হে! বাংলা ব্লগ তোমাদের ধন্যবাদ।
ছোটবেলা থেকে লেখালেখিতে কিছুটা হাত থাকলেও মূলত: আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে আমারই সম্পাদিত একটি সংকলনে। এরপর আমাদের জেলা শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাহিত্য সংকলনে এবং জাতীয় পত্রিকায় টুকিটাকি লিখেছি প্রায় ১৯৯৫ সাল পযর্ন্ত। ইদানিং একটি মেডিটেশন মেথড নিয়ে গবেষণার ব্যস্ততায় প্রকাশনার দিকে খুব একটা ঝোক নেই।
কিন্তু এই পোষ্টে আমার আলোচ্য বিষয়, নিজের সাফাই গাওয়া নয় বরং বাংলা ব্লগের সাফাই গাওয়াই আমার মূল উদ্দেশ্য । আমরা যখন কবিতা লেখতাম, তা প্রকাশ করার জন্য আমাদের ভেতরে একটা উৎসাহ ও আবেদন দুটোই কাজ করতো। আমার মতে, একজন লেখকের তার ছোট্ট একটি কবিতাও ঔরস জাত সন্তানের মতোই প্রিয়। একজন কবি তার কবিতা প্রকাশ করার বিষয়টিতে প্রসব ব্যদনাতুল্য কষ্টের মাঝেও যখন তার কবিতাটি প্রকাশিত অবস্থায় হাতে পায় তখন তা যেন, সদ্য ভূমিষ্ট মানব শিশুর মতো মায়ের কোলে স্নেহরত অকৃত্রিম ভালোবাসায় জড়ানো প্রস্ফুটিত গোলাপ।
এখন আমার কথা হলো; আমরা লেখি-লেখির প্রাথমিক স্তরে আমাদের লেখা প্রকাশে যে সীমিত মাধ্যম পেয়েছি আজ কিন্তু সে পথ অনেক প্রশস্ত। যেমন ধরুন- সামহোয়্যার ইন ব্লগের কথাই ধরা যাক। এখানে কত মানুষ! প্রাথমিক স্তরে কিছু লেখতে না জানলেও বা লেখালেখিতে কোন হাত না থাকলেও নিজের সত্য ভাষণ উপস্থাপন করার জন্য হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগুতে দেখা যায়। অতপর: একদিন যে ব্যক্তি দু-চার লাইন লিখতেই পেরেশান হয়ে যেত। সময়ের ব্যবধানে আজ সেই ব্যক্তি দেদারছে লিখছে। ইন্টারনেটের বদৌলতে প্রয়োজনীয় প্রমানাদিও জুড়ে দিচ্ছে তার সাথে। লেখালেখির ক্ষেত্রে এটাও মুক্ত চিন্তা প্রকাশ ও বিকাশের একটি অনন্য মাধ্যম; সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আরেকটি নতুন ধাপ। আর তাই বলতে হয়; হে! বাংলা ব্লগ তোমাদের ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ! তাদেরকে যারা বাংলা ব্লগের কর্তৃপক্ষ।
ধন্যবাদ! তাদেরকে যারা ইউনিকোড মাধ্যমে বাংলা লিখার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ! তাদেরকে যারা ব্লগে লিখে মুক্ত চিন্তার বিকাশে সম্পৃক্ত।
ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ।।।