নাগরিক অধিকার আন্দোলন -৫
মার্টিন লুথার কিং ছাড়াও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অনেক নেতা কর্মী সহিংসতার শিকার হন। ১৯৬৩ সালের ১২ জুন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মেডগার উইলি ইভার্সকে মিসিসিপি রাজ্যের জ্যাকসন শহরে ডি লা বেকউইথ গুলি করে হত্যা করে। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়ে ছিল মাত্র ৩৭ বছর। এই বছরই এলাবামা রাজ্যের বার্মিংহাম শহরে একটি ব্যাপটিস্ট গির্জায় আন্দোলন বিরোধীরা বোমাহামলা চালায়, এতে চারজন কালো মেয়ে মারা যায়।
১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী নাগরিক অধিকার আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা ম্যালকম এক্সকে নিউ ইয়র্কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ম্যালকম এক্সের আসল নাম আল-হজ্ব মালিক আল-শাবাজ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ে ছিল মাত্র ৩৯ বছর।
১৯৬৬ সালে জেমস এইচ. মেরিডিথ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে কালোদেরকে ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে এক নাগরিক অধিকার মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিলটি টেনেসি রাজ্যের মেমফিস থেকে শুরু হয়ে মিসিসিপি রাজ্যের জ্যাকসন যেয়ে শেষ হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ৬ জুন, মিছিলের দ্বিতীয় দিন, এক স্নাইপার গুপ্তস্থান থেকে মেরিডিথকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করে আহত করে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেরিডিথের জায়গায় অসমাপ্ত মিছিলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নাগরিক আন্দোলনের দুই নেতা এগিয়ে আসেন। মার্টিন লুথার কিং এবং স্টোকেলই কারমাইকেল অসমাপ্ত মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মেরিডিথ কিছুটা সুস্থ হয়ে আবার তার শুরু করা মিছিলে অংশ নেন। ২৬ জুন সফলভাবে মিছিল মিসিসিপি রাজ্যের জাকসনে এসে শেষ হয়।
১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বর্ণ দাঙ্গা চলতে থাকে। মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যার পর দাঙ্গা আরো ছড়িয়ে পরে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪০