মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আমি কৌতুহল বশত জানার তাগিদে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে গবেষণা করার প্রয়াশ পেয়েছি। উদ্দেশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ###প্রফেশনালি ছিলো না। তন্মধ্যে হোমিওপ্যাথিক একটা বিষয়। আমরা অনেকেই জানি, হোমিওপ্যাথিক একটা চিকিৎসা শাস্ত্র। বাংলাদেশ সরকার এ পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ফলে সরকারী উদ্যোগে ডিগ্রী ও ডিপ্লোমা। প্রাইভেট ভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান সমাজকল্যাণ এবং যুবউন্নয়নের প্রশিক্ষন দানের অনুমতি নিয়ে হোমিও প্যারামেডিক্যাল এবং বিভিন্ন সর্ট কোর্স পরিচালনা করেন। যদিও তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে নয়। ভবিষ্যতে হয়তো এ দ্বারও উন্মুক্ত হতে পারে। যেমনটি হয়েছে এলোপ্যাথিক এর ক্ষেত্রে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ম্যাটস এর অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে প্রশিক্ষন দিচ্ছেন এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় দক্ষ জনবল তৈরি করতে ভূমিকা রাখছেন। সে কথা রেখে হোমিওর কথায় ফিরে আসি। স্বাধীনতার পূর্বে, পরে তথা বর্তমানে এদেশে অনেকে পারিবারিক এবং ব্যক্তি উদ্যোগে হোমিওশাস্ত্র চর্চা করে আসছেন। নি:সন্দেহে এসব দিকগুলো যদি মানব সেবার উদ্দেশ্যে গঠন মূলক ভাবে হয় তবে তা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম। আর যদি লোক ঠকানোর উদ্দেশ্যে তবে তা নিতান্তই ক্ষতিকর। ######এখন আমরা হোমিওপ্যাথিক কী এবং কেন? তা সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করবো। এজন্য অবশ্যই প্রচুর লেখাপড়া করে তারপর লেখা দরকার। কিন্তু আজকের লেখায় আমি তা করছি না। আজকের লেখায় আমি চেস্টা করবো, আমার জানামতে বিষয়টা কী এবং কীভাবে নিরাময় দান করে সে সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক কথা। প্রাথমিক কথা বলার আগে যা বলতে চাই তা হলো, কীভাবে আমার সাথে হোমিওর সম্পর্ক? আমি ছোটবেলায় যখন নানার বাড়িতে থাকতাম তখন দেখতাম, আমার নানার বিছানার সামনের টেবিলে একটা বড় হোমিও বাক্স আছে। বাক্সের ভেতরে তরল ও বড়ি দু'ধরণের ঔষধই থাকতো। পাশে থাকতো কিছু ভারতীয় বাংলা হোমিও বই। নানার বাড়ির পাশেই ছিলো খালার বাড়ি। আমার মেজো খালা নিজেও একজন পাশ করা হোমিও ডাক্তার। তার ছিলো আলাদা রুম। যে রুমে তিনি হোমিও বই-পুস্তক এবং ঔষধপত্র রাখতেন। সেখানে তিনি প্রফেশনালি চিকিৎসা সেবা করতেন। আমি অবশ্য তাদের কারো কাছ থেকে হোমিওর কিছুই জানতে পারিনি। কারণ ঐ সময়ে আমি স্কুল এবং পরে কলেজে লেখা-পড়া করেছি। কিন্তু যখন শিক্ষকতা পেশায় এলাম তখন আমার স্ত্রীর একটা অসুখে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ অপরেশন করতে বললে আমরা একজন হোমিওপ্যথিক ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হলাম। স্ত্রী সুস্থ হলো। ######এরপর থেকে আমার হোমিও প্রীতি বেড়ে গেলো । জানতে চেস্টা করলাম। তিনি আমাকে অনেক কিছু জানালেন। কোন রোগে কোন ওষধ বেশি কাজ করে। হোমিও চিকিৎসা আসলে কী? অনেকে আবার হোমিও জানলেও তা আবার অন্যকে শেখাতে চান না। এমন ডাক্তারও দেখেছি। কিন্তু তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত। আজ তিনি বেঁচে নেই। মাহান আল্লাহ তাকে উত্তম যাযা দান করুন। তার উৎসাহে আমি দু'বার হোমিও কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ধারা অব্যাহত রাখতে পারিনি। প্রথমত: পেশাগত চাপ, লেখা-লেখি ও নানাবিধ গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত থাকা। এমতাবস্থায়; আজ আমি স্মরণ করছি তাদের যারা এ বিশ্বে জাতি-ধর্ম-মত নির্বিশেষে সে সব বরেণ্য ব্যক্তিদের যারা অনেক কষ্ট করে আমাদের জন্য তাদের মূল্যবান চিন্তা চেতনা ও গবেষণার ফলাফল আমাদের হাতের মুঠোয় তুলে দিয়ে গেছেন। শ্রদ্ধেয় স্যার হ্যানিম্যান যখন হোমিও আবিস্কার করেছেন। তখন থেকে সারাটা জীবন তাকে কতনা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু আমরা তা অতি সহজে পেয়ে কতই না উপকৃত হয়েছি। দেখা যায় অনেক বিষয়ই প্রথমে ব্যক্তি এরপর সমাজ এরপর সরকারী ভাবে স্বীকৃতি পায়। এটাই রূঢ় বাস্তবতা।######এই স্যার হ্যানিম্যান যিনি একজন এলোপ্যাথ ডাক্তার ছিলেন তিনি দেখলেন এলোপ্যাথ অসুধের অনেক পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এবং রোগকে সমুলে বিনাশ করা সম্ভব হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫