে আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪২ সালের ৮ নভেম্বর মিত্রবাহিনী উত্তর আফ্রিকায় অবতরণ করে।
১৯৪৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী এক হাজার বোমারু বিমান ও ৬৬০টা ফাইটার বিমান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী জার্মানীর ১২টা শিল্প এলাকায় আঘাত হানে। এই হামলায় জার্মানীর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় এবং আমিরিকার ২১টি বিমান ধ্বংস হয়।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী প্রথমবারের মত ফ্রান্সের একটা শহর জার্মানীর থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়।
১৯৪৪ সালের ২০ অগাস্ট আমেরিকান ও কানাডিয়ান বাহিনী নরমেন্ডিতে জার্মান বাহিনীকে ঘেরাও করে ফেলে।
১৯৪৪ সালের ২২ অগাস্ট নরমেন্ডিতে আমেরিকান ও কানাডিয়ান বাহিনীর সাথে যুদ্ধে জার্মানির দশ হাজার সৈন্য মারা যায় এবং পঞ্চাশ হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৪ সালের ২৫ অগাস্ট মিত্রবাহিনী ফ্রাঞ্চের রাজধানী প্যারিসে পৌঁছে। ঐ দিনই প্যারিস মুক্ত হয়।
১৯৪৫ সালের ১ মে বার্লিন আনুষ্ঠানিক এবং নিঃশর্তভাবে সোভিয়েত ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৫ সালের ৮ মে যখন সারা পৃথিবীতে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছিলো তখনো জাপান প্যাসিফিক অঞ্চলে আক্রমণ অব্যহত রাখে।
১৯৪৫ সালের ২২ জুন আমেরিকা জাপানের ওকিনাওয়া দখল করে নেয়। এই যুদ্ধের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়।
১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে এবং ৯ অগাস্ট নাগাসাকি শহরে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ১,২৯,০০০ জন মারা যায়। যুদ্ধের ইতিহাসে এটাই একমাত্র ঘটনা যেখানে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×