এলাকার লাখপতি বড়লোকদের উপর রহিম সাহেব মাঝে মাঝে বেশ মন খারাপ করেন। নিজেরাওতো ষ্টেপ নিতে পারেন।নিজেদের উদ্যোগে অন্তত নিজের আর মানুষের পা গুলিকে নোংরাপানির বিষাক্ত স্পর্ষ থেকে বাচাতে পারেন।নিজেদেরওতো একটা কমিউনিটি ফিলিংস
থাকা দরকার।নাহ কেউ এগিয়ে আসেনা।পলিউশান তাদের কাছে ততটা ইম্পরটেন্ট না যতটা পয়সা কড়ি।
রহিম সাহেব নিজের হাত খরচের জন্য এখনও গিন্নীর কাছে হাত পাতা শুরূ করেননি। বিভিন্ন যায়গায় সেমিনার,ওয়ার্কশপের পাওয়া সন্মানী ভাতা আর এটাসেটার উপার্জন দিয়ে এখনও ভালই চলেন।যতদিন গিন্নীর ঝামটা থেকে দুরে থেকে নিজের ভূবনে আনন্দে থাকা যায়।
রহিম সাহেব একদিন ভাল ভাবে রাস্তাটার সমস্যাটা আইডেন্টিফাই ও এনালাইসিস করতে নিজেই বাহির হলেন। কারন তিনি জানতেন কোন প্রব্লেম সঠিক ভাবে আইডেন্টিফাই ও এনালাইসিস করতে পারলে সমাধানের পথে পন্চাশ ভাগ এগিয়ে থাকা যায়। তিনি দেখলেন রাস্তার তিন যায়গায় মোটামোটি একশ ফিটের মত পলিউটেড ওয়াটার লগড। তিনি নিজেই ইট সূড়কীর দোকান থেকে ষাটটি বালুর বস্তা ঠেলায় করে এনে লেবার দিয়ে পলিউটেড এলাকায় দেয়ালেন।কয়েকবার নিজে হেটে দেখলেন।
শিশুরা পারবেতো?
নারীরা পারবেতো?
বৃদ্ধ বৃদ্ধারা কি পারবেন?
পারবেন নিশ্চিত হয়ে তিনি ঘরে এলেন।
রাস্তার পাশে বারান্দায় বসে তিনি দেখলেন মানুষেরা কি সুন্দর করে হেটে যাচ্ছে বালির বস্তার উপর দিয়ে।কারো মুখে বিরক্তির ছাপ নেই,পড়ে যাওয়ার ভয় নেই,জুতাখোলার বিরক্তি নেই।পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থেকে বাচার এক্রোবট কসরৎ নেই।এভরিথিং স্মুথ।
রহিম সাহেবের ভালো লাগলো। অনেক ভালো লাগলো।ঘন্টা দেড়েক বসে থেকে চার পাচশো মানুষের আসা যাওয়া দেখলেন। রাত হতে হতে প্রায় পাচ ছ হাজার মানুষের দশ বার হাজার পা পলিউশান থেকে বাচবে। প্রতি ষ্টেপের পলিউশান ফ্রী মূল্যমান যদি একটাকাও ধরা হয় রহিম সাহেবের দুই হাজার টাকার রিটার্ন দিনে দশ বার হাজার টাকার মূল্যমান। আরও থাকছে নিষ্পাপশিশু,নারী,মুসুল্লীদের হৃদয় নিসৃত দোয়া।রহিম সাহেব ভাবলেন-রিয়েলী এটা আমার জীবনের বেষ্ট ইনভেষটমেন্ট। হে আল্লাহ আপনি কবুল করুন। উঠেআসতে ভাবলেন-কাজ নেই আমার স্মারট হয়ে,আমি বোকাই থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৩