somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের প্রতি আরতির ঘৃণা ও বন্ধু-স্বজনদের করনীয়

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি আমার জীবনকে ঘৃণা করি’--কানাডার একটি বাংলা কাগজে এমন শিরোনাম পড়ে চমকে উঠেছিলাম। বিস্তারিত পড়ে দেখলাম আরতি নামের এক নারীর গল্প।
পত্রিকাটির রিপোর্টার জানাচ্ছেন--
মাসখানেক আগে চাকরি হারিয়েছিলেন আরতি। সেই থেকেই হতাশার উৎস সম্ভবত। কিন্তু কোনো সুইসাইড নোট না লিখে যাওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি


তবে তদন্ত চলছে। আর সেই তদন্তে আরতির ফেসবুক পেজটির ভূমিকা এখন অনেকখানি। চাকরি হারানোর কয়েক দিনের মধ্যেই আরতি তাঁর ফেসবুকের ‘কভার' ছবিটিও বদলে দিয়েছিলেন। সেই ছবিতে তিনি নিজেই ‘কমেণ্ট' করেছিলেন, আমার ব্যক্তিত্ব এমনই, যা সামলানো কঠিন। যে প্রোফাইল ছবিটিতে আরতি তাঁর হতাশার কথা জানিয়েছিলেন, সেই ছবিটি ‘লাইক' করেছেন তাঁর মা-ও। কিন্তু মেয়ের বিষাদের গভীরতার কোনো খোঁজ নেননি তিনি। আরতির দুঃখ-হতাশার কারণ জানতে এগিয়ে আসেননি তাঁর ফেসবুকের বন্ধুদের একজনও। এ সবেরই ফলশ্রুতি, চূড়ান্ত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এ সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখছেন এমনকি মনোরোগ বিশেষজ্ঞদেরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
আরতির ঘটনার প্রেক্ষিতে ইন্দোরের এক মনোবিদ মন্তব্য করেছেন, আরতির মা যথাসময়ে যদি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতেন, ফেসবুকে লেখা ‘মন্তব্য' নিয়ে মেয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন, তবে হয়তো বিপদ এড়ানো যেত।


নিজের প্রোফাইল ছবিতে তরুণী তাঁর জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণার কথাই জানিয়েছিলেন ফেসবুকের বন্ধুদের। লিখেছিলেন, আমি আমার জীবনকে ঘৃণা করি। কিন্তু ১০ দিন পর সেই হতাশাই যে তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেবে সে কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। গত শনিবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের আরতি শ্রীবাস।


আমার আরও দুটি কথা---

এধরনের সমস্যা এখন বাড়ছেই। সব সময় এই ধরনের রোগীদের মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আনা সম্ভব হয় না। নানা কারন থাকে। অর্থনৈতিক কারণ থাকে। এধরনের রোগীরা ডাক্তার দেখাতে চান না। আত্মীয় স্বজনরা আনতে অনীহ হন।
তাই বলে এরা কি চিকিৎসা পাবে না। আমরা কি এদের সুইসাইড সহজভাবে দেখব। না, তা দেখব না। অবশ্যই না। এদেরকে মানসিক রোগ নিরাময় হাসপাতাল বা মনোরোগ চিকিৎসকদের কাছে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। কারন এই রোগের চিকিৎসা আছে। তাকে নিয়মিত চিকিৎসা ও মনিটরিং করতে পারলে সুস্থ-দীর্ঘায়ু সম্ভব। এটা তার অধিকার। জীবনের অধিকার। দায়িত্ব কেবল আত্মীয় স্বজনের নয়। দায়িত্ব বন্ধুদের। দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্রের। সমাজের সেটা ভুলে গেলে চলবে না। দায়িত্ব আধুনিক কালৈ ফেসবুক বন্ধুদেরও রয়েছে। ফেসবুক বন্ধুতা দায়হীন কিন্তু নয়।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×