আজ বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপরিবারে নিহত হবার দিন। স্বাধীন বাংলাদেশে এভাবে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড ঘটাবার ঘটনা রাষ্ট্রের আইন লংঘনই শুধুই নয় তা চরম অসভ্যতাও বটে।
আমরা জানি, এ দেশের ইতিহাস অনেকাংশেই নিরপেক্ষতার মানদন্ডে মাপা বড়ই কঠিন ও কষ্টকর কাজ...কিন্তু-
ধরি, স্বাধীন বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের দলীয় ও সাংগঠনিক এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড পরিচালনায় সফল সমর নায়ক শেখ মজিবুর রহমান ব্যর্থ হয়েছেন...তাই বলে কি তাকে স্বপরিবারে হত্যা করতে হবে?
-কি দোষ ছিল শিশু শেখ রাসেলের? (যার এই হত্যাকান্ডকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করেন)
-রাষ্ট্রীয় আইন নিজ হাতে তুলে নেবার অধিকার কারোই নাই, সে আমজনতাই হোক আর সেনাঅফিসারই হোক।
স্বাভাবিকভাবেই শেখ হাছিনার পরিবার আজ দিনটি তার পরিবারের জন্য কষ্টকর, যন্ত্রণাদায়ক ও বেদনাবিদুর দিন এবং আওয়ামী লীগ তার এই প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করনে নানা আয়োজনে-
-নিসন্দেহে তাই অপরাপর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কোন কর্মসূচি কিংবা আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচির সাথে একাত্ত্বতা বোধ না ও করতে পারে তাই বলে আনন্দ-উল্লাস করা সমুচিন নয়, দেশের এতো বড় হত্যাকান্ডের দিন অপর রাজনৈতিক দলের সম্মানে অপরাপর দলের উচিত তাদের দলীয় কোন আনন্দ-উল্লাসের কর্মসূচী থাকলেও তা পরিহার করা, এতটুকু সৌজন্য-সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। কারণ, একজন মানুষ অন্য মানুষের হাতাহতে ঘটনার দিন আর যাই হোক আনন্দ করতে পারে না।
যু্ক্তির খ্যাতিরে মেনে নিলান, আজ বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। কিন্ত জন্মদিন পালনে বিরত থাকলে বেগম খালেদা জিয়ার কি এমন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি হতো। বিএনিপি কি এ কর্মসূচি না পালন করলে ধ্বংস হয়ে যেতো। ববং এ কর্মসূচি না পালন করলে দেশের মানুষ ইতিবাচকভাবেই দেখতো, বিএনপির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতো।
-আমি আওয়ামী লীগের অনেক নীতি সমর্থন করি না তেমনি বিএনপির কেক কাটা কর্মসূচিটা শুধুই সর্মথনই করি না, ঘৃণাও করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩