somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৫ দিনের নিকাহ করা বউ: কী ভয়ংকর…..

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের দেশে দেশে সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোড়ামির নামে নারীর ওপর নানা সহিংসতা নির্যাতন অপমান চলছে। সম্প্রতি ভারতীয় গনমাধ্যম মিড ডের একটি রিপোর্ট পড়ে চমকে উঠলাম। কাবিন নামা , দেনমোহর , কাজী ডেকে বিয়ের নামে ভারতে ১৫ দিনের সাজানো বিয়ের নামে নারীর উপর চলছে চরম অপমান। কয়েক সপ্তাহের জন্য কেনা বউ

অনলাইন মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানলাম-

প্রতিবছরই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ওমান, কুয়েত ও কাতার থেকে পর্যটকেরা যান ভারতে। ১০ থেকে ১৫ দিন ভারতে থাকেন তাঁরা। আর এ সময়টায় বিনোদনের জন্য খুঁজে নেন অনেক কিছুই।
১০ অথবা ১৫ দিনের মধ্যে ১৫ হাজার থেকে এক লাখ রুপিতে ভারতের নারীদের বউ হিসেবে গ্রহন করেন পর্যটকেরা। শুধু নামেই বউ নন, কাজি ডেকে রীতিমতো বিয়ে পড়ানো হয়। আর নতুন এসব বউকে নিয়ে ধনী পর্যটকেরা বেরিয়ে পড়েন মধুচন্দ্রিমায়। অবশ্য বেড়ানোর সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তালাক দেওয়া হয় তাঁদের। সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় অনলাইন ‘মিড-ডে’-এর সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা গেছে এমন ভয়ংকর ঘটনার কথা।



খবরে বলা হয়, ভারতের একদল কাজি বিবাহ সম্পর্কে ইসলামিক আইনের অপব্যবহার করে এ ধরনের বিয়ে পড়ান। সেই কাজিদের মাধ্যমেই আবার চুক্তি শেষে তালাক হয় বর-কনের। এ জন্য তাঁদের মোট টাকার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেসব দালাল গ্রাম থেকে দরিদ্র মেয়েদের অর্থাত্ বউদের জোগাড় করে আনে, তারা পায় ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া পতিতালয়ের দালাল, গাড়ির চালকেরা প্রত্যেকে পান ৫০০ থেকে এক হাজার রুপি। তবে বিয়ের কনেটি পান সামান্যই। মাত্র দুই হাজার রুপি। আর এ জন্যই অনেক নারীই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। অর্থের বিনিময়ে বউ নিকাহ করে যৌন সেবায় নিয়োজিত করেন আরবের পর্যটকেরা।
এভাবে মুসলিম আইন ভেঙে কাজিরা বিয়ে দেন এবং বিয়ে ভাঙেন একের পর এক। তালাক হওয়ার পরে মেয়েটিকে আবার নতুন কোনো পর্যটকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।



কী ভয়ংকর সব তথ্য। পাকিস্তানেও এমনটা হয় শুনেছি। করাচী লাহোরে হয়-এধরনের পাতানো সাজানো বিয়ে সেখানে কোন কোন এলাকায় ডালভাত। সেখানে আরব শেখদের মনোরন্ঝনে এই বিয়ে বেশ আইনসিদ্ধ। ভারতেও দিল্লিতে রেওয়াজ আছে। এ নিয়ে বিখ্যাত একটা ছবি বাজার। যারা দেখেছেন মনে করতে পারেন। প্রশ্ন হল এই অপমান আর কতদিন! সবচেয়ে আপত্তির ব্যাপার হল এখানে একটি সম্প্রদায়ের বিবাহ রীতিকে ষোলআনা ব্যাবহার করে নারীকে অপমান অসম্মান করা হচ্ছে পাক- ভারতে। ভাবুন একবার! দেন মোহর দেয়া হচ্ছে কাজীর দরবারে। রীতিমত আইনের আওতায় নিকাহ হচ্ছে। এই অনাচার মেনে নেয়া যায় না। এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। পাকিস্তানে হচ্ছে সে অনেককাল ধরে। ওখানে এটা মুতা বিবাহ জাতীয় ধর্মীয় রীতি নীতির মোড়কে সোৎসাহে করা হচ্ছে। ইরানেও এমনটা হয়। ইনটারনেটে খববরটা পড়ে আমি আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানালাম। আমি জানি নারীর ইস্যুতে নারীদের প্রতিবাদ জানানো উচিৎ্ । নারীর প্রতিবাদ অন্য কেউ করে দেবে না। এই বিয়ে নয়। অথচ এমন সিস্টেমকে দরিদ্রকিশোরী কন্যাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের জীবন যেমন ধংস করা হচ্ছে। তেমনি মানসিক ভাবে এরা সুস্থতা হারাচ্ছে। এরা সমাজ দেশ রাষ্ট্র সমাজ ধর্মীয় মূল্যবোধ সব কিছুর ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছে।
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×