পেনশনের টাকা এখনও রিটায়ার্ড রহিম সাহেবের প্রয়োজন। এ টাকাটা দিয়ে সংসারের সত্তর ভাগ দৈনন্দিন খরচ চলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। তাই পরে একসময় উঠানোর বিলাসিতা করার স্কোপ নেই।তিন মাসের সন্চয় পএের লভ্যাংশ আনতে ঢাকার মতিঝীলে যাওয়া তার জন্য এক্সকারশন নয়-বেয়ার নেসিসিটি।
গুগলে দেখায় জার্নি টাইম এক ঘন্টার প্রায়।নিজের গাড়ীতে রওনা হলেন। কাজ সেরে চলে আসবেন দুপুরের মধ্যেই।রোজার দিন বাসায় এসে জোহর নামাজ পড়বেন।কিন্তু রহিম সাহেব ভূলে গেছেন এ দেশে নিজের প্লান নিজে করা যায়না-করে যানজট আর তার বন্ধু ঢাকার ট্রাফিক পুলিশ।শুধুমাএ ফকিরাপুলে এক ঘন্টা আর বাংলামোটরে একঘ্টা আটকিয়ে রাখলেন মাননীয় ক্ষমতাবান ট্রাফিক পুলিশ। একটি রাস্তা খোলা আর অন্যটি দশ মিনিট পরপর এক মিনিট।রহিম সাহেব ভাবলেন খোলা রাস্তায় বোধহয় ট্রাফিকের কোন গড বা গডেস পাস করবেন। কিন্তু এক ঘন্টার অসহ্য সময়টাতে কোন গড বা গডেসের লক্ষন দেখা গেলোনা। কোন কজ খুজে পেলেন না। ভাবলেন কজ একটাই এবং সেটা হলো পাওয়ার অফ ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ ইজ নট ফর পাব্লিক-পুলিশ ইজ ফর গড অর গডেস এন্ড ফর দেমসেল্ভস।
ঢাকার মানুষজনকে তাদের নির্বিকার টলারেন্সে স্কীলের জন্য সেলুট জানালেন। এ জন্য ঢাকার মানুষকে এবং তাদের নেতা নেএীক অবশ্যই নোবেল দেয়া যায়।
রহিম সাহেব যখন বাসায় ফিরলেন মসজিদে তখন মাগরীবের আজান হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৭