যে ভাবে ২০১৮ সালে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগ একাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন করতে পারেন,এতে অন্তত সাপও মরবে লাঠিও ভাংবে
না,এক কথায় দুধও বিক্রি হল সাথে কলাও ফ্রি।
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চায় সেনাবাহিনী মাঠে
রেখে নির্বাচ করতে,কিন্ত সরকার সেনাবাহিনী দিতে চান না।আমার
মতে সেনাবাহিনী মাঠে রেখে নির্বাচন করলে সরকারের কোনও ক্ষতি
নাই,শুধু দরকার কিছু কৌশল অবলম্বন।
যেহেটু মাঠে সেনাবাহিনী থাকলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন,
আওয়ামীলীগকেও প্রয়োজন বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সুযোগ
দেয়ার।
বিএনপি যখন বলছে সেনাবাহিনী মাঠে রাখতে তখন আওয়ামীলীগ চাইলে
সেনাবাহীনী মাঠে রাখতে পারেন । তবে সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর আগে
তাদের কিছু কৌশল শিখিয়ে দিতে হবে,এক কথায় সেনাবাহিনীকে আওয়ামীলীগ সরকার আগে থেকে বুঝিয়ে দিবেন যত হোক যাই,ক্ষমতা কিন্ত আমার চাই।
আমি এখানে এটাই বুঝাতে চেয়েছি দলের জনপ্রিয়তা না থাকলে সেনাবাহিনী
কি আর বিডিয়ার বাহিনী কি পুলিশই বা কি,কোন কিছু দিয়েই ক্ষমতায় যাওয়া যাবেনা। আর সেই জনপ্রিয়তা এবং দলের জন্য জীবন দিতে পারে এমন নেতা কর্মী কোনটাই মনে হয়না এখন আর বিএনপি’র আছে ।যদি তেমন জনপ্রিয়তা বা দলের জন্য এবং খালেদা আর
তারেক জিয়াকে ভালোবাসতো তাহলে অবশ্যই বিএনপি'র সেই সকল নেতাদের রাজপথে দেখা যেত।
এখন বিএনপি যেমন চাইছে আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে রেখে নির্বাচনে অংশ নিতে,এখন কথা হল আওয়ামীলীগ সরকার
প্রথম প্রথম না করলেও পরে দেখা গেল সেনাবাহিনীদের সাথে একটা গোল মিটিং করে বা বৈঠকবাজী করে,সব সিস্টেমে এনে
ব্যাস সেনাবাহিনী মাঠে রেখে নির্বাচন দিলেন তাতে কি আওয়ামীলীগের বিন্দু পরিমান ক্ষতি হবে লাভ ছাড়া,যদি আগে থেকে
সিস্টেম করে নেয় সেনাবাহিনীর সাথে।
তাই বিএনপি'র উচিত আগে সেনাবাহিনী সেনাবাহিনী করে না নেঁচে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা।
তারপর আস্তে ধীরে সুস্থে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০