somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগে তিন বছর পূর্তি ও অলৌকিকভাবে সামু ব্লগারদের নিয়ে ‘গেট টুগেদার’????

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





০৯ নভেম্বর। শুক্রবার। লাঞ্চ সেরে কেবল গা টানা দিতে যাচ্ছি। দেখি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন। হ্যালো, বলতেই অপরপক্ষ থেকে কোকিলকণ্ঠী একটি মেয়ে জানতে চাইল, ‘আপনি কি সামু ব্লগে আখেনাটেন নামে লিখেন?’ একটু থতমত খেয়ে গেলাম। কি উত্তর দিব? আমার নাম্বার এ মেয়ের কাছে গেল কীভাবে? মিলিসেকেন্ডের ব্যবধানে নানা চিন্তা-দুশ্চিন্তা মাথায় খেলে গেল। এমনি ব্লগে কিছু লেখা সরকারের আঁতে লাগার মতো আছে। কেউ আবার ঠুকে দিল না তো? আবার ভাবলাম আমার মতো চুনোপুঁটির লেখায় সরকার নামক হস্তির কিছুই যায় অাসে না। রহস্যের জট খোলার জন্য শেষে সিদ্ধান্ত নিলাম পরিচয় দিব।

-হ্যাঁ, আমিই এই ছদ্মনামে ব্লগে লিখি।

-তাহলে একটু ধরুন। বলেই কাউকে উনি ফিসফিস করে কিছু বললেন। এদিকে আমার হার্ট ফ্রি স্টাইলে লাফালাফি শুরু করেছে।

এবার একটি পুরুষ কণ্ঠে গমগম করে জানতে চাইল, ‘আপনি কি বনানীর বার্গার কিং এ একটু আসতে পারবেন?’

আমি প্রতিউত্তরে উনার পরিচয় জানতে চাইলাম। কিন্তু উনি মনে হচ্ছে বেশ রহস্যপ্রিয় মানুষ। আমাকে ধাঁধাঁয় রেখে বললেন, ‘আসেন না রেস্তরাঁতে। ওখানেই বিস্তারিত আলাপ হবে’। শেষে আমি পরিচয় জানতে ইনসিস্ট করায় জানালেন উনি সামু টিমের সদস্য ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা। আমি তো ভীষণ বিস্মিত হলাম। কাভা ভাই হঠাৎ আমাকে ফোন করলেন কেন? কোনো কি ঝামেলা বেঁধে ফেললাম নাকি ব্লগে? কয়দিন আগে এক অর্বাচীনের সাথে একটু বাতচিৎ হয়েছিল। সেটার জের কিনা।

পরে উনি জানালেন আসলে অন্য কিছু না ব্লগের পক্ষ থেকে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই আমারও সেখানে উপস্থিত থাকা চাই। আমি জানতে চাইলাম অন্য কোনো ব্লগার সেখানে আছে কিনা। উনি প্রতিউত্তরে জানালেন নেই।

যাহোক, আমার অবস্থানের কাছাকাছি হওয়ায় সন্ধ্যার একটু পরে গিয়েই দেখি টেবিলের এক কোণে মিচকে দাঁড়ির কিম্ভূতকিমাকার এক লোক বসে আছে। মনে মনে বললাম ,’তাহলে এই বদ-দর্শন লোকটা কাল্পনিক_ভালোবাসা। দেখেই মনে হচ্ছে বউয়ের সাঁড়াশি আক্রমনের মুখে থাকে সবসময়। ভালোবাসার এই কাল্পনিক বিধ্বস্ত রূপ দেখে বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হল। হাজারো হলেও ব্লগে অনেক দিন থেকেই একসাথে আছি। বউ জাতটার প্রতি একটু বিতৃষ্ণাও জন্মাল। কাভা ভাইয়ের জন্য একরাশ সমবেদনা ঝরে পড়ল। একটু সন্দেহও লাগছিল।’

উনার দিকে এগুতে গিয়েই দেখি ওয়েটার আমাকে বলছে, ‘স্যার, আপনাকে ওদিকের টেবিলের একজন ডাকছে’। দেখলাম আরেক কর্ণারে ফ্রেঞ্চকাট ফুকু দাঁড়ির এক সুদর্শন মধ্য তিরিশের ব্যক্তি ডাকছে। কাছে গিয়েই চিনতে পারলাম আরে এটাই কাভা ভাই। কারণ ব্লগের উনার অন্য একটি নিকে ছবি আছে। তাহলে ঐ ব্যাটা কে? যাহ, কি ভুল চিন্তাটাই না আমি করছিলুম? পরে কাভা ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে? এই লেখার মাধ্যমে মাফ চাচ্ছি কাভা ভাই। সরি। উনিও আমাকে আন্দাজে চিনে ফেলেছেন।

হ্যান্ডশেক করার পর মোহিতোর অর্ডার দিয়ে এখানে আমাকে টেনে আনার হেতু জানতে চাইলাম। কাভা ভাই বেশ মিষ্টি করে কথা বলেন। সেন্স অব হিউমারও বেশ মনে হল। অথচ ব্লগে উনার লেখা দেখে কিছুটা কাঠখোট্টা ধারণা করেছিলাম।

উনি আমাকে জানালেন যে উনারা ব্লগারদের নিয়ে একটি ঘরোয়া গেট টুগেদার করতে চাচ্ছেন। সেখানে আমাকে উপলক্ষ হিসেবে রাখছেন। আমার সামনে তিন বছর পূর্তি হবে ব্লগে। সেটাকে সামনে রেখে গুণী ও পুরাতন ব্লগারদের নিয়ে এটা করতে চান। এটা একটা ট্রেডিশন হিসেবে প্রতিবছর কোনো ব্লগার ব্লগ বর্ষপূর্তি হিসেবে রান করবে। বললাম তা আমার মতো নাদান ব্লগার কেন? ব্লগে এত এত মহীরুহ থাকতে। জানালেন প্রথম এই আয়োজন উনারা এই মাসেই করতে চেয়েছেন। আর এই মাসেই আমার তিন বছর পূর্তি। ফলে উনাদের নাকি আমাকে দিয়েই ট্রেডিশনের শুরুটা করতে চান। সহজ চিন্তা। শুনে তো আমার চোখে পানি আসার দশা। এত আবেগ কই রাখি গেদু!! |-) আমি বেশ আমোদিত হয়ে সম্মতি দিলাম।

কাভা ভাই জানাল আগামীকাল উনারা আমাকে বিস্তারিত জানাবেন কোথায় এই অনুষ্ঠান হবে। একটা কনভেনিয়েন্ট জায়গা চুজ করতে হবে।

পরের দিন কাভা ভাই আবার ফোন দিলেন। জানালেন উত্তরাতে রাজলক্ষী কমপ্লেক্সের অপোজিটে সী শেল রেস্তরাঁর চতুর্থ ফ্লোর নাকি বুকিং দিয়েছে। আমি যেন ঐদিন একটু আরলি ওখানে গিয়ে উপস্থিত হই। অন্যান্য ব্লগারদের রিসিভ করতে হবে।
আমি উনার কাছে জানতে চাইলাম কোন কোন ব্লগারদের ইনভাইট করা হয়েছে। উনি স্বভাবসুলভ ফুকু হাসি দিয়ে বললেন, ‘সময় হলেই জানতে পারবেন। থাকুক না একটু রহস্য।’

আমার এদিকে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এতদিন ব্লগিং করছি। অনেক পরিচিত লেখ্য মুখ। অথচ কেউ কাউকে চিনি না। নিশ্চয় অনেকের সাথে পরিচয় হবে। ভাবতেই অন্যরকম লাগছে। ও, আরেকটা কথা। জানা আপাও ফোন দিয়ে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল। উনাকেও বেশ এক্সাইটেড মনে হল ব্যাপারটা নিয়ে। সামুর নতুন মোবাইল অ্যাপ্স আসছে। গেট টুগেদার। সেই ২০১৩ সালের পর মনে হচ্ছে সামু আবার নব যৌবনে পদার্পণ করছে। আমিও সেই যাত্রায় সামিল হতে পেরে আপ্লূত হলুম।



সী শেল রেস্তরাঁর গেটের সামনে গোলাপ ফুল নিয়ে আমি আর কাভা ভাই দাঁড়িয়ে আছি। জানা আপা সহ অন্যরা উপরে। প্রথমেই দেখি একটি টয়োটা প্রিমিও গাড়ি এসে থামল। বেলবটম প্যান্ট ও প্রিন্টের আকাশি কালারের একটি শার্ট পরিহিত ষাটোর্ধ ব্যক্তি গাড়ি থেকে শত্রুঘ্ন সিনহা ভঙ্গিমায় নামলেন। দেখে মনে হল সত্তরের দশকের সবেমাত্র কালার প্রিন্ট সিনেমার কোনো নায়ক। এখনি ‘হাওয়া মে ওড়তা য্যায়ে, তেরা লাল দোপাট্টা মলমল’ গেয়ে আসছেন। দেখেই আমরা চিনতে পারলাম আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেব। উনাকে যতটা রসকষহীন মানুষ মনে করেছিলাম লেখা পড়ে, এখানে এই বেশভূষায় দেখে ভুলটা ভাঙল। মারাত্নম রোমান্টিক আছেন মাইরি। উনি আমাদের দুজনের সাথে কথা-টথা বলেই মিলিটারী কায়দায় উপরে চলে গেলেন।

একটু পরে সাদা প্যান্ট আর হলুদ শার্ট পরিহিত মাঝারি উচ্চতার গুডুম-গাডুম এক সুশ্রী ভদ্রলোক হাতে একটি ব্রিফকেস নিয়ে সোজা আমাদের কাছে এসেই কাভা ভাইয়ের সাথে কোলাকুলি করল। ভাবলাম তারমানে উনারা আগে থেকেই পরিচিত। আমিও চিনে ফেললাম। এটাই পিচ্চি সালমানের বাবা। হ্যাঁ, আমাদের প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই। সেই সুদূর কুড়িগ্রাম থেকে এসেছেন। আজকেই নাকি ঢাকাতে কোন এক কাজে এসেছিলেন। এই অনুষ্ঠানের কথা কাভা ভাই থেকে শুনে চলে এসেছেন। ভীষণ ভালো লাগল পরিচিত হয়ে। উনিও আমাদের সাথে দাঁড়িয়ে গেলেন ব্লগার রিসিভ করতে জেদ করেই।

গেট টুগেদারের ছবি। সঙ্গতকারণেই এখানে মুখগুলো দেখানো হচ্ছে না।

এরপর মাথায় ফিলিস্তিনি টুপি ও বিশাল দাড়ি, সাথে চমৎকার একটি সাদা পাঞ্জাবী পরে এক সৌম্যদর্শন ভদ্রলোক উপরের দিকে তাকিয়ে কি যেন খুঁজছে? কাছে আসতেই কাভা ভাইকে চিনে ফেলেই উচ্ছসিত কন্ঠে, ‘কাইফা হালুকা কাভা ভাই’। পাশে আমাকে দেখে জানতে চাইলেন আমার পরিচয়। পরিচয় দিলাম। নতুন নকিব ভাই মুচকি একটা হাসি দিয়ে কোলাকুলি করলেন। বিনয়ের অবতার আমাদের নকিব ভাই ‘কাইফা হালুকা’।

নকিব ভাইয়ের সাথে কথা বলতেই দেখি একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল রেস্তরাঁর সামনে ধা করে এসে দাঁড়াল। দূর থেকেই চিনতে পারলাম আমাদের সবার প্রিয় রাজীব নুর ভাই। পাঠাও রাইড শেয়ারে এসেছেন। কাছে আসতেই পরিচয় পর্ব শেষ হতেই রাজীব ভাই গলা চড়িয়ে বললেন 'বাইকের কচ্ছপ গতিতে মেজাজটাই খারাপ। আবার রাস্তা খোড়াখুড়ি, ফুটপাত দখল। হিজড়া, ভিক্ষুক। হা*জাদাদের অনুভূমিকভাবে থাপড়ানো দরকার'। কার উদ্দেশ্যে বললেন বুঝা গেল না। আমরা রাজীব ভাইকে শান্ত করলাম। উনি বললেন, 'দেরি করে ফেললাম নাকি'। ‘আরে বলবেন না। বাড়ি থেকে বলতে গেলে পালিয়েই আসলাম। সুরভী জেদ ধরেছে সেও আসবে’। কাভা ভাইসহ আমরা হৈ হৈ করে উঠলাম, ‘নিয়ে আসলেই পারতেন’। উনি আমাদের সবার প্রিয় সুরভী ভাবি। পরিচয় হত।

রাজীব ভাইয়ের সাথে কথা বলতেই দেখি দুটো এলিয়েন গাড়ি এসে থামল। অত্যন্ত লম্বা-ফর্সা-সুদর্শন দুইজন পঞ্চাশোর্ধ ও ষাটোর্ধ ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নামলেন। প্রথমজনের গায়ে অাফগানী কালো কুচকুচে কুর্তা, আরেকজনের গায়ে সাদা পাঞ্জাবী আর পায়ে সুলতানী অামলের জুতা। কাভা ভাই আমার দিকে তাকালেন। কে হতে পারেন? কাছে এসেই প্রথমজন কাভা ভাইয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে, ‘আমি আহমেদ জী এস’। পাশের জনকে আমরা চিনতে পেরে কাছে গিয়ে হাত ধরে নিয়ে আসলাম। আমাদের সবার প্রিয় ড. এম এ আলী। এই শরীর নিয়েও আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছেন। দেখে আমরা ভীষণ আপ্লুত হলুম।

ড. এম এ আলী ভাই ও জী এস ভাইয়ের সাথে হালকা হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠতেই ধাঁ চকচকে একটি ৬০’র দশকের এন্টিক মডেলের বিরল অ্যাস্টন মার্টিনের হুটখোলা কার এসে দাঁড়াল। জেমস বন্ড সিনেমায় মনে হয় এরকম কার দেখেছিলাম। গর্জিয়াস। আশেপাশের লোকজনও এই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখছে। গাড়ির ভেতরে দেখি এক চাইনিজ ব্যাটা বসে আছে। সাথে একজন বৃটেনের রাণীর নাত বউয়ের মতো হ্যাট পরিহিত মেয়ে। কড়া মেকাপের কারণে চেনা চেনা মনে হলেও চিনতে পারছি না। মুখে মনে হচ্ছে তিন স্তরের পুরু মেকাপের দেওয়াল। চোখের কি সাধ্য আছে এটা ভেদ করে লোক চেনা? রাজীব নূর ভাই আন্দাজ করল এক খামচায় মুখ থেকে মিনিমাম ৩০০ গ্রাম ময়দা উঠে আসবে ( রাজীব ভাইয়ের ঘরে কি এরকম খামচা-খামচির অভ্যাস আছে নাকি! আল্লাহ মালুম)। তবুও ত্বকের দেখা পাওয়া যাবে না। যাহোক, এইরূপ উদ্ভট ভাবনার মাঝেই, হঠাৎ আলী ভাই ও জী এস ভাই একই সাথে চিৎকার করে উঠে বললেন, ‘আরে এটা আমাদের ব্লগার শায়মা আপুমনিতা না। কিন্তু এই চাইনিজ চিজের সাথে ক্যান।’ আমরাও উনার সাজুগুজুর বাহার দেখে বর্জ্যপিষ্ট থুক্কু বজ্রপিষ্ট হলাম। কাছে এসে চাইনিজ ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় করায়ে দিলেন। শেষে জানলাম উনি আসলে হংকং এর অধিবাসী। আমরা আর বেশি কিছু জানার চেষ্টা করি নি। কেউ বিস্তারিত জানতে চাইলে ব্লগার শায়মার এই লেখাটা পড়তে পারেন।

আমাদের পাশেই এতক্ষণ সেলিম ভাই ছিলেন। কাভা ভাই খুঁজলেন সাথে আমিও। জী এস ভাই জানালেন সেলিম ভাইয়ের নাকি তলপেটে চাপটা একটু বেড়েছে তাই উপরে গেছেন ফ্রেশ হতে। হঠাৎ সেলিম ভাইয়ের তলপেটে চাপ রহস্যজনক মনে হল।

ঠিক সেই মুহূর্তে দেখি একটি মেরুন রং এর এক্সিও ও আরেকটি করোলা এক্স গাড়ি এসে থামল। এক গাড়ি থেকে চল্লিশোর্ধ তিনজন সুশ্রী মহিলা নামলেন। অন্য গাড়ি থেকে চারজন পঁয়তাল্লিশ-পঞ্চাশের আশেপাশের পুরুষ। দুজনকে দেখে চিনতে পারলাম। একজন আমাদের ছবি আপু ও প্রামানিক ভাই। বাকিদের সাথে পরিচয় হল। একজন আরজু পনি আপু। অন্য দুই জন আমাদের কবি বিজন রয়সুমন কর

একটু পরেই মাঝারী গড়নের মাথায় ব্যাকব্রাশ করা এক ব্যক্তি পরিপাটি পোশাকে হন্তদন্ত করে এসেই কাভা ভাইকে জিজ্ঞেস করল, ‘এখানে ব্লগারদের নিয়ে কোনো আয়োজন...’। উনি একথা বলতেই আমি চিনতে পারলাম, ‘আরে এ যে আমাদের নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই’। নূরু ভাই শুনে লাখ টাকার একটি হাসি দিলেন। পরিচয় পর্ব শেষে আমরা উনাকে উপরে যেতে বললাম। উনি একটু এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে এসে কাভা ভাইকে ফিসফিস করে, ‘ট্রাম্পের ফ্রেন্ড পাজীটা এসেছে নাকি। এলে খবর আছে’। বলেই সটান লিফটের কাছে চলে গেলেন। কাভা ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা, পাজীটা আবার কে?’ আমি হতাশ হয়ে নতুন কে আসল দেখতে লাগলাম।

ইতি সামিয়া ওরফে সামিয়া কালো হ্যাট পরে হাতে ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে হাজির। পটপট করে আমাদের কয়েকটা ছবিও তুলে ফেললেন। রাস্তার এই পাশ থেকে ওপাশের রাজলক্ষী কমপ্লেক্সের ছবি তুললেন। পাশের মোড়ের কয়েকটা ছবি তুললেন। তারপর মডেল জিজি হাদিদের মতো করে হ্যান্ড ব্যাগটা ঘাড়ের পেছনে ফেলে আমাদের টা টা জানিয়ে লিফটের দিকে এগিয়ে গেলেন। আমরা চোখ কচলে সামনের রাস্তার দিকে তাকালাম নতুন কে আসল দেখার জন্য।

ব্লগার কি করিআজ ভেবে না পাই , নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন, রাফা, নুর অালম হিরণ ও টারজান০০০৭, এ আর ১৫ একসাথে আসলেন। তেলে-জলে মিলেমিশে একাকার দেখে একটু অবাকই হলাম। সংস্কৃতির হাওয়া বদলে কাভা ভাইও খুশি। কি করি এসেই মিষ্টি করে একটি ছড়া কাটলেন। সাথে জানতে চাইলেন কবা-হাকা’দের কি খবর? কাভা ভাই মুচকি হেসে জানালেন উপরে যান গেলেই দেখতে পাবেন রহস্য। এদিকে টারজান০০০৭ ইতি উতি তাকিয়ে, ‘যাই দেখি কয়জন পাঁঠার আজকে বীচি ফেলা যায়’। বলে লিফটের দিকে এগিয়ে গেলেন। বনের রাজার কথা শুনে আমি কাভা ভাইয়ের দিকে ভীত দৃষ্টিতে তাকালাম। উনি নিজের বাঁ-হাতটা নিজের গলায় ছুরি চালনার মতো করে বললেন, ‘সুলেমানি ব্যান। ৯০ দিন’।

এরপর দেখি আউলা-ঝাউলা মাথার ও কুঁচকানো শার্টের খোঁচাখোঁচা দাড়ির সাদাসিদা এক ভদ্রলোককে। দেখে যে কেউ ভাবতে পারে দেশে মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয় নাই। পাশে দাঁড়ালেই স্লোগান দিতে ইচ্ছে করবে, ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম চলছে, চলবে। দুনিয়ার মজদুর এক হও’। পরিচিত হলাম। এনিই আমাদের মন্তব্যের উত্তর না দেওয়া রেজা ঘটক ভাই। যদিও উনাকে বেশ হাসিখুশি বড় হৃদয়ের মানুষই মনে হল।

সন্ধ্যার পরেও কালো গগলস চোখে লাগিয়ে একজন পঞ্চাশের কাছাকাছি সৌখিন ভদ্রলোককে ইতি-উতি তাকাতে দেখে কাভা ভাই এগিয়ে গেলেন। কাছে আসতেই চিনতে পারলাম সম্প্রতি চোখের সমস্যার ভুগতে থাকা আমাদের সবার প্রিয় সোনাবীজ ভাই। কথা বলে ভীষণ রসিক মনে হল। পকেট থেকে দেখি একটি হেডফোন বের করে টুপ করে কানে লাগিয়ে হাঁটতে হাঁটতে লিফটের দিকে এগিয়ে গেলেন। গানপ্রিয় উদার মনের মানুষ বলতেই হয়।



একটু পরেই লম্বা ঢ্যাঙ্গা একটা মিড টুইন্টি ক্রস করা ইয়াং বেঙ্গল সোজা এসে কাভা ভাইয়ের পেটে তর্জনীর দিয়ে আলতো গুঁতো মেরে , ‘কি রে মডু, খেয়ে দেয়ে গতরটা তো ভালোই বানিয়েছিস। যাই, উপরে আমার জান্টুস কে কে আসল দেখি গিয়ে?’। বলে ভাটিয়ালি ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নে রে আমি আর বাইতে পারলাম না’ গাইতে গাইতে উপরে চলে গেল। আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম কাভা ভাইয়ের দিকে, ‘কয়দিন’।
‘পনের দিন মন্তব্য ব্যান। কিন্তু এ জিনিস খবর পেল কীভাবে?’--কাভা ভাই একরাশ হতাশা নিয়ে ফাঁকা প্রশ্ন ছঁড়ল।

এরপর একটি ল্যান্ড ক্রজার এসে থামল। উজ্জল শ্যামলা বর্ণের অতিশয় সুশ্রী একজন রূপবতী (দেখে বলিউডের কাজলের কথা মনে পড়ে গেল মাইরি) সাথে এক তিন-চার বছরের পিচ্চি নিয়ে গাড়ি থেকে নামলেন। কাছে এসে পরিচয় দিলেন মিথী_মারজান হিসেবে। আমরা হাঁ করে শুনলুম। এরপর লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিলুম। অবশ্য কানে কানে বলতে ভুলি নাই ছুটু বোন-টোন থাকলেও আনতে পারতেন আপু। মামাতো-ফুফাতো-খালাতো-চাচাতো যেই হোক। পিচ্চিটা আমার কানে কানে বলা কথা শুনে প্যান্ট ধরে একটা দিলো টান। তাড়াতাড়ি আবার কাভা ভাইয়ের কাছে চলে আসলাম।

এসেই দেখি রূপসীদের দ্বারা ঘেরাও হয়ে আছেন কাভা ভাই। একে একে পরিচয় হল মিষ্টি মুখের উম্মে সায়মা, গ্রীক দেবী ক্লে ডল, রূপসী বাংলাদেশ ঈপ্সিতা চৌধুরী, কিউট নুরুন নাহার লিলিয়ান আপু, ক্লিউপেট্রার খুড়তুতো বোন চঞ্চলা হরিণী, সাদা সাদা অারো সাদা অ্যাপ্রোন পরিহিতা নূর-ই-হাফসা নীলে নীলে নীলপরি, তেপান্তরের কঙ্কাবতী রাজকন্যা সহ আরো নাম না জানা অাপুমনিতাদের।

রূপসীদের নিয়ে রাজীব নূর ভাই হৈ হৈ করে উপরে চলে গেল। দেখে জন ট্রাভোল্টার একটা ছবির কথা মনে পড়ে গেল। অনেক দিন পরে মনে হয় নূর ভাই একটা কাজের মতো কাজ পেয়েছে। দেখা যাক টুকরো টুকরো কালো মিথ্যায় এ নিয়ে কি লিখেন তিনি।

একটু পরেই দেখি সুঠাম দেহের একজন এসেই, ‘গোধুলী লগ্নে খুঁজে নাহি পাই সন্ধ্যাতারা’...কাভা ভাইকে দেখেই ‘যাক, পাওয়া গেল তাহলে’। জানুলুম সুদর্শন এই ভদ্রলোকই তাহলে কথাকথিকেথিকথন। পিছে দেখি দশাসই গোলগাল এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। বুঝাই যাচ্ছে ভদ্রলোকের বাড়ীওয়ালীর উপর রান্না-বান্নার ঝড় বয়ে যায়। এমনি এমনি তো আর ঢাকাতে এত এত দেশি-বিদেশি রেস্তরা খোলা হচ্ছে না। আমার এরকম উদ্ভট চিন্তার মাঝেই উনি এসে পরিচয় হলেন, ‘আমি বিদ্রোহী ভৃগু
আমি হৈ হৈ করে উঠলাম, ‘আরে আমাদের প্রিয় ভৃগু দা’। ছাগল আর হাতিতে কোলাকুলি করলুম।

রূপসী অাপুমনিতারা একসাথে

এর মাঝেই দেখি কবি জাহিদ অনিক এক সুন্দরীকে নিয়ে হাজির। কবিরা কি সুন্দরী ছাড়া চলতে পারে না নাকি। সাথে রূপক বিধৌত সাধুশাহরিয়ার কবীর, দিশেহারা রাজপু্ত্র
। আরো অনেক মুখ জাহিদ হাসান, ইমরান আশফাক, নীল আকাশ, রক বেনন, পুলক ঢালী,রানার ব্লগ প্রমুখ।

এদিকে মোস্তফা সোহেল, মোঃ মাইদুল সরকার, সম্রাট ইজ বেস্ট,অারণ্যক রাখাল'রা নাকি গেট টুগেদারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না নানাবিধ কারণে। কারো বাসা চিটাগং, ঢাকা থেকে দূরে, কারো পরীক্ষা ইত্যাদি কারণে।

এছাড়া কিছু অনিয়মিত ও হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের সাথে পরিচয় হল। তাদের মধ্যে অন্যতম গোঁফবিহীন বিলিয়ার রহমান, গোঁফসহ গড়ল, ছোট গোঁফের জেন রসি, মেজো গোঁফের নাগরিক কবি, বাঁকানো গোঁফের হাসান জাকির ৭১৭১, সুলতানী গোঁফের উদাস মাঝি, অদৃশ্য গোঁফের শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া), গাব্বার সিং গোঁফের গেম চেঞ্জার, ভীম সিং গোঁফের সাহসী সন্তান অারোও নাম মনে না থাকা ব্লগারেরা।

কিছু ব্লগার কথা দিয়েও কথা রাখে নি মানে অাসে নি। এ জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষ নাকি বেশ মোটাসোটা অ্যাকশন নিতে যাচ্ছে উনাদের বিপক্ষে। এদের মধ্যে আছেন ব্লগের হিউয়েন সাং সাদা মনের মানুষ ভাই, গল্পের মানসিংহ হাসান মাহবুব ভাই, রম্যের খুড়তুতো পিসিমশাই গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, রম্যের ঠাকুরদা অাবুহেনা মোঃ অাশরাফুল ইসলাম ভাই, রম্য ছড়ার বটগাছ বাকপ্রবাস, চন্দ্রগুপ্ত যুগের পদ্ম পুকুর ভাই,
চুপিচুপি ব্লগার মেঘনা পাড়ের ছেলে প্রমুখ।

এরপর সাড়ম্বরে হাজির হলে দুজন সুশ্রী, রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যার ছোট দুই বোন জুন’পা, করুণাধারা’পা। এসেই কাভাকে বললেন নেফারতিতির ইয়েটা কই? কাভা ভাই হাতের ইশারা করে আমাকে দেখিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে দুজনেই কাছে এসে আমার দুই কান ধরে লিফটে টেনে আনলেন। আশেপাশের লোকজন দেখছি আমার এই করুন অবস্থায় মজা লুটছে। আমি বুঝে উঠলাম না কি অপরাধের শাস্তি এটা।

শানে নুযুল হচ্ছে জুন'পা, করুণাধারা’পা এতক্ষণেও না আসায় আমি কাভা ভাইকে ইয়ার্কি করে একটু আগে বলেছিলুম, ‘দ্যাখেন, আজকে পূর্ণিমা রাত হয়ত আপাদের বাঁতের ব্যথাটা চাগাড় দিয়ে উঠেছে। বয়স হলে এরকম হতেই পারে। কই বাত নেহি’। কাভা ভাই নিন্দুক আছে মাইরি। ঠিক এই কথাটাই একটু আগেই মোবাইলে আপাদের জানিয়ে দিয়েছে। আর ফারাও যায় কোথায়? শাস্তি তাকে পেতে তো হবেই।


উপরে গিয়ে দেখি সবাই নানারকম খুনসুটিতে মশগুল। সকলকে দেখে ভীষণ ভালো লাগল। এমন একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য জানা আপার উপর কৃতজ্ঞতাও বেড়ে গেল।

আমার জন্য আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ জানা আপা ঘোষণা করলেন যে ব্লগারেরা দেশের বাইরে আছেন উনারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের সাথে মিলিত হচ্ছেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। সবাই হৈ হৈ করে উঠল। এ যে মহা হুলুস্থুল ব্যাপার-স্যাপার।

প্রজেক্টর চালু করা হল। ফোর-জি কানেক্টের সাথে সাথে প্রথমেই বেশ ফর্সা, সৌম্যদর্শন এক ষাটোর্ধ ব্যক্তি স্কিনে দেখা গেল। মাথায় ঝলমলে ট্রাম্প স্টাইলের চুল এই বয়সেও। পেছন থেকে কে যেন ফোঁড়ন কাটল উত্তরা ইপিজেডের পরচুলা কারখাানার একটি পরচুলা নাকি গতকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। যাহোক, উনি রোমান্টিক চাহনিতে পরিচয় দিল নিজেকে ‘চাঁদ্গাজী’ বলে। আমরা সবাই বিস্মিত, পুলকিত, আনন্দিত। কত দিনের সখ ছিল ব্লগ সম্রাট চাঁদ্গাজীকে দেখব। আমার মতো অনেকের হয়ত খায়েস ছিল। উনি স্ক্রিনে এসে অট্টহাসি দিয়ে সকলকে আপন করে নিলেন। এরপর হালকা কুশল জিজ্ঞেস করে সমাপ্তি টানতেই উনি তীক্ষ্ণ চোখে আমাদের পিছনে কাউকে দেখে বেশ গম্ভীর স্বরে বলে উঠলেন, ‘হোজ্জার ঘোড়াটাও দেখছি এসেছে’। বলেই স্ক্রিন থেকে বিদায় নিলেন। আর আমরা হতভম্বের মতো পিছনে তাকালাম সবাই।

এরপর একে একে স্ক্রিনে ভেসে উঠে আলাপচারিতায় মেতে উঠলেন এস এম সুলতান স্টাইল মাথাভর্তি ঝান্টি চুলের কলাবাগান১, আর্মি ছাঁট মাথার জগতারন, সামনে কয়েক গাছি চুলসহ ঢাবিয়ান, চুলবিহীন ইফতেখার ভুঁইয়া, ছোট চুলের নতুন, বড় চুলের সাজ্জাদ, খাট চুলের মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, কালো দু-ধারী চুলের বিচার মানি তালগাছ আমার, সফেদ চুলের চাঙ্কু জেডা, খাড়া চুলের ভুয়া মফিজ, সোজা চুলের অন্তরন্তর, ত্যাড়া চুলের উদাসী স্বপ্ন, ঘোড়া চুলের কালীদাস ভাই, পাতলা চুলের মলাসইলমুইনা, থ্যাঁতলা চুলের অারইউ, ঝাঁকড়া চুলের মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই, কোঁকড়া চুলের কাছের মানুষ প্রমুখ।

আপুদের মধ্যে মেকাপবিহীন সোহানী’পা, অল্প মেকাপের মনিরা সুলতানা’পা, খুবই অল্প মেকাপের কাতিআশা’পা, অচেনা মেকাপের রোকসানা লেইস’পা, চেনা মেকাপের গুলশান কিবরিয়া’পা, মেকাপ বক্স সাথে নিয়ে অাসা রুপালী মানবী শিখা'পা, কড়া মেকাপের বরফের দেশের ওমেরা

মেকাপবিহীন পদাতিক দা’কে দেখছি ঢপের চপ নিয়ে আমাদের সাদর সম্ভাষণ জানাচ্ছেন।

অবশেষে সবাই খেয়েদেয়ে হৈ হুল্লুড় করে মাঝ রাত্রে বিদায় নিলুম। মেমোরেবল একটি গেট টুগেদার।


পুনশ্চঃ এরকম আয়োজন নাকি বছরে একবার করা হবে তাই জানা আপা জানাল। এবারের আয়োজনে মোটামুটি দুই বছরের কাছাকাছি ব্লগারদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। নেক্সট ইয়ারে এখনকার নতুনরাও পুরাতন হবে। ফলে ডাক পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকছে। তাই ধুমায়ে ব্লগিং করুন আর মডুদের সুদৃষ্টিতে থাকুন। রাখে আল্লাহ মারে কে? এই কে কে…? দেখি আমার প্যান্ট টেনে খোলার চেষ্টা করছে মিথী আপার পিচ্চিটা। এমনি বেল্ট খুঁজে না পাওয়ায় পরে আসতে পারি নি। এ যে ইজ্জতের ফালুদা বানানোর পাঁয়তারা করছে। অাজকালকার পিচ্চিগুলোও হয়েছে মাইরি এক একটা...!!!!!! :``>>

নেক্সট ইয়ারে অাবার হয়ত অন্য কারো বর্ষপূর্তিতে সকলের দেখা হবে এই প্রত্যাশায় বিদায়!!!!!!!!!
:`>

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এখানের বর্ণনা আমি যাঁদের যেভাবে রেস্তরাঁতে দেখেছি, সেভাবেই দেওয়ার চেষ্টা করেছি নিখুঁতভাবে। এ ব্যাপারে আমি শতভাগ অনেস্ট ছিলাম বলেই মনে করি। কোনো অসামঞ্জস্য থাকলে সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্লগারের সমস্যা। আমি কোনো প্রকার দায় নিজের কাঁধে নিতে অপারগ। লেট'স এনজয়।

ছবি: সামিয়া অাপুমনিতার ক্যামেরায় তোলা। হাতে-পায়ে ধরার পর মাত্র দুটো ছবি দিয়েছে। মুখগুলো কালি দিয়ে লেপ্টে দেওয়া হয়েছে কেন তা নিশ্চয় খুলে বলতে হবে না? X((
******************************************************************************************
@আখেনাটেন/২০১৮

গেট টুগেদারে এই ব্যান্ডকে নিমন্ত্রণ করলে ডাবল ধামাকা হত: :-P
এই জিনিসকেও অানা যেত পারত: :P
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩০
১২৭টি মন্তব্য ১২৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×