কুরআন-হাদীস এর প্রয়োজনীয়তা:- আমরা যারা কুরআন-হাদীস এর অনুসারী অর্থাৎ মুসলমান তাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র তথা জন্ম থেকে মুত্যু পর্যন্ত কুরআন-হাদীস অংগাঅংগি ভাবে জড়িত।
উদাহরণ স্বরূপ:-
1. জন্মের সময় আযান।
2. আল্লাহর ইবাদতে।
3. হালাল-হারাম সম্পর্কে জানতে।
4. বিয়ের সময় কালেমা পাঠের ক্ষেত্রে ।
5. যাবতীয় রোগ-শোক, বিপদ-আপদে দোয়ার ক্ষেত্রে।
6. মৃত্যুর সময় কালিমা পাঠের ক্ষেত্রে ।
আফসোসের বিষয়! আমাদের সমাজে অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষিত মানুষ জীবনে- লা ইলাহা ইল্লাললহু মুহাম্মাঁদুর রছুলুল্লহ-এই কালিমাটাই ছহিহ করে শিখা হয় না। এর অন্যতম কারণ হলো; আমরা এ বিষয়ে খুব একটা চেষ্টা করিনা। কুরআন–হাদীস তো অনেক ব্যাপক বিষয়। এসম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হলে আলেম হওয়া ছাড়া আর কোন গতি নাই। তা একাডেমীক পড়া-লেখা করেই হোক আর অন্য কোন ভাবে ওস্তাদের কাছে থেকে ব্যক্তিগত ভাবে শিখেই হোক। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ তাদের উচিত; আশে-পাশে কুরআন পড়তে/পড়াতে পারা কারো কাছ থেকে প্রথমে কালিমা তাইয়্যেবা, এরপর নামাজের জন্য কয়েকটি ছোট সূরাহ, দোয়া-কালাম এবং আস্তে আস্তে পবিত্র কুরআনপাক তিলাওয়াত করার যোগ্যতা হাসিলের চেষ্টায় নেমে যাওয়া। আমাদের 60-70 বছরের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে কত কিছু করে গেলাম অথচ কালিমাটাকে ছহিহ করতে পারলাম না। এটা কি প্রকৃত পক্ষেই আমাদের আফসোসের বিষয় নয়? পাশাপাশি কুরআনের বাংলা অনুবাদ মাঝে মধ্যে পড়ে আল্লাহর কথা জানার চেষ্টা করা উচিত। আর হাদীস জানার জন্য বর্তমানে বাংলায় অনুদিত এবং প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনী; বিশেষ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর বই-পুস্তকগুলি পড়া যায়। এই একটাই মাত্র জীবনে সত্যকে জানা এবং মানা যে কত জরুরী; তা আমরা তখনই একটু হলেও উপলব্ধি করতে সক্ষম হই যখন আমাদের মাঝ থেকে আপন/পরিচিত কেউ দুনিয়া ছেড়ে একেবারে চলে যায় অর্থাৎ মৃত্যু বরণ করে।
মহান আল্লাহপাক আমাদের তৈফিক দান করার একমাত্র মালিক।
* সামুর ভাই-বোনদের প্রতি: দয়া করে কেউ আজে–বাজে মন্তব্য করবেন না। উপরোক্ত বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু শেয়ার করার থাকলে তা করতে পারেন। সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত। আচ্ছালামুআলাইকুম।
শুভেচ্ছান্তে-
হাকীম–আল মীযান। 15-9-2010