জঙধরা সাইকেলে করে । যে রাস্তায় আজও পরীদের আনাগোনা ।
সেই রাস্তার পাশের গ্রিল ধরে পৃথিবীর শেষ রাজকন্যার বুকে পাখি জন্মে ।
পালকের উষ্ণতার আগুন !
একটা গল্প আছে শোন কম্বলের ভেতরে ,
যত্ন করা কবিতা , আর ফিতেহীন জুতোজোড়ায় আছে আনন্দ পাখির দুটো পালক ।
আরও কর্কশ ভুল ভায়োলিনের সুরে ,
পাতা ভর্তি মেরুন ভেস । আঙ্গুলে লেগে থাকা মাংসের গন্ধ ।
দিনের শেষে সবাই সুখি হয় না । কেউবা সুখি হয়েও বুঝে না । মেরুন রঙের মৃত ফুলের মাঝে কাব্য খোঁজে !
বলতে আজ দ্বিধা নেই আর ,
আমি কোনোদিন মানুষ ছিলাম না ছিলাম একটা প্রাণ!
সারাদিন শুধু পানির গন্ধ শুঁকে কেটে যেত ।
পলেস্তরা খসে পড়া দেয়ালেও কিছুটা গন্ধ ছিল যা কেবল উড়ে বেড়াতো হালকা সবুজ কাঁচ ধরে ।
যেদিন যুদ্ধ নেমে এলো ,
আমার খুব ঘুম পেল ।
রুটি পানি আর একটা নরম বিছানা ।
আমি আমপাতায় নিজের পরিণতি লিখতে বসে গেলাম ।
"ভস্ম" !
আজ আমি ভরে দিতে পারি নাইলনের দড়ি বাঁধা ভস্মের বস্তা ,
নতুন চকচকে রক্তের স্রোতে ।
যে পথে একদিন পরীদের আনাগোনা ছিল ,
বেকে যাওয়া গ্রিলে ভেসে থাকত একটা প্রাণ ।
আজ শুধুই রুটি আছে , খাবার পানি নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:২৭