রহিম সাহেব ল্যাপটপে ব্লগ পড়ছিলেন। স্মার্ট ফোনের ইনকামিং রিংটোন টা বেজে উঠতেই সচকিত হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলেন চন্দনের কল।চন্দন সম্পর্কে রহিম সাহেবের কাজীন হলেও দুজন একটা সময়ে খুব ক্লোজ ছিলেন।বয়সে দুজন খুব কাছাকাছি।ডিফারেন্স হয়তোবা একমাসেরও কম। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দুজনের বাবাই ঢাকায় চাকরী করতেন। একজন একটি ভাল হাইস্কুলের শিক্ষক আরেকজন কোন এক সরকারী অফিসের বড়সড় অফিসার। পাকসেনাদের অত্যাচারের ভয়ে দুটি পরিবারই ঢাকার পাট চুকিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন।আর তখন থেকেই চন্দন আর রহিমের বন্ধু থেকে মানিকজোড় হয়ে উঠা। সেসময় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ অন্যজন ডিগ্রী ১ম বর্ষ। বাড়ির দক্ষীন ঘরটা বাড়ীর এবয়সের ছেলেদের আড্ডা আর সময়কাটানোর জন্য নির্ধারিত হয়ে গেলো।এ ঘরের পারমানেন্ট মেম্বার হয়ে গেলো দুই বন্ধু। আস্তে আস্তে গ্রামের অন্য্যন যুবরাও এ ঘরের অমোঘ আকর্ষনে জড় হতে থাকলো। গ্রামের উঠতি বয়সের মেয়েরা খাল থেকে কলসি ভরার ছলে এ ঘরটির পাশের রাস্তাটি একটু বেশি বেশি ব্যবহার করা শুরু করলো। ঘরটির কাছাকাছি এসেই যেন ওদের হাসি আরো রংগীন হয়ে উঠতো আর বডি মুভমেন্ট ছলকে ছলকে জল পড়ার মত হয়ে উঠত।চন্দন আর রহিমর অনেক কিছু নিদেন পক্ষে একটু কাছে যেয়ে কথা বলা বা হাসি বিনিময়ের ইচ্ছা হলেও কোন উপায় ছিলোনা।কারন বড় বাড়ির ইজ্জত বলে কথা।এ বাড়ির ছেলেদের এসব করতে নেই।যৌবনের স্বাভাবিকতাকে দমিয়ে রাখাই হল আভিজাত্য। চন্দন আর রহিম আভিজাত্যের এ কারাগারে বন্দি।চলবে,,,
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৬