শালিকা ও বউ সমাচার
শ্বশুরবাড়ীর কোন আত্মীয়, বিশেষ করে শালা-শালীদেরকে বাসায় রাখার উপকারিতা কি?
১। আপনি রোজ ভাল ভাল খাবার পাবেন। গিন্নী খুব যত্ন করে এটা সেটা রান্না করবে।
২। গিন্নীর মন থাকবে প্রফুল্ল। আপনার সাথে কোনরকম বাহাস করবে না। সদা হাসিমুখে কথা বলবে। সাজুগুজু করে এখানে সেখানে বেড়াতে যাবে।
৩।নিজের কাজে ও গল্পগুজবে ব্যস্ত থাকবে। আপনাকে বিরক্ত করবেনা।
৪। বাচ্চারাও খুশী। বাড়ীতে একটা "উৎসব উৎসব" ভাব বিরাজ করবে যা সবার জন্যই ভালো।
৫। শালিকা সুন্দরী হলে আপনারও মন ভাল থাকবে। অফিস থেকে সকাল সকাল বাড়ি ফিরতে ইচ্ছা করবে। বাড়ীর একঘেঁয়ে, গুমোট পরিবেশে বৈচিত্র্য আসবে।ইত্যাদি।
সুতরাং যাদের শালা-শালী আছে, তারা তাদেরকে অতিসত্বর দাওয়াত করে বাসায় নিয়ে আসুন।
এক লোক রাতে দেরী করে বাসায় ফিরলে বৌ দরজা খোলে দেরীতে, রাগারাগি, ঝগড়া করে, খাবার দিতে দেরী করে, মাঝে মাঝে রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ইত্যাদি। এতে লোকটি বিরক্ত হয়ে আরেকটি বিয়ে করল। তারপর দেখা গেল, কলিংবেল বাজার আগেই কে আগে দরজা খুলবে, খাবার দেবে,... এই নিয়ে দুই বৌয়ের মধ্যে টানাহ্যাঁচড়া শুরু হয়। বড় বৌয়ের দশা দেখে লোকটি মনে মনে হাসে।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : এই গল্পে আহলাদিত হয়ে দিতীয় বিয়ে করার কথা ভুলেও ভাববেন না। কারণ গল্প আর বাস্তব এক নয়।
এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলল, "দোস্ত শোন। তোকে একটা গল্প বলি। এক ভদ্রলোকের দুই বৌ ছিল..."। বন্ধুকে থামিয়ে দিয়ে অপর বন্ধু বলল, "দূর! ভদ্রলোকের আবার দুই বৌ হয় নাকি?"
বন্ধুরা, একটু হাসুন এবং খুব খুব ভাল থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০