সংবাদ পত্রে পড়লাম ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের পাইলটকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল নাকি ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে। আর এটা বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে উড়োজাহাজের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমনই আভাস মিলেছে।আর অন্যদিকে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে অভিযোগ করে জানিয়েছেন আমরা প্রথম থেকেই সন্দেহের কথা বলছি। আমরা চাই আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয় বের হয়ে এসে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক।তবে এই তদন্তের জন্য কতদিন লাগতে পারে তা বলা যাচ্ছে না।অন্যদিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছয় কর্মকর্তাকে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের কার্যালয় থেকে বদলি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এই ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন ককপিটের তথ্য ছাড়া প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার কোনো উপায় নেই। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন ৩৬ বাংলাদেশি আরোহীর মধ্যে ২৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ইউএস-বাংলার সিইও এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিমানমন্ত্রীসহ এভিয়েশনকর্তারা, যাত্রীদের স্বজন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন এবং সেখানে তারা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডও হাতে পেয়েছেন। নেপালি এই দৈনিক বলছেন কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়ে যান পাইলট।অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়; কন্ট্রোল রুম থেকে উড়োজাহাজের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নম্বর রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন; ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমকে।
কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সে সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেওয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয় আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?সে সময় পাইলট দুই নম্বর রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন; স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ফ্রি করুন। তার পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে।আর তাই উড়োজাহাজ তদন্তকারীদের মতে, ভৌগলিক অবস্থান ছাড়াও নিচু দিয়ে ওড়া, মেঘ এবং ঝুঁকিপূর্ণ রানওয়ে এসব বিমান দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সূত্রঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩