বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আমার প্রিয় নাতী ভাই আল-মীযান, তোমার বহুবিধ কবিতা পাঠ করিয়া আমি যেমন মুগ্ধ তেমন গৌরবান্বিত। আমার পিতা টাংগাইল জেলার কালিহাতী থানাধীন গান্ধিনার মোসলেমউদ্দিন খান একজন কবি ছিলেন। আমার অগ্রজ আব্দুল লতিফ খানও একজন কবি ছিলেন। আমি নিজেও কয়েকখানা কাব্যগ্রন্থ ও সাগর-দিঘী নামে একখানা গদ্যগ্রন্থ প্রণয়ন করেছি। বইটি এখনো মুদ্রিত হয় নাই, আশা আছে সুযোগমত মুদ্রিত করে নিব। তুমিও আমাদের পথ ধরে একজন কবি হিসাবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করে কাব্যক্ষেত্রে জয়যুক্ত হবে- এই আশীর্বাদ করছি।
ইতি
তোমার নানা ভাই-
আবদুস সামাদ খান।
টাংগাইল।
৬/৪/১৯৯৬ইং।
* আমার জানামতে; পন্ডিত মোসলেমউদ্দিন খান ’বিষাদ সিন্ধু’ খ্যাত মীর মোশাররফ হোসেনের একান্ত ঘনিষ্ট ছিলেন। এছাড়াও দেখুন:
http://www.tangail.gov.bd/node/316720-প্রখ্যাত-ব্যক্তিত্ব
* মোসলেমউদ্দিন খানঃ কবি মোসলেমউদ্দিন খান ১৮৬২ সালে গান্দিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘হিতকরী’পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘বুলবুলিস্তান’ও ‘হিতকাব্য’ তাঁর রচনা। ১৯৩৪ সালের ২ অক্টোবর টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়ার বাসগৃহে ৭২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
* বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘কবি আব্দুল লতিফ খান’ এর কিছু কবিতা পড়ে মুগ্ধ হন। পরবর্তীতে বিশ্বকবি একটি চিঠি পাঠিয়ে কবি আব্দুল লতিফ খানকে যে অভিনন্দনপত্রটি পাঠিয়েছিলেন; তা হাতে পেলে স্ক্যান কপি পরবর্তী কোন লেখায় পাঠকদের জন্য পোষ্ট করার আশা রাখি। ইনশা-আল্লাহ।
* আমার নানা, নানার বড় ভাই, উভয়ের পিতা এবং আমার পিতার কবিতার ক্ষেত্রে সামান্য হলেও যে বিচরণ ছিলো তা আমাকেও মুগ্ধ করেছে এবং কবিতা লিখতে উদ্ভুদ্ধ করেছে। এ জন্য আমি গর্বিত না হলেও মহান আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ। যেহেতু, আমার (পূর্ব প্রজন্মের তথা) ডানে-বামে রয়েছে- কবিতার চর্চা। আমিও নিজেও একটি কবিতা, বাস করি কবিতারই ভুবনে। কবিতা যেমন আমার, আমিও তেমন কবিতার। কবিতার জন্যেই আমি আজ- হাকীম আল-মীযান।
* লেখাটায় নিজের কিছু আমিত্ব প্রকাশ পেয়েছে বলে আন্তরিক ভাবে দু:খিত। বিপরীতে কবি ও কবিতার সাথে জড়িত বিষয় বলে পাঠকদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াশ পেলাম। ধন্যবাদান্তে- হাকীম আল-মীযান। ০৩/০২/২০১৬ইং।
*আজকের পোষ্টটি লিখেছি: ভোর ৬টা ৩০ থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৬