কালকে বিকেলে ঘর থেকে বাহিরে বের হতেই দেখি আমার পাশের বাসার ১১ বছর বয়স সেম আমার মেয়ের বয়সী
মেয়েটা মন মরা চোখ বেয়ে পানি পড়বে পড়বে অবস্থা,এ অবস্থা দেখে ওর নাম ধরে ডাক দিলাম,কাছে আসলো জিজ্ঞাসা
করলাম কি হয়েছে আম্মু মন খারাপ কেন ? এক পর্যায় মেয়ে আমার কথার উত্তর দেয়ার আগেই কেঁদে দিল।পরে ওই
মেয়েটির বাবা বললো আজ কদিন ধরেই মেয়ের স্কুলে মেয়ের কাছে তার বাবার ছবি চেয়ে আসছে,কিন্ত সময়ের অভাবে
কাজের চাপে ছবি ওঠানো হয়ে উঠছে না, তাই ছবি না দেয়াতে মেয়ের স্কুল টিচার মেয়েকে চারটি ষ্টিলে স্কেল এক
সাথে কস্টিপ দিয়ে জোরা দিয়ে সেটা দিয়ে মেয়ের হাতে কয়েকটি বাড়ি দিয়েছে,এখন মেয়ে আমার জরে গা পুরে যাচ্ছে।
পরে আমি মেয়েটির কপালে হাত রেখে দেখি সত্যিই মেয়েটির হাতে ষ্টিলের সেই স্কেল দিয়ে পেটানোর কারনে,সেই ব্যাথার
যন্ত্রণায় মেয়েটির জরে পুরে যাচ্ছে ।আচ্ছা ওইটুকো ক্লাশ সিক্সে পড়া মেয়ে কিইবা বুঝে তাকে কি এভাবে পেটানো ঠিক
হয়েছে স্কুল টিচারদের ।
এই স্কুলটি বাড্ডা শাহাজাদপুর খিলবাড়িটেক ইসলামিয়া উঁচ্চবিদ্যালয় নামে পরিচিত । সেই শিক্ষকের নাম সগির স্যার।
মোটামুটি ভাবে আমি যতটুকো তথ্য পেয়েছি তাতে জেনেছি ওই স্কুলের প্রতিটি শিক্ষকই নাকি এরকম অমানুষ ।পান
থেকে চূণ খঁচতেই ছোট ছোট কচি কাচা ১০ বা ১১ এবং এর থেকে নিচের বয়সেরও অনেক ছেলে মেয়ে আছে যাদের
ধরে তারা পিটায়।আশা করি বাড্ডা নতুনবাজার ভাটারা যারা বসবাস করেন তারা এই স্কুলটা চিনেন। বিশেষ করে
পিতামাতাদের বলছি এভাবে নির্যাতিত হয়ে কিন্ত আপনার সন্তান কখনই মানুষে পরিনত হবে না।বরং আস্তে আস্তে
নির্যাতনের যন্ত্রণায় সকল শিক্ষকদের ভুলতো বুঝবেই পাশাপাশি সে লেখা ফড়াও করতে চাইবে না।তাই সময় থাকতেই
আপনার সন্তানকে শিক্ষকের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচান।
এ ধরনের টিচাররা ছেলেমেয়ে মানুষ করার পরিবর্তে যাতে ছেলেমেয়ে লেখাপড়া না করে অমানুষ হয় মুরখ্য থেকে যায় তাই চায়।
কেননা এত মার খাওয়ার পরে কোনও ছেলে মেয়ে ভয়েও আর স্কুলেই যেতে চাইবে না।ছেলে মেয়েদের কাছে প্রতিটি শিক্ষকের
মানবিক চরিত্র খারাপ থেকে যাবে । ছেলে মেয়েদের মনে শিক্ষকদের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিবে ।তাই সময় থাকতে আপনার সন্তানের
ভবিষৎ কথা ভেবে সতর্ক হন।