সত্য বলতে গেলে প্রথমে যেটা বলতে হবে সেটা হল: আমাদের বাংলাদেশের কোনো নেতা নেত্রীদেরই সামান্য একটা ভাষন দেয়ার
ক্ষমতা নেই অথচ তারা কত বড় বড় মন্ত্রীত্ব লেভেল পান।আমাদের মন্ত্রী প্রধান মন্ত্রী এবং বিরোধী দলে নেতা নেত্রী ও কর্মী এরা সকলে
রাজনীতির নামে জনগণের বদলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন আর জনগণের পকেট ফাকা করে নিজেদের কাপরের আঁচল ভারী করছেন।
যখন এদের কারো একটু ভাগবাটোয়ারা কম হচ্ছে তখন এরা একে অপরকে মিথ্যে মামলায় জরিয়ে পুরে দিচ্ছেন কারাগারে।
এই হল আমাদের দরিদ্র বাংলাদেশের মহাত্বা নেতা, নেত্রীদের রাজনীতি নামের কালো রাজনীতি আর নিজেদের ধান্দা ফিগির উদ্ধারের
সিষ্টেম। অথচ যখন ইলেকশন আসে তখন দিন রাত জেগে থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘরে ঘরে যে বয়সের তুলনায় ছোট হবে তারও
হাতে পায়ে ধরেন একটা ভোটের জন্য।এমনকি একটা ভোটের জন্য গলায় ধরে বহু মায়া কান্নায় ভেঙ্গে পরেন,একটা ভোট ভিক্ষা চান,
অথচ নির্বাচনে জেটার পর পাল্টে যায় রাজনীতিবিধদের চেহারা,বেরিয়ে আসে সাদা রূপে কালো রূপি জানোয়ারদের চেহারাগুলো।
আর অনেকে এমপিদের মুখে নির্বাচনে জেটার পর শোনা যায় [ভাত চড়ালে কাকের অভাব হয় না আর কাঠল পাতা ছিঁটালে ছাগলের অভাব হয় না তেমনি টাকা বিলালে ভোটের অভাব হয় না।/sb] বাহ! বাহ! এ হল আমাদের সোনার ঝরা বাংলাদেশের রূপালী চামড়া
বেপারীদের মুখের কথা ।
অথচ যে ভারতকে আমরা দুই চোখে দেখতে ও মনে সহ করতে পারি না,তাদের দিকেই একটু লক্ষ্য করলেই আমরা দেখতে পাই
ভারতীয় রাজনীতিবিধরা যদি তারা তাদের পদে ঠিকমত কাজ করতে পারেন,তাহলে কোনো কথা নাই।কোনো প্রকার হৈ হাঙ্গমার
আগেই তারা তাদের পদ থেকে সরে যান।
যেমন রিসেন্টলি সংবাদটুকো পড়লেও আমরা অনেক কিছু বুঝতে পারিঃ
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের জোট সরকার থেকে বিজেপি বেরিয়ে যাওয়ায় স্তফা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন বছরের জোট সরকারের পতন হয়েছে। এখন আগাম নির্বাচন অথবা কেন্দ্রের শাসন জারি করতে হবে সেখানে। মেহবুবার দল পিপল্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) এত দিন বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিরোধপূর্ণ এই রাজ্য পরিচালনা করছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদ সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যসরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।তিনি আরো বলেছেন‘জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে পথচলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকার থেকে সরে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় আমাদের হাতে ছিল না।তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানা জম্মু-কাশ্মীরের মন্ত্রিসভা থেকে বিজেপির সব সদস্য আজই (মঙ্গলবার) পদত্যাগ করবেন। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে কারণেই আমরা সরকার থেকে সরে এসে রাজ্যের ভার রাজ্যপালের হাতে তুলে দিতে চেয়েছি।এর পরেই রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন। বিজেপি যদিও রাজ্যে রাজ্যপালের শাসনই চায়, বৈঠকে এমনটা জানিয়েছিলেন রাম মাধব।জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মোট ৮৭টি আসন। ২০১৪-র মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি। এ ছাড়া সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, কংগ্রেস ১২টি এবং অন্যান্যরা ৭টি আসন পেয়েছিল। এ অবস্থায় পিডিপি ও বিজেপি যৌথভাবে সেখানে সরকার গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন মেহবুবা মুফতি।
আর আমরা ক্ষমতার অপব্যবহার করি,ক্ষমতার লোভে জনগণের জান মাল আর রক্ত দিয়ে
হলি খেলি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬