হাকীম আল-মীযান।
টাংগাইল শহর, আমার প্রাণের
টাংগাইল শহর রে !
তোমার বুকে অনেক স্মৃতি
পড়ে আছে রে !
তাইতো তোমায় বারে বারে
মনে পড়ে রে !
শৈশব গেছে, কৌশোর গেছে
যৌবন গেছে রে !
কতো জাগায় কতো সময়
চলে গেছে রে !
স্মৃতির পটে ছবি হয়ে
ভেসে উঠে রে !
দাদার বাড়ি, নানার বাড়ি
চাচার বাড়ি, মামার বাড়ি
আরো কতো আত্মীয় বাড়ি
আশে-পাশে রে !
ঘুরছি কতো সকাল-বিকাল
এদিক-ওদিক রে !
কবি আছে, ছবি আঁকে
শব্দ গেঁথে রে !
জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবি
কতো মানুষ রে !
রাজনৈতিক কর্মী আছে
দেশের সেবায় রে !
মসজিদ আছে, মন্দির আছে
হাট-বাজার সবি আছে রে !
বাজিতপুরের তাঁতের শাড়ী
নামী-দামী রে !
মাটি অনেক উর্বর আছে
ফসল ফলে রে !
ঢাকা থেকে খুবই কাছে
চলো একদিন উঠে বাসে!
সবাই মিলে- শহরটাতে
ঘুরে আসি রে !
পোড়াবাড়ীর চমচম আর
রসমালাই খেয়ে আসি রে !
আমার শহর, তোমার শহর
সবার শহর রে !
যে শহরের মাটির ঘ্রাণে
পাগল আমি রে !
সে শহরটা ছেড়ে আমি
কেমনে বাঁচি রে !
প্রাসঙ্গিক কিছু কথা:
১। সাবেক বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্ভুক্ত টাংগাইল শহর এখন- জেলা শহর। এ শহরের সদর থানায় আমার জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িত। নিজের শহরকে নিয়ে উক্ত গানটি; যা লোকগীতি স্টাইলে সুরসহ লিখতে পেরে আমার নিজের কাছে খুব ভালো লেগেছে। জানিনা, আসলে কেমন হয়েছে? বিচারের ভার পাঠ- শ্রোতার।
২। আমার নানাজানের বড় ভাই কবি মৌলভী মো: আব্দুল লতিফ খান টাংগাইল জেলা নিয়ে লিখেছিলেন- ' ধান-নদী, খাল-বিল, গজারীর বন, / টাংগাইলের শাড়ী তার গরবের ধন। প্রমান স্বরূপ; আমার কাছে টাংগাইল জেলা নিয়ে জনৈক ব্যক্তি সম্পাদিত- একটি বই এ উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বক্তব্য সম্বলিত একটি পাতার ফটোকপি সংরক্ষিত আছে। সময় সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো। ইনশা-আল্লাহ।
৩। লেখাটি লিখেছি: ২৫-০৬-২০০৬ইং। পুনরায় সম্পাদনা করেছি: আজ ০৮-০২-২০১৬ ইং, রাত ৯টা থেকে ১০টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। ধন্যবাদান্তে- হাকীম আল-মীযান।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪১