আমি অত প্যাচগুছের কিছু দেখি না ;আমি সহজে যেটা বুঝি সেটা হল: আমি সারা বছর খুব পরিশ্রম করে লেখা পড়া করলাম
অতপর যখন আমি একটা পরীক্ষা হলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছি তখন দেখা গেল আমার পাশের সিটে বসা পরীক্ষাটি সারা বছর বই
ছুঁয়েও দেখে নাই কিন্তু আমার পরীক্ষার খাটা দেখে লেখল এবং পরীক্ষার রেজাল্ট যখন বের হল তখন দেখা গেল আমার যে ফলাফল
তারো সেই একই ফলাফল অবশেষে দুজনে মিলে ভাগ্যক্রমে যদি কোন সরকারী চাকুরির জন্য অ্যাপলিকিশন করি বা জমা দেই দেখা
যাবে আমার খাতা দেখে লেখে পরীক্ষায় পাশ করা ব্যক্তির চাকুরি হয়ে গেল আমার হল না,তার কারন ওই ব্যক্তির মাথার ওপর হয়ত
বাবা না হলে চাচা,মামার মুক্তিযোদ্ধার কোটার ছায়া আছে,আর তারই শক্তি বলে ওই ব্যক্তির চাকুরি হয়ে গেল অথচ আমি যে সারা বছর
কত পরিশ্রম করে লেখা পড়া করলাম তার সঠিক মূল্যায়ন পেলাম না। আসলে আমার হিসেবে কোটাগুলো কিছু পর্যায় সীমাবদ্ধটা বা
কোটার ক্ষমতা প্রয়োগের অনুমদোন না দেয়া।যেমন চাকুরির ক্ষেত্রে না দেয়া প্রয়োজন এবং এরকম বেছে বেছে কিছু বিষয় কোটা থেকে
অভমুক্ত রাখতে হবে ।এক কথায় চাকুরির ক্ষেত্রে কোটা বাদ দিয়ে দিতে হবে । এখানে যার যার মেধা অনুযায়ী চাকুরি পাবে,কোনও কোটার
ক্ষমতায় না । বিশেষ করে কোটা শুধু যারা মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করছেন তাদের নিজেদের জন্যই বহাল রাখলে ভালো হয়,পুরো বংশ সহ
নয়। এতে করে অন্তত দেশের অনেকের আসল মেধা পরিচয় পাওয়া যাবে যেমন অন্যদিকে শিক্ষাতীরাও ভালোভাবে শিক্ষার দিকেমনযোগী হবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬