জাকির হোসেন মিলন ছিলেন তেজগাঁও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানব-বন্ধনে অংশ নিতে জাকির প্রেসক্লাবে সামনে মার্চের ৬ তারিখে গিয়েছিলেন।সেখান থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকির পুলিশের রিমান্ডে ছিলেন তিন দিন। জাকির হোসেনের চাচা মোঃ ওয়ালিউল্লাহ বলছিলেন রিমান্ডে নেয়ার পর ১১ই মার্চ প্রথম যেদিন তিনি জাকির হোসেনকে দেখেন সেদিনের কথা।।তিনি বলছিলেন প্রিজন ভ্যানে যখন উঠালো তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম বাবা মিলন তুমি কেমন আছো ? সে বললো চাচা আমার শরীরটা ভালো না, আমি মনে হয় বাঁচবো না-সে কাঁদলো এই কথা বলে। আমার চোখেও পানি কিন্তু আমি বাসায় যেয়ে কাউকে বলিনি কারণ সবাই ভেঙ্গে পরবে তাই।পরদিন সকালে জাকির হোসেনের মৃত্যুর খবর পান মিঃ ওয়ালিউল্লাহ । তিনি বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যেয়ে তিনি দেখেন মিঃ হোসেনের মরদেহ পড়ে আছে।শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন। তিনি জোর দিয়ে অভিযোগ করছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রিমান্ডে থাকার সময় মৃত্যু হয়েছে মিঃ হোসেনের।মো: ওয়ালিউল্লাহ বলছিলেন মরদেহের কোন ময়নাতদন্ত করা হয় নি।তিনি বলছিলেন,আমাদের পিছনে ডিবির লোক, পুলিশের লোক, আমরা তো ময়না তদন্ত করতে পারিনি। কোন রকম লাশ বুঝিয়ে দিয়েছে আমাদের, আমি চাচা হিসেবে সাইন করেছি। এরপর যখন মিলনের জানাজা হয় সেখানে অনেক পুলিশ এবং সাদা পোশাকে ডিবির লোক ছিল। তাই ভয়ে অনেকেই জানাজায়ও আসেনি । এই কথাগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ট্রেচারে পরে থাকা জাকির হোসেন মিলন নামের এক ব্যক্তির চাচার কথা ।
সূত্র বিবিসি বাংলা ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৮