পাক কুরআনে সূরা আল-বাক্বারাহ
৩৪ নং আয়াতে বলা আছে ‘’এবং যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, "তোমরা আদমকে সিজদা কর"। তখন ইবলিস ব্যতীত সকলে সিজদা করেছিল,সে অমান্য করলো ও অহংকার করলো এবং কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
সর্ব প্রথম আদম (আঃ) কে সিজদা করতে বলা হলে ইবলিস বলেন বা যুক্তি পেশ করেন আল্লাহুর সামনে (আমি বা আমায় ধোঁয়াহীন আগুন থেকে বা আগুনের বিশুদ্ধ শিখা থেকে তৈরি করেছে,আর আদম (আঃ) বা (মানুষ) মৃত্তিকা বা কাদা মাটি দ্বারা তৈরি,করেছেন আমি তার
থেকে অনেক বেশি গুনেরও অধিকারী তাহলে আমি আদমকে কেন সিজদা করবো ? এক কথায় এটা ছিল মানুষ সৃষ্টি করার পর আল্লাহুর সামনে ইবলিসের প্রথম যুক্তি তর্ক শুরু ।
এখনো ঠিক একই রকম চলছে,কোন স্থানে আল্লাহুর পাক পবিত্র কোরআন নিয়ে বললে একজন অপরজনকে বিজ্ঞান এই সেই আবুল তাবুল
কত ধরনের যুক্তি তর্ক পেশ করেন,যা প্রায় হুবহু ইবলিস শয়তানের আওতা ভুক্ত বলা যায় বা তাদের কার্জলাপে স্পষ্ট ফুঁটে ওঠে তারা যে
শয়তানের পুজারী ।
পবিত্র কুরআনে সূরা আল-বাক্বারাহ এর কয়েকটি আয়াতে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাস মানুষের উদ্ধেশ্যে আল্লাহু কি বলেছেনঃ
কোরআন এর ওপর বিশ্বাস আনায়নদের উদ্ধেশ্য করে যা বলা হয়েছেঃ
আয়াতঃ১ আলিফ-লাম-মীম।
আয়াতঃ২ এটা ঐ গ্রন্থ যার মধ্যে কোনরূপ সন্দেহ নেই,আল্লাহ্ ভীরুদের (পরহেজগারদের) জন্যে এ গ্রন্থ হিদায়াত বা মুক্তিপথের দিশারী।
আয়াতঃ৩ যারা অ-দৃষ্ট বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং সালাত প্রতিষ্ঠিত করে ও আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে ব্যয় করে থাকে।
আয়াতঃ ৪ এবং যারা তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছিল, তদ্বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরকালের প্রতি যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।
আয়াতঃ ৫ এরাই তাদের প্রভুর পক্ষ হতে প্রাপ্ত হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এবং এরাই সফলকাম।
অবিশ্বাসীদের বিষয় যা বলা হয়েছেঃ
আয়াতঃ ৬ নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তাদের তুমি সতর্ক কর বা না কর, উভয়টা তাদের জন্য সমান, তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
আয়াতঃ ৭ আল্লাহ্ তাদের অন্তরসমূহের উপর ও তাদের কর্ণসমূহের উপর মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন এবং তাদের চক্ষুসমূহের উপর আবরণ পড়ে আছে এবং তাদের জন্য রয়েছে গুরুতর শাস্তি।
সূত্র: সূরা আল-বাক্বারাহ এর কয়েকটি আয়াত থেকে নেয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭