মহান আল্লাহপাকের দেয়া ক্ষমতা দিয়ে আমরা কখনো কখনো না বুঝে তার বিরোধিতা করে ফেলি।নাউজুবিল্লাহ। আমরা যখন সুস্থ থাকি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কথা ভুলে যাই। আবার যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি অথবা বড় ধরণের কোন বিপদে পড়ি তখন অর্থাৎ আমাদের অসহায় অবস্থায় আবার তার কাছে ঠিকই সাহায্য চাই । যারা বুঝি তারা নিজের কৃত ভুলের জন্য লজ্জিত হই এবং তওবা করে আবার সোজাপথে চলার চেষ্টা করি।
আর যারা না বুঝি তারা ভুল করে উল্টো বলে ফেলি ; কৈ? আল্লাহকে এতো ডাকছি তিনি তো আমাকে-এই বিপদ থেকে উদ্ধার করছেন না বা আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। নাউজুবিল্লাহ।। এমতাবস্থায় বুঝতে হবে ; আমাদের ঈমানে মারাত্বক দুর্বলতা এসেছে। ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে - তওবা পড়ে, পূণরায় কালেমা ত্বায়্যিবা পাঠ করে, আল্লাহর জিকির, নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাড়া পাওয়া অবশ্যই সম্ভব। সাথে ব্যক্তি জীবনে সুন্নতের অণুসরণ সোনায় সোহাগা।
মহান আল্লাহপাক তার প্রকৃত অনুসারীদের অবশ্যই সাহায্য করেন এবং বিপদ- আপদে সাড়া দিয়ে থাকেন।-এ বিশ্বাস আমাদের ইহ ও পরকালে কামিয়াবীর এক বিরাট সোপান। বিপদ-আপদ, রোগ-শোক ইত্যাদি হলো ; মানব জীবনে সময়ের একটা পরিস্থিতি ; যা মহান আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে বান্দা-বান্দীর জন্য এক বিশেষ পরীক্ষা স্বরুপ।
একটু ধৈর্য ধরে সুন্নত হিসাবে আমরা যদি বিপদ-আপদ ও রোগ-শোক মুক্তির জন্য হালাল পথে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাই এবং আল্লাহপাকের সাহায্য চাইতে থাকি তবে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন ; আমরা দুনিয়াতেই আল্লাহপাকের কুদরতী সাহায্য পেয়ে মুক্তি পেয়ে গেছি অথবা আমাদের জন্য যা ভালো সে সমাধান তিনি নিজ হতে করে দিয়েছেন।-আলহামদুলিল্লাহ।। তখন দেখবেন ; আমাদের কাছে কত আনন্দ লাগছে। ঈমানে সবলতা আসছে। আমরা নিজেরাও তখন বুঝতে পারি আসলে ধৈর্য়ের সুফল পেয়েছি। আল্লাহপাক আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।-আলহামদুলিল্লাহ। এতে করে আমাদের আখিরাতে সাফল্যের দ্বারও উন্মুক্ত হবে। -ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪৫