somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-২৮ (শেষ পর্ব)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৫শ সংশোধনী
ধারা ১। মৃত্যুর ফলে বা পদত্যাগের কারণে প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হবেন।

ধারা ২। ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে প্রেসিডেন্ট একজনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে মনোনয়ন দিবেন, যা কংগ্রেসের উভয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অনুমোদিত হতে হবে।


ধারা ৩। যখন প্রেসিডেন্ট লিখিত ভাবে সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরকে এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের স্পিকারকে তার পদের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কর্তব্য পালনের অক্ষমতার কথা জানাবেন, এবং যখন আবার লিখিত ভাবে বিপরীত অবস্থার কথা জানাবেন সেই সময় পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ধারা ৪। যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাহী বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তাগণ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যাদেরকে কংগ্রেস দায়িত্ব দিয়েছে তাদের অধিকাংশ লিখিত ভাবে সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরকে এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের স্পিকারকে অভিহিত করবেন যে প্রেসিডেন্ট তার পদের ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালনে অক্ষম, তখন তাৎক্ষণিক ভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রেসিডেন্টের সব ক্ষমতা ও কর্তব্য ভার গ্রহণ করবেন।

পরবর্তীতে যখন প্রেসিডেন্ট সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরকে এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের স্পিকারকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন যে তার আর অক্ষমতা নাই, তখন তিনি তার পদের ক্ষমতা এবং কর্তব্যভার গ্রহণ করবেন, যদি না ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাহী বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তাগণ বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যাদেরকে কংগ্রেস দায়িত্ব দিয়েছে তাদের অধিকাংশ চার দিনের মধ্যে সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরকে এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের স্পিকারকে লিখিতভাবে অভিহিত করবেন যে প্রেসিডেন্ট তার পদের ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালনে অক্ষম। অবিলম্বে কংগ্রেস এই সমস্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, কংগ্রেস যদি অধিবেশনে না থাকে তাহলে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে অধিবেশনে মিলিত হবে। যদি কংগ্রেস লিখিত ঘোষণা প্রাপ্তির পর একুশ দিনের মধ্যে বা যদি কংগ্রেস অধিবেশনে না থাকে তাহলে অধিবেশনে মিলিত হওয়ার একুশ দিনের মধ্যে উভয় পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ ভোটে সিদ্ধান্ত নিবে যে প্রেসিডেন্ট তার পদের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কর্তব্যভার পালন করতে অক্ষম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে কার্যভার চালিয়ে যাবেন; অন্যথায় প্রেসিডেন্ট তার পদের ক্ষমতা এবং কর্তব্যভার পুনরায় গ্রহণ করবেন।


ভাষ্য
সংবিধানের ২৫শ সংশোধনী ১৯৬৫ সালের ৬ জুলাই কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৬৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তা অনুমোদিত হয়।
এই সংশোধনীর দ্বারা মূল সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ এর ধারা ১ এর ৬ নং দফাকে পরিবর্তন করা হয়েছে।

২৬শ সংশোধনী
ধারা ১। আঠার বছর বা তদুর্ধ বয়সের নাগরিকদের ভোট প্রদানের অধিকার বয়সের কারণে অস্বীকার করা যাবে না।
ধারা ২। যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই অনুচ্ছেদ বলবত করার ক্ষমতা কংগ্রেসর থাকবে।


ভাষ্য
সংবিধানের ২৬শ সংশোধনী ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৭১ সালের ১ জুলাই তা অনুমোদিত হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ভোটার হওয়ার বয়স সীমা ২১ বছর থেকে ১৮ বছরে নামিয়ে আনা হয়। বয়স সীমা কমিয়ে আনার পিছনে যুক্তি ছিল, ভিয়েতনাম যুদ্ধে আঠার বছর বা তদুর্ধ বয়সের নাগরিকদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক ছিল। ঐ যুদ্ধে অংশ নিয়ে এই বয়সের অনেক আমেরিকান মারা যায়। ১৮ বছর বয়সের একজন নাগরিক যুদ্ধে অংশ নিতে পারলে, সে এই বয়সে ভোট প্রদান করার মত যথেষ্ট বয়স্ক বলে গণ্য হবে।

২৭শ সংশোধনী
যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিনিধি গনের পরবর্তী নির্বাচন না হবে, ততক্ষণ সিনেটরগন এবং প্রতিনিধিগণ (Representatives) তাদের কাজের জন্য যে প্রতিদান গ্রহণ করেন তা পরিবর্তন করে কোন আইন প্রণয়ন করলে তা কার্যকর হবে না।

ভাষ্য
সংবিধানের ২৭শ সংশোধনী ১৭৮৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৯২ সালের ৭ মে তা অনুমোদিত হয়।
আইন পাস হওয়ার ২০২ বছর পর তা অনুমোদিত হয়।
কংগ্রেস নিজেদের বেতন নিজেরা বাড়াতে পারবে না। তারা বেতন বাড়াতে পারবে তাদের পরবর্তী কংগ্রেস সদস্যদের জন্য। অর্থাৎ যে কংগ্রেসে বেতন বাড়ার আইন পাস হবে, তার পরবর্তী কংগ্রেসের সদস্যরা এই বর্ধিত বেতনের সুযোগ ভোগ করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×