মুহঃ আল-আমীন চৌধরী
লেখার শুরুতেই ওদের মানে যুবদের কথা নিয়েই শুরু করছি। সাথে উন্নয়নের বা আলোর পথের বিষয়টিও। কবির ভাষায় বলি আর সরকারী সংগাতেই বলি ‘যুব’রা কিন্ত সংগা দিয়ে চিনিয়ে দেয়ার জন্য বসে থাকেনা। তারা এগিয়ে চলে-------স্থীর ও জড় হয়ে এক বিন্দুতে ঘাপটি মেরে বসে থাকার বস্তু তারা নয়। তারা চলমান। কবি নজরুলের ভাষায়-
চল চল চল
উর্ধগগনে বাজে মাদল--------
এই এগিয়ে চলার সময়ে পকেট শূন্য থাকলেও চলা থেমে যায়না। পাহাড়ের উচ্চতা, কন্টকাকীর্ন পথচলা, সাগরের সীমাহীন জলরাশী, পাহাড়সম ঢেউ, কিছুতেই যারা এগিয়ে যেতে বাধা মানেনা-
তারাই যুব-
তারাই তরুন-
তারাই আশরাফুল মাখলুকাতের মধ্যে আশরাফ।
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মাঝে সেরা।
কিন্তু তারা যাচ্ছে কোথায় ?
নতুন পৃথিবীর সন্ধানে ?
নাকি কোন অতল গহ্ববে ?
যেখানে ধ্বংস অনিবার্য্য ?
হ্যাঁ-আমরা যারা তাদের নিয়ে ভাবি, তাদের জন্য কাজ করে বলে দাবী করি- নিজদেরকে তাদের অভিবাবক বলে গর্ব করে বলি- আমাদেরকেই ভাবতে হবে। ভালো আর উন্নয়নের পথে চলে গেলে- এগিয়ে দেবো, উৎসাহ দেব। এদের এগিয়ে চলায় থাকবে আমাদের আর্শিবাদ আর প্রেরনা।
আর যদি অন্ধকার অতলে ধাবিত হয় ? তাদের হাত টেনে ধরবো।
বলবে ‘যেওনা সেথায়,
সেখানে কালো কুৎসিত অন্ধকার।
সেখানে তুমি হারিয়ে যাবে-সুন্দর তুমি,
আশরাফের আশরাফ তুমি। কলংকিত হবে-হারিয়ে যাবে।’’
ওরা কি ফিরে আসবে না ? নিশ্চয়ই আসবে কারন ওরাতো আমাদেরই প্রজন্ম। ওরা কি মায়ার টান ছাড়তে পারবে ?
কিন্তু আমরা কি সেভাবে ডাকতে পারবো ? স্নেহ আর মমতার শক্ত বাধনে কি আমাদের স্পর্ষে থাকবে ? অবশ্যই থাকতে হবে। ওরা তো আমারেদরই সন্তান।
ওরা ফিরে এলো।
ওরাতো বসে থাকার লোক নয়, ওরা আবার রাস্তার ফিরে আসবে ।
নতুনভাবে চলতে শুরু করবে।
ওদের চলার স্পৃহা থামিয়ে রাখা যাবেনা। যা আমরা করতে পারি-
আমরা আলো দিয়ে ওদের পথ দেখাতে পারি।আলোর পথ।
হাতে তুলে দিতে পারি সুন্দরের ঠিকানা।
হৃদয়ে গেঁথে দিতে পারি উন্নয়নের জয়গান।
যে গানে আকাশে বাতাসে রন রন করে বাজবে
‘ we shall over come
‘ we shall over come some day
Oh! deep, in my heart
That we shall over come some day----
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯