১৯শ সংশোধনী
লিঙ্গভেদে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভোট দেয়ার অধিকার যুক্তরাষ্ট্র বা কোন রাজ্য অস্বীকার করতে পারবে না।
এই অনুচ্ছেদ বলবৎ করার জন্য কংগ্রেস উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করতে পারবে।
ভাষ্য
সংবিধানের ১৯শ সংশোধনী ১৯১৯ সালের ৪ জুন কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর তা অনুমোদিত হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মহিলারা তাদের ভোটের অধিকার লাভ করে।
২০শ সংশোধনী
ধারা ১। যেই বছরে তাদের পদের মেয়াদ শেষ হবে সেই বছরের জানুয়ারির ২০ তম দিনের মধ্যাহ্নে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হবে, এবং সিনেটর এবং প্রতিনিধিদের মেয়াদ জানুয়ারির ৩য় দিনের মধ্যাহ্নে শেষ হবে যদি এই অনুচ্ছেদ অনুমোদিত না হয় এবং তাদের উত্তরসূরিদের মেয়াদ তখন থেকে শুরু হবে।
ভাষ্য
সংবিধানের ২০শ সংশোধনী ১৯৩২ সালের ২মার্চ কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৩৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তা অনুমোদিত হয়।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে যখন এই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, তখন যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল খুবই ধীরগতি সম্পন্ন। নির্বাচনের ফল প্রকাশ, নির্বাচিত ব্যক্তির সরকারী ভাবে ফল জানা, এবং সেই মোতাবেক শপথ নেয়ার জন্য রাজধানী ওয়াশিংটনে আসতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগে যেত, তাই এই সংশোধনীর আগে মার্চ মাসে শপথ অনুষ্ঠান হতো।
ধারা ২। কংগ্রেস বছরে কমপক্ষে একবার অধিবেশনে মিলিত হবে, এবং এই অধিবেশন শুরু হবে জানুয়ারির ৩য় দিনের মধ্যাহ্নে, যদি না আইনের দ্বারা ভিন্ন কোন দিন নির্ধারণ করা হয়।
ভাষ্য
এই সংশোধনীর মাধ্যমে কংগ্রেসের অধিবেশন মার্চ থেকে জানুয়ারিতে এগিয়ে আনা হয়।
ধারা ৩। যদি, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শুরুর নির্ধারিত সময়ে, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মারা যান, নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হবেন। যদি মেয়াদ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পূর্বে একজন প্রেসিডেন্ট বাছাই করা না যায়, অথবা প্রেসিডেন্ট যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তখন নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করবেন যতক্ষণ না প্রেসিডেন্ট যোগ্যতা অর্জন করবেন; এবং যখন একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট কেউই যোগ্যতা অর্জন করবেন না, সেই ক্ষেত্রে কংগ্রেস আইনের দ্বারা নির্ধারণ করবেন কে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন অথবা একটা বিধি বলে দিবেন কে, কি প্রক্রিয়ায় কাজ করবে, এবং ঐ ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট যোগ্যতা অর্জন করা পর্যন্ত এই বিধি অনুসারে কাজ চালিয়ে যাবে।
ভাষ্য
যাতে কোনোভাবেই প্রেসিডেন্ট পদের শূন্যতা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য অনেক দূরবর্তী অবস্থা চিন্তা করে অনেক গুলি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে এইরূপ কোন অবস্থা কোন সময়েই সৃষ্টি হয় নাই।
ধারা ৪।হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস যাদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন, তিনি যদি ওই সময়ে মারা যান এবং সিনেট যাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচন করবেন, তিনি যদি সেই সময়ে মারা যান তখন কংগ্রেস আইনের দ্বারা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবেন।
ভাষ্য
এই ধারাটাও একটা সতর্কতামূলক বা একটা দূরবর্তী কাল্পনিক অবস্থা। এইরকম পরিস্থিতিও কখনও যুক্তরাষ্ট্রে আসে নাই।
ধারা ৫। ধারা ১ এবং ২ এই অনুচ্ছেদ অনুমোদিত হওয়ার পরে ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
ভাষ্য
১৯৩৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে নূতন তফসিল কার্যকর হয়েছে।
ধারা ৬। উপস্থাপন করার তারিখ হতে সাত বছরের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ রাজ্য এই অনুচ্ছেদ অনুমোদন না করলে এটা কার্যকর হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৩