somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-২৫

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯শ সংশোধনী
লিঙ্গভেদে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভোট দেয়ার অধিকার যুক্তরাষ্ট্র বা কোন রাজ্য অস্বীকার করতে পারবে না।
এই অনুচ্ছেদ বলবৎ করার জন্য কংগ্রেস উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করতে পারবে।

ভাষ্য
সংবিধানের ১৯শ সংশোধনী ১৯১৯ সালের ৪ জুন কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর তা অনুমোদিত হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মহিলারা তাদের ভোটের অধিকার লাভ করে।

২০শ সংশোধনী
ধারা ১। যেই বছরে তাদের পদের মেয়াদ শেষ হবে সেই বছরের জানুয়ারির ২০ তম দিনের মধ্যাহ্নে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হবে, এবং সিনেটর এবং প্রতিনিধিদের মেয়াদ জানুয়ারির ৩য় দিনের মধ্যাহ্নে শেষ হবে যদি এই অনুচ্ছেদ অনুমোদিত না হয় এবং তাদের উত্তরসূরিদের মেয়াদ তখন থেকে শুরু হবে।
ভাষ্য
সংবিধানের ২০শ সংশোধনী ১৯৩২ সালের ২মার্চ কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৩৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তা অনুমোদিত হয়।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে যখন এই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, তখন যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল খুবই ধীরগতি সম্পন্ন। নির্বাচনের ফল প্রকাশ, নির্বাচিত ব্যক্তির সরকারী ভাবে ফল জানা, এবং সেই মোতাবেক শপথ নেয়ার জন্য রাজধানী ওয়াশিংটনে আসতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগে যেত, তাই এই সংশোধনীর আগে মার্চ মাসে শপথ অনুষ্ঠান হতো।

ধারা ২। কংগ্রেস বছরে কমপক্ষে একবার অধিবেশনে মিলিত হবে, এবং এই অধিবেশন শুরু হবে জানুয়ারির ৩য় দিনের মধ্যাহ্নে, যদি না আইনের দ্বারা ভিন্ন কোন দিন নির্ধারণ করা হয়।

ভাষ্য
এই সংশোধনীর মাধ্যমে কংগ্রেসের অধিবেশন মার্চ থেকে জানুয়ারিতে এগিয়ে আনা হয়।

ধারা ৩। যদি, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শুরুর নির্ধারিত সময়ে, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মারা যান, নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হবেন। যদি মেয়াদ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পূর্বে একজন প্রেসিডেন্ট বাছাই করা না যায়, অথবা প্রেসিডেন্ট যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তখন নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করবেন যতক্ষণ না প্রেসিডেন্ট যোগ্যতা অর্জন করবেন; এবং যখন একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট কেউই যোগ্যতা অর্জন করবেন না, সেই ক্ষেত্রে কংগ্রেস আইনের দ্বারা নির্ধারণ করবেন কে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন অথবা একটা বিধি বলে দিবেন কে, কি প্রক্রিয়ায় কাজ করবে, এবং ঐ ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট যোগ্যতা অর্জন করা পর্যন্ত এই বিধি অনুসারে কাজ চালিয়ে যাবে।
ভাষ্য
যাতে কোনোভাবেই প্রেসিডেন্ট পদের শূন্যতা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য অনেক দূরবর্তী অবস্থা চিন্তা করে অনেক গুলি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে এইরূপ কোন অবস্থা কোন সময়েই সৃষ্টি হয় নাই।

ধারা ৪।হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস যাদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন, তিনি যদি ওই সময়ে মারা যান এবং সিনেট যাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচন করবেন, তিনি যদি সেই সময়ে মারা যান তখন কংগ্রেস আইনের দ্বারা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবেন।
ভাষ্য
এই ধারাটাও একটা সতর্কতামূলক বা একটা দূরবর্তী কাল্পনিক অবস্থা। এইরকম পরিস্থিতিও কখনও যুক্তরাষ্ট্রে আসে নাই।

ধারা ৫। ধারা ১ এবং ২ এই অনুচ্ছেদ অনুমোদিত হওয়ার পরে ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
ভাষ্য
১৯৩৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে নূতন তফসিল কার্যকর হয়েছে।

ধারা ৬। উপস্থাপন করার তারিখ হতে সাত বছরের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ রাজ্য এই অনুচ্ছেদ অনুমোদন না করলে এটা কার্যকর হবে না।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×