somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-১৬

২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনুচ্ছেদ ২
ধারা ৩।
দফা ১। তিনি সময়ে সময়ে কংগ্রেসকে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তথ্য দিবেন, এবং তিনি যে রকম প্রয়োজনীয় এবং সমীচীন মনে করবেন তাদের বিবেচনার জন্য সেরকম সুপারিশ করবেন; এবং তিনি বিশেষ ক্ষেত্রে উভয় পরিষদের অথবা যে কোনো একটি পরিষদের অধিবেশন ডাকতে পারেন, এবং অধিবেশন কখন মুলতবি হবে এটা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তিনি যে রকম উপযুক্ত মনেকরেন সেই সময়ে মুলতবি করে দিতে পারেন; তিনি রাষ্ট্রদূতদেরকে এবং অন্যান্য সরকারি মন্ত্রীদেরকে অভ্যর্থনা জানাবেন; আইনসমূহ বিশ্বস্থতার সাথে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা তিনি তত্ত্বাবধান করবেন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব কর্মকর্তাকে কর্মভার প্রদান করবেন।
ভাষ্য
প্রেসিডেন্টের আরো কিছু কাজের কথা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে --
(১) শাসন বা নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসাবে প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন তা মাঝেমাঝে কংগ্রেসকে জানাবেন। বর্তমানে প্রতিবছর জানুয়ারী মাসে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের উভয় পরিষদের যৌথ অধিবেশনে এক ভাষণের মাধ্যমে সংবিধানের এই বাধ্যবাধকতা পালন করেন। প্রেসিডেন্টের এই ভাষণকে "দ্যা স্টেট অফ ইউনিয়ন" ভাষণ বলে।
(২) অর্থ ছাড়া কোনো কাজ করা যায় না। আর অর্থ বরাদ্দ করে বা বাজেট প্রণয়ন করে কংগ্রেস। তাই প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তার ইচ্ছা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা কংগ্রেসকে বলেন। তিনি কি কাজ করতে চান, এই কাজের জন্য কত টাকা লাগবে তা তিনি কংগ্রেসের কাছে সুপারিশ করেন।
(৩) কংগ্রেসের অধিবেশন নিদৃষ্ট সময়ের জন্য মুলতবি হয়। কিন্তু যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয় অথচ কংগ্রেস অধিবেশনে নাই, সেই ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের উভয় পরিষদ বা যে কোনো একটা পরিষদের অধিবেশন ডাকতে পারেন।
(৪) আবার যদি অধিবেশন কখন মুলতবি করতে হবে তা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রেসিডেন্ট যে সময়কে উপযুক্ত মনে করবেন সেই সময়ে অধিবেশন মুলতবি করে দিতে পারবেন।
(৫) রাষ্ট্রদূত, বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান বা বিদেশী কোনো মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আসলে প্রেসিডেন্ট তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
(৬) প্রেসিডেন্ট যেহেতু শাসনবিভাগ বা নির্বাহীবিভাগের প্রধান, তিনি সরকারি বিভাগগুলির মাধ্যমে খোঁজখবর রাখবেন যে আইনগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
(৭) সরকারি কর্মকর্তাদের কার কি কাজ তা প্রেসিডেন্ট বন্টন করে দিবেন। সরকারি কর্মকর্তারা আইনের দ্বারা আরোপিত দায়িত্ব পালন করেন। এই বিধানের দ্বারা সমগ্র নির্বাহীবিভাগকে প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্বের অধীন করা হয়েছে।

ধারা ৪।
রাষ্ট্রদ্রোহ, উৎকোচ গ্রহণ, বা অন্য গুরুতর অপরাধ এবং বেআইনি কাজের জন্য প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সকল বেসামরিক কর্মকরতাদেরকে তাদের পদ থেকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে এবং সাজা দেয়া যাবে।

ভাষ্য
"অন্য গুরুতর অপরাধ এবং বেআইনি কাজ" এই বাক্যাংশটি একটি আইনি পরিভাষা। এই আওতা অনেক ব্যাপক। অভিশংসন বা অভিযুক্ত করার ক্ষমতা একমাত্র হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের। হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ শুধুমাত্র অভিযুক্ত করতে পারবে। কিন্তু কোনো সাজা দিতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট বা কোনো বেসামরিক কর্মকরতাকে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ রাষ্ট্রদ্রোহ, উৎকোচ গ্রহণ, বা অন্য গুরুতর অপরাধ এবং বেআইনি কাজের জন্য অভিযুক্ত বা অভিশংসন করতে পারবে। উক্ত ব্যক্তি হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ কর্তৃক অভিশংসন হওয়ার পর, তাকে সাজা দেয়া হবে না মাফ করে দেয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নিবে সিনেট। সিনেট অভিযোগের ভিত্তেতে উক্ত ব্যক্তিকে সাজা দিতে পারে আবার মাফ করে দিতে পারে। সিনেট সাজা হিসাবে ওই ব্যক্তিকে কোনো জেল জরিমানা করতে পারবে না। সিনেট সাজা হিসাবে ওই ব্যক্তিকে তার পদ থেকে অপসারণ করতে পারবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ অভিশংসন করেছিল। কিন্তু সিনেট তাকে ক্ষমা করে দেয়। ফলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে তার মেয়াদ কালে বহাল থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×