somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-১৮

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনুচ্ছেদ ৪
ধারা ১।
প্রত্যেক রাজ্য অপর রাজ্যের সরকারি কাজসমূহ, দলিল-পত্র, এবং বিচার কার্যক্রমের উপর পূর্ণ বিশ্বাস এবং স্বীকৃতি প্রদান করবে। এবং এই কাজসমূহ, দলিল-পত্র, এবং বিচার কার্যক্রম কি ভাবে প্রমাণিত হবে এবং এর ফলাফল কি হবে তা কংগ্রেস আইনের দ্বারা নির্ধারণ করে দিবে।
ভাষ্য
এক রাজ্য অপর রাজ্যের সরকারি কাজ, দলিল-পত্র, এবং আদালতের রায়গুলিকে স্বীকৃতি দিবে এবং সম্মান করবে। এক রাজ্যের সরকারি কাজ, দলিল-পত্র, এবং আদালতের রায়গুলিকে অপর রাজ্য কি ভাবে গ্রহণ করবে, বা কি প্রভাব রাখবে, তার বিস্তারিত বিধান কংগ্রেস আইন দ্বারা নির্ধারণ করে দিবে।

ধারা ২।
দফা ১। প্রত্যেক রাজ্যের নাগরিকরা অপর রাজ্যের নাগরিকদের মতই সবধরনের সুযোগ সুবিধা এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী হবে।
দফা ২। রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অপরাধ, বা অন্য কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচার এড়ানোর জন্য পালিয়ে গেলে, এবং তাকে অন্য রাজ্যে পাওয়া গেলে, যে রাজ্যে সে অপরাধ সংঘটিত করেছে, সেই রাজ্যের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ দাবি করলে তাকে সেই রাজ্যে প্রেরণ করতে হবে।

ভাষ্য
সাধারণত এক দেশ থেকে অপরাধী অন্য দেশে পালিয়ে গেলে, বিচারের জন্য তাকে ফেরত আনতে হলে দুই দেশের মধ্যে বহি: সমর্পণ চুক্তির প্রয়োজন হয়। সংবিধানের এই বিধানের ফলে এক রাজ্য থেকে অপরাধী অপর রাজ্যে পালিয়ে গেলে সহজেই তাকে, বিচারের সম্মুখীন করার জন্য, যে রাজ্যে সে অপরাধ মূলক কাজ করেছে, সে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা যাবে।

দফা ৩। কোন রাজ্যের আইন অনুসারে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মচারী বা শ্রমিক হিসাবে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি পালিয়ে অপর রাজ্যে চলে গেলে, যার কাজ করতে সে বাধ্য ছিল তার দাবির প্রেক্ষিতে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে।
ভাষ্য
সংবিধানের ১৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে দাস প্রথা নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে এই দফার কার্যকারিতা আর নাই। সংবিধান প্রণেতারা সংবিধানের কোথাও দাস বা দাস প্রথা শব্দগুলি ব্যবহার করেন নাই। এখানে "বাধ্যতামূলকভাবে কর্মচারী বা শ্রমিক হিসাবে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি" মানে দাস। আর "যার কাজ করতে সে বাধ্য ছিল" মানে দাসের মালিক।

ধারা ৩।
দফা ১। কংগ্রেস ইচ্ছা করলে নতুন কোন রাজ্যকে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি ছাড়া কোন রাজ্যকে ভেঙ্গে নতুন রাজ্য সৃষ্টি করতে পারবে না বা দুই বা ততোধিক রাজ্য বা রাজ্যের অংশকে যুক্ত করে নতুন রাজ্য গঠন করতে পারবে না।
ভাষ্য
এই বিধানের দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। মূল সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয় তখন যুক্তরাষ্ট্র তেরোটি রাজ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এই বিধান থাকার ফলে একের পর এক রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত হতে সাংবিধানিক কোন জটিলতায় পড়তে হয়নি। মূল তেরোটি রাজ্য থেকে এখন যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্যের সংখ্যা মোট ৫০টি। অতি সম্প্রতি পুয়ের্তো রিকোর জনগণ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ৫১ তম রাজ্য হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে আবেদন করবে।

দফা ২। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা বা অন্যান্য সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিমালা এবং রেগুলেশন প্রণয়ন করার ক্ষমতা কংগ্রেসের উপর ন্যস্ত থাকবে; এবং যুক্তরাষ্ট্রের বা নির্দিষ্ট কোন রাজ্যের দাবির বিপরীতে এই সংবিধান কোন বিধি প্রণয়ন করবে না।
ভাষ্য
কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণ করে বিধিমালা এবং রেগুলেশন প্রণয়ন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন সম্পত্তির ব্যবস্থাপন করার জন্য কংগ্রেস প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত কোন রাজ্যের যদি কোন দাবি থাকে, তাহলে তার বিপরীতে অর্থাৎ এই দাবিকে পরিত্যাগ করে কংগ্রেস কোন বিধিমালা বা আইন প্রণয়ন করত পারবে না।

ধারা ৪।
যুক্তরাষ্ট্র এই মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের সরকার প্রজাতন্ত্র ধরণের হবে, এবং বহির আক্রমণ থেকে; এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে বিধানসভার বা নির্বাহী বিভাগের (যখন বিধানসভা অধিবেশনে থাকবে না) আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিটি রাজ্যকে প্রতিরক্ষা প্রদান করবে।
ভাষ্য
এই ধারায় রাজ্য সরকারগুলির ধরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতোই রাজ্য সরকারগুলিও প্রজাতান্ত্রিক হবে। কোন রাজতান্ত্রিক, বা একনায়কতন্ত্রিক, বা স্বৈরাচারী সরকার রাজ্য শাসন করতে পারবেনা।
কোন বিদেশী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত যে কোন রাজ্যকে আক্রমণ করলে কেন্দ্রীয় সরকার এর মোকাবেলা করবে।
কোন রাজ্যে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ দেখা দিলে রাজ্য বিধানসভার আবেদনের প্রেক্ষিতে বা যখন বিধানসভা অধিবেশনে নাই তখন ওই রাজ্যের গভর্নরের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×