রিটায়ার্ড রহিম সাহেবের ফেসবুক একাউন্ট আছে।অবসরে নিজের ওয়াল পড়েন।ষ্টেটাস পোষ্ট করেন,ভাল লাগলে কপি পেষ্ট,শেয়ার করেন।বিভিন্ন কমেন্টস দেখেন,নিজেও করেন। ফেসবুক,ব্লগ,গুগল প্লাস ও কয়েকটি ওয়েবসাইট তার বেশ ফেভারিট।সময় পেলেই এখানে সময় কাটান।
ফেসবুক ওয়ালে তানিয়ার একটি ষ্টেটাসে তার চোখ আটকে গেলো।তিনি থতমত খেলেন।বিষাদে আক্রান্ত হলেন।কি করবেন ভেবে ন। পেয়ে সিগারেট,লাইটার আর সেলফোনটি নিয়ে ছাদে চলে গেলেন।ততক্ষনেএশার আযানের সময় হয়ে আসছে।সিগারেটটি ঠোটে নিয়ে লাইটারটি অন করলেন।লাইটার যেন কেপে উঠলো একটু।সাথে ফ্লেমটাও।রহিম সাহেব বুঝলেন তানিয়ার ফেসবুক ষ্টেটাসের এফেক্ট টা নার্ভাস সিষ্টেমকে যে নাড়া দিয়েছে এটা তারই এফেক্ট। এখনও তিনি নরমাল হননি।
তানিয়া ছিল সুপার ব্রাইট ইউথ ষ্টার।বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল লেভেলের চ্যাম্পিয়ন বিতার্কিক।আন্রজাতিক পর্যায়ে তার ক্রমপরিচিতি ক্রমপ্রসারমান।
যুব কর্মের ন্যাশনাল ইউথ সামিট অরগানাইজ করার জন্য তানিয়া আর তার কয়েকজন বন্ধুকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন।প্রায় পাচশ যুবদের পাচদিনের আবাসন,খাওয়াদাওয়া,ঘোরাফেরা আর দৈনিক সতেরো আঠারো ঘন্টার প্রোগ্রামগুলি তানিয়ার গ্রুপ যে ভাবে ম্যানেজ করেছে তাতে রহিম সাহেব মুগ্ধ হয়েছিলেন। এ দেশের যুবদের এবিলিটি আর কনফিডেন্সের উপর তার বিশ্বাস আরো দৃড়তর হয়েছিল। মনে হয়েছিল-ওরা যখন ন্যশনাল লীডারশিপে আসবে তখনই হয়তোবা এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রত্যাশা পূর্নতা পাবে।
প্রোগ্রাম শেষে ওদেরকে তার কাছে ডেকে এনে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করে বলেছিলেন-আজ থেকে তোরা আমার সন্তান আর আমি তোদের বাবা। তোরা আর কখনও আমাকে স্যার বলে ডাকবিনা-তোরা আমাকে বাবা বলবি।
তানিয়া ভালবেসে বিয়ে করেছিল তার বন্ধু রেহানকে।মাএ ছয় মাস হয়েছিল ওদের ভালবাসার পথচলা। রেহান চলে গেল-না কোন অভিমানে নয়-কোন ভূল বুঝে নয়- রোড এক্সিডেন্টে না ফেরার দেশে।
ওদের হাতধরে পথচলা শুরুতেই থেমে গেলো। তানিয়ার মত টেলেন্টেড মেয়ের জীবনে কেন এ আঘাত? তানিয়ার ফল্ট কি? মন্এীদের বড় বড় ভাষনে কি রেহান ফিরে আসবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫০