দাঁড়িয়েছিলাম রাস্তার ধারে, রাস্তার ধারের হলুদ বাতি গুলো জ্বলছে। সামনে অগণিতও গাড়ি চলছে, জ্যামে আটকে যাচ্ছে আবার চলছে। আমি দাড়িয়ে আছি।
জীবন কেন এতো কাব্যিক। কবিতার চরনের মতো কখনো বুঝা যায় আবার বুঝা যায় না। আমি সেই হলুদ আলোর নিচে দাড়িয়ে তখন জীবনের সংজ্ঞা খুজি। নিজেকে বড় অসহায় লাগে অথচও জানি অসহায় হওয়ার কিছুই ছিলও না আমার জীবনে।
সবাই বলছে এ বয়সে মজা না করলে কবে করবে।
তখন আমি ভাবি, আমার মনও চায় সবার মতো হতে।
মাঝ রাস্তায় আমার চিন্তা আমাকে আটকে দেয়। শক্ত রশি দ্বারা এমন ভাবে বাঁধে যেন আমি আমার মন মতো কোন দিকেই না যেতে পাড়ি।
সব সময় এক অস্থির চিন্তা আমাকে বস করে, আমি জানি সব ঠিকঠাক চলবে।
মাঝে দুইজন আসলো আমার জীবনে। প্রথম জন ছাড়লও কেন জানি না। হয়তো তাঁর ভালো লাগেনি আমাকে।
আর পরবর্তী জন এসেছিলো আমার মনের কষ্ট দূর করতে। আবার সেও হারিয়ে গেলো। সেও কিছু পেলো না আমার কাছে। সে হয়তো ভালো আছে।
আমিও ভালো আছি। একটার পর একটা সিগারেট দিয়ে। বাস্তবতার কর্ম গুলো থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরিয়ে। বার্থতা আর আমার চিন্তা গুলোকে নিয়ে। তবে আমার চিন্তা গুলো সব সময় ঠিক।
সবার কাছে মিশতে চাই আমি, যেতে চাই সবার অভান্তরে কিন্তু অভান্তরে নিবে কে। এ যুগে কে কাকে সত্যি ভালবাসে। আমার চিন্তার মাঝে যে রাজকুমারীকে আমি তৈরি করেছি ভেবে ছিলাম সে ধরা দিবে। হাতে হাত রেখে উড়িয়ে নিবে সেই মেঘে নতুবা কোন সমুদ্র পাড়ে।
বিশ্বাস আমি কাকে করবো সেই প্রথম জনের মতো। যে ছিলও আমার প্রথম ভালবাসা জগতের শুরু।
অর্থ দিতে দিতে অন্যদিকে বাবা-মা ক্লান্ত। আমি আবার চিন্তায় মাতাল। জানি, তাঁরা এসব মানবে না কোন দিনেও।
আমি সত্যি অনেক সুখী। আজ একজন বলল আমি নাকি সবসময় নিজের বিসন্নতা নিয়ে ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করি। আমি যাব কোথায় তবে। না পাড়ি কারো সাথে মিশতে। না পাড়ি কাউকে গিয়ে বলতে। তবু কাউকে ভালো লাগলে পিছু ছুটে যাই। যদি কাছে টেনে নিয়ে বলে আমি তোমার সব সমস্যার সমাধান করে দিবো।
না আমি বেশি বলছি। আমি তো ভালোই আছি। অন্য সবার চাইতে। আমার চেয়ে তো কতো দুঃখে মানুষ আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৬